আমার রাজ্যের রানী পর্ব-৩৯

0
911

#আমার রাজ্যের রানী
# Part : 39
#Writer : Sriti Nur Avni

?
আপেক্ষিক পৃথিবীর সমস্ত সংজ্ঞার বিপরীত সংজ্ঞা সবসময়ই বর্তমান।।রাতের ঝলমল করা আকাশে নিজের রুপের আলো ছরিয়ে দিয়ে পুরো আকাশে রাজত্ব করতে ব্যাস্ত চাঁদ।।চাঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে ছোট বড় গাছ গুলোও হেলেদুলে নড়ে হিম বাতাস ছড়াতে ব্যাস্ত।মস্ত বড় আকাশের সাথে রাতের নিস্তব্ধ অন্ধকার দূর করে ইতিমধ্যে জোৎস্না বিলিয়ে দিচ্ছে টকটকে রুপে ভরপুর চাঁদখানা।।

জোৎস্নার মেঘ বড্ড উদাসীন হয়।আসেপাশের কিচ্ছুটি চোখে পরে না যেনো তার।থালার মতো মস্ত বড় চাঁদকেও ভ্রুক্ষেপ করেনা কখনোই!

নীলদের ফার্ম হাউজে মেহেদী অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়েছে।।ফার্ম হাউজের চারদিকে নানান রকম লাইটের আলোয় ঝলমলে পরিবেশ।। পুরো বাড়িতে মানুষের আনাগোনায় বিয়ে বাড়ির পরিবেশ বিদ্যমান।।
ধূসর মেঘের মতো আকাশী রঙের জামার সাথে সাদা পাজামা ওড়না পরে ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে উদাসীন নয়নে আকাশের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অভনী।।কাল মেহেদী অনুষ্টান তার।।মামা বাড়ি,দাদা বাড়ি থেকে মামা মামি দাদীসহ বেশ কয়েকজন কাজিন এসেছে।।সব আনন্দ উল্লাসের মাঝে মনের কোনো এক জায়গা বেশ অন্ধকার হয়ে পরে আছে অভনীর।।বাবা!!বাবাকে বড্ড মিস করছে সে।।বাবার আদরের রাজকন্যা বড় মেয়ের বিয়েতে বাবা থাকবে না তা বেশ কষ্টসাধ্য মেয়ের জন্য।।কিন্তু কিছুই করার নেই।।নিয়তির পরিহাসে নিশ্চুপ হয়ে হারিয়ে যেতে হবে একদিন সবাই কে।।নিয়তির কাছে পরাজিত সবাই!!

তবুও মায়া,ভালোবাসা জিনিসটা খুব কঠিন এক বাঁধন।।নিয়তির কাছে পরাজিত হবার ফলে চোখের নোনাজল গুলো সুপ্ত হয়ে গড়িয়ে পরা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।।অভনীর বাম পাশে একই বঙিমায় দাঁড়িয়ে কফির মগ অভনীর দিকে এগিয়ে দিলো নীল।।ঘাড় ঘুরিয়ে অপর পাশে তাকিয়ে চোখের জল গুলো মুছে নিলো অভনী।।মুচকি হেসে নীলের হাতের দিকে তাকিয়ে কফির মগ নিজের হাতে নিলো অভনী।।

রাতের নিস্তব্ধ বাতাসের শু শা শব্দের সাথে ঝিঝি পোকার আনাগোনা বিদ্যমান।।পিকু কে এক হাতে আর আরেক হাতে কফির মগ নিয়ে ছাদের রেলিংয়ে পিঠ ঠেকিয়ে অভনীর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো নীল,,,,

—জীবন টা বড্ড অদ্ভুত তাইনা?কোথা থেকে কি হয়ে গেলো।।আমাদের মতো মাফিয়াদের জীবন টা বিচ্ছিন্ন।। কখন মৃত্যু এসে হাতছানি দেয় বলা যায় না।আমার অনিশ্চিত জীবনে কাঁদাযুক্ত বিলে ফুটন্ত পদ্মবিল হয়ে ফুটে এসেছো তুমি।।

ঘাড় ঘুরিয়ে নীলের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো অভনী,,,

—হুম।।জীবন টা অদ্ভুত না হলে কি আর আজ এমন একটা দিন আসতো??জীবন নামক যুদ্ধে মরনের শেষ সীমা পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়া বড্ড কষ্টকর,,আবার বড্ড সুখময়।।নিয়তির কাছে হেলে পরে মেনে নিতে হয় কঠোর সত্য সমূহ ও।কখনো বা অজান্তেই ঘটে যায় অপত্যাশিত কিছু!!!

.

.

.

?
————
নীল অভনীর মেহেদী অনুষ্টান আজ।।
নেবি ব্লু রঙের লেহেঙ্গা পরে অনুষ্ঠানের জন্য সাজানো ফার্ম হাউজের ড্রইং রুমে বসে আছে অভনী।।চোখে গাড়ো কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকেই আজো সীমাবদ্ধ তার সাজ।।অভনীর এক পাশে জয়া আর আরেক পাশে জুথি বসে আছে।।অভনী কে মেহেদী পড়ানোর জন্য দেশের বাইরে থেকে লোক এনেছে নীল।।নাচ গানের জন্যও বেশ কয়েক জনকে আনা হয়েছে।।
নীল রঙের পাঞ্জাবির হাতা গোটাতে গোটাতে অভনীদের দিকে এগিয়ে আসলো নীল।।
অভনী আড় চোখে নীলের দিকে তাকালো।।মানুষ টার উপর প্রতিদিন নতুন নতুন রুপে প্রেমে পড়ে সে।।তার সাথে দ্রুত বেগে বেড়ে যায় হার্টবিট।।

সবাই যার যার সাজে সজ্জিত হয়ে বসে আছে।নীর্ঝয়, নীরা,হাফিজুর রহমান,,হাফসা আপুসহ জাহিদ ভাইয়াও এসেছেন।।সবার মুখেই বেশ হাসিখুশি।।নীর্ঝয় ও নিজেকে জরিয়ে নিয়েছে নীরার মায়া জালের আশক্তি তে।।
নীলের ফুপু নীলা বেগম সহ নিতুও এসেছে।।তবে এখন আর কোনো খারাপ লাগা কাজ করছে না নিতুর।।হয়তো একতরফা ভালোলাগা কেই ভালোবাসা ভেবে নিয়েছিলো সে।।
নীল কে এগিয়ে আসতে দেখে একপাশ থেকে উঠে অপর পাশে গিয়ে বসে পরলো জয়া।।নীল অভনীর পাশে বসেই মেহেদীর টিউপ হাতে নিলো।।অভনী ভ্রু কুচকে তাকালো নীলের দিকে।।
নীল অভনীর দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিয়ে অভনীর ডান হাত নিজের হাতে নিয়ে নিলো।।নীলের এমন কাজে অভনী কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেলো,,আশেপাশে থেকে মুখ টিপে হাসার শব্দ নিঃসংকোচে কানে আসছে তার।।

অভনীর হাত ধরে ফিসফিস করে বলে উঠলো নীল,,,,

—খুব কষ্ট করে সারারাত না ঘুমিয়ে ইউটিউব দেখে হাজার টা কাগজ নষ্ট করে মেহেদী দেয়া শিখেছি।।সো নো নড়াচড়া।।ঘুমের কষ্ট কিন্তু বড় কষ্ট।।

ঠোঁট উল্টে নীলের দিকে তাকিয়ে রইলো অভনী।।নিজের হাতের কি দূর্দশা হবে আজ তা ভাবছে সে।।নিজের মতো করে অভনীর হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিলো নীল।।অভনী যতটা খারাপ হবে ভেবেছিলো ততটা খারাপ হয়নি।।বেশ সুন্দর করেই দিয়েছে নীল।।যার সৌন্দর্য হাজার গুনে বাড়িয়ে দিয়েছে হাতের তালুতে লাভের মাঝে লেখা “অভনীল” শব্দ টায়।।

.

.

.

?
———
খাটের উপর পা ঝুলিয়ে বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে বসে আছে মাইশা।।এই একঘন্টায় প্রায় শ খানেক বার মাইশা কে ধমকিয়ে গেছে নীরব।।বাড়িতে জমজমাট অনুষ্ঠানের মাঝেও তার খেয়াল রাখতে ভুলে না কেউ।।কিন্তু বিয়ে বাড়িতে কি আর হাত পা ঘুটিয়ে বসে থাকা যায়।।পা জোরা কে চলতে হাজার বারন করলেও সে বারন তোয়াক্কা করেনা সে।।নিজের পেটের উপর হাত রেখে মুখ ফুলিয়ে মাইশা বললো,,,,

—বাবুই তুই এখন চলে আয়না আমায় কোলে।।আমরা দুজন মিলে জমিয়ে তোর চাচ্চুর বিয়েতে লাফাবো, আনন্দ করবো।।আর তোর পঁচা বাবার দুইদিনের জন্য কোনো বারন মানা নিষেধ করে দিবো।।

দরজায় হেলান দিয়ে শব্দ করে হেসে উঠলো নীরব।।রুমের ভিতর ডুকতে ডুকতে বলে উঠলো সে,,,,

—তোমার এই ইচ্ছা এখন কোনো ভাবেই পূরন হবে না।।আর না হবে তোমার মা মেয়ে মিলে আমার বারন মানা নিষেধ করতে।।

—ওই তুমি কেমনে বলো আমার মেয়ে হবে?আমার তো ছেলে হবে।। রাজপুত্র হবে আমার একটা।

—জি না! আমাদের রাজকন্যা হবে দেইখো।।ফুটফুটে একটি পরী।।

—নাহহহহ আমার রাজপুত্র হবে হবে হবে।।

রুমে ঢুকতে ঢুকতে হাত দিয়ে কান ঢেকে হালকা চিল্লিয়ে বলে উঠলেন নীলিমা আহম্মেদ,,,,

—ওরে থাম থাম থাম।।কি শুরু করছিস তোরা?আল্লাহ যা দেয় আমরা তাতেই খুশি।।এখন রেডি হয়ে নে তো মা।। নীল আর অভনীর গায়ে হলুদের জন্য আমাদের এতিমখানার সামনে সমুদ্রের পাশে বড় বালুর মাঠে আয়োজন করা হয়েছে।।সন্ধ্যায় হলুদের অনুষ্ঠান হবে।।এখন সবাই চলে যাবো ওখানে।তোদের বাবা গেছে এতিমখানার বাচ্চাদের জন্য ড্রেস কিনতে।।তবে একদম লাফালাফি করবি না কিন্তু।যদি দেখি লাফিয়েছিস তাহলে তখনি নীরব কে দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিবো বলে রাখলাম।।

গোধূলী লগ্নে সমুদ্রের পাশে হলুদের অনুষ্ঠানের কথা শুনতেই খুশিতে লাফিয়ে উঠলো মাইশা।।জলধি করে জামা কাপড় নিয়ে তৈরি হতে চলে গেলো সে।।

.

?
সন্ধ্যা ৬ টা,
গোধূলী লগ্নের আবছা আলোয় ভরপূর চারদিক।।তার সাথে ভরপূর সমুদ্রের সামনে বালু মাঠে মানুষের আনাগোনা।।বিশিষ্ট শিল্পপতি নীহাল আহম্মেদের ছেলে,তার উপর দেশের শ্রেষ্ঠ মাফিয়া বস ফারহান আহম্মেদ নীল বলে কথা তার বিয়েতে মানুষের আনাগোনা তো থাকবেই।।তার সাথে রয়েছে এতিমখানার হাজারো ছেলে মেয়ের খিলখিল হাসির শব্দের সাথে উল্লাসের মাতামাতি।।

সমুদ্রের তীরবর্তী বড় স্টেজে নিজেকে টাটকা হলুদ শাড়িতে মুড়িয়ে মুখে একটুকরো হাসি ঝুলিয়ে বসে আছে অভনী।। বিয়ে মানেই কনে কে দীর্ঘসময় বসে থাকা,,বসতে বসতে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে পুনরায় আবারো বসে থেকেই রেস্ট নেয়া।।

সমুদ্রের ঠান্ডা বাতাসের শুভ্রতায় মেলানো সিল্কি চুল গুলোর সামনের কয়েকটা চুল হেলেদুলে কপালে এসে ভীর জমাচ্ছে নীলের।।সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরে অভনীর পাশের সিটে বসে আছে সে।।

সন্ধ্যার আবছা আলোর সাথে চারদিকে ঝলমল করা নানান রঙের লাইটের আলোয় ফুটে উঠেছে অদ্ভুত সুন্দর এক পরিবেশ।।বাচ্চাদের দৌঁড়ানো,খিলখিল করা হাসির শব্দের সাথে সমুদ্রের উতালপাতাল ঢেউয়ের শব্দ মাতিয়ে তুলেছে অন্যরকম বাজনায়।।

আরিহার সাথে প্রতিনিয়ত দুষ্টুমিতে মেতে চলছে মাহিব।।আরিহা বিরক্তি মাখা মুখ নিয়ে এদিক ওদিক চলে গেলেও ঠিক তার সামনে এসে কোনো না কোনে কারনে ঝগড়া বাঁধিয়ে দিচ্ছে মাহিব।।যা আরিহার জন্য বেশ বিরক্তিকর।।ইচ্ছে করছে এক লাত্থি দিয়ে সমুদ্রের গভীর তলদেশে ফেলে দিতে মাহিব কে।।কিন্তু নাহ! নিজের শরীরের যা দশা এতে মাহিব কে লাত্থি দিয়ে সমুদ্রের তলদেশে পাঠানোর পরিবর্তে নিজেকেই চলে যেতে হবে ভেবে মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো সে।।

অপরপাশে মাইশার পিছন পিছন ঘুরে বেড়াচ্ছে নীরব।।মাইশা একটু জোরে হাঁটতে নিলেই পিছন থেকে সিগনাল দিয়ে উঠছে নীরব।।এতে মাইশার বিরক্তি লাগলেও নীরবের লাগছে না।বিরক্তির পরিবর্তে একটু খানি ভুল হয়ে যাবার চিন্তায় প্রতিনিয়ত বিভোর হয়ে যাচ্ছে সে।।
সত্যি কারের ভালোবাসা!!হয়তে এমন ভাবেই আকড়ে ধরে মানুষ কে।।

.

.

.

?
—————
রাত ৩ টা।

মেহমানের আনাগোনার সাথে বাচ্চাদের আনাগোনাও নিস্তব্ধ এখন।।সমুদ্রের তীরে বড় চট বিছিয়ে বসে আছে অভনীর কাজিন সহ অভনী,আরিহা,নীল,নীর্ঝয়,নীরা,জাহিদ ভাইয়া,মাহিব।। ওদের সাথে জোৎস্না ছড়িয়ে নীর্ঘুম রাত কাটাতে ব্যাস্ত রূপবতী চাঁদটাও।।নীরব মাইশার সাথে অন্য সবাই ও বাসায় চলে গেছে।।রয়েগেছে শুধু ওরা।ভোর হতেই এখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে পারি জমাবে বলেই জানিয়েছে তারা।।
হলুদের অনুষ্টানের পর বেশ ক্লান্ত সবাই।।তবুও আজকের রাত আড্ডায় মেতে উঠে নীর্ঘুম কাটাবে বলেই ভেবে নিয়েছে সবাই।।ঘুমের সাথে তীব্র যুদ্ধ চালিয়েও ব্যার্থ হয়ে আঁকাবাকা আকারেই শুয়ে পরলো নীল অভনী বাঁধে সবাই।।

ঘুমের ঘোরেই মিনমিন করে বলে উঠলো নীর্ঝয়,,,

—কিরে কি খাইয়েছিস।কোকাকোলা খাওয়ার পর থেকে আর না ঘুমিয়ে থেকে পারছিনা কেন?

নীল ডেবিল মার্কা এক হাসি দিয়ে অভনীর দিকে তাকিয়ে বললো,,,,

—চিন্তা করিস না দোস্ত। কম পাওয়ারের ঘুমের ঔষুধ ই খাইয়েছি তোদের।এখান তোরা আরামে ঘুৃমা কেমন।

অভনী ডেবডেব করে তাকিয়ে আছে নীলের দিকে।।এইতো সবাই মিলে ভালোই আড্ডা দিচ্ছিলো তাহলে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ালো কেনো বুঝতে পারছে না সে।।নীর্ঝয় আর কোনে কিছু বলতে পারলো না কারন কিছু বলার আগেই ঘুমের দেশে তলিয়ে গেছে সে।।

নীল উঠে গিয়ে অভনী কে ইশারা করলো উঠে যাওয়ার জন্য।।অভনী একনজর সবার দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে নীলের দিকে তাকালো।।নীল আবারো যেতে বলাতে উঠে দাঁড়ালো অভনী।।

অভনীর এক হাত ধরে সমুদ্রের হালকা পানিতে নেমে গেলো নীল।অভনীকে টেনে নিজের সামনে এগিয়ে নিলো নীল।।ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে গালে লেগে থাকা হলুদ অভনীর গালে ছোঁয়া লাগিয়ে দিলো সে।।চোখ জোড়া বন্ধ করে নিলো অভনী।।ডান হাত এগিয়ে এনে পেট থেকে কাপড় সরিয়ে পেটে হলুদ মাখিয়ে দিলো অভনী কে।।কেঁপে উঠে ছিটকে দূরে সরে গেলো অভনী।।

নীল মুচকি হেসে বালুতে উঠে অভনীর পায়ে ঝুম নুপুর পরিয়ে দিলো।।অভনী কিছুটা অবাক হয়ে বললো,,,

—নুপুর!

—হুম।তেমাকে বলেছিলাম আমার সাথে সমুদ্রের তীরে বা পানিতে হাঁটার সময় নুপুর গুলো পরে থাকবে।।আজকে হয়তো মনে ছিলো না বা একসাথে হাঁটা হবে ভাবতে পারোনি তুমি।।তাই আমিই নিয়ে এসেছি।।

তৃপ্তীর হাসি হেসে নুপুরের ঝুন ঝুন শব্দ করতে করতে সামনের দিকে হেঁটে চললো অভনী।।নীল পেছন থেকে অভনীর দিকে তাকিয়ে আছে।

টাটকা হলুদ রঙের কনে বেশে কাপড়ে হাতের চুড়ির রিনঝিন শব্দের সাথে নুপুরের ঝুনঝুন শব্দ করে এগিয়ে যাওয়া মেয়েটির জন্য বুকের বাম পাশ টা বড্ড ব্যাথা করছে নীলের।।

আকাশ টা বেশ স্বচ্ছ।বাতাসে ভীষণ স্নিগ্ধতা।অনাবিল প্রশান্তি ছুঁয়ে যাচ্ছে দেহের ভেতর টাতে।দুজন দুজনের হাত ধরে ঘুরে বেড়াতে রাত জাগা ক্লান্তিতা অনুভব হচ্ছে না আর।। ❤

#চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here