#আমার রাজ্যের রানী
#Part : 35
#Writer : Sriti Nur Avni
?
রাত ৩ টা,,,
সবাই গভীর ঘুমে বিভোর।কিন্তু ঘুম নেই অভনীর চোখে।ভালোবাসার মানুষ টাকে হারানোর তীব্র ভয় আকরে ধরে আছে তাকে।জায়নামাজে বসে একনাগাড়ে অনেকক্ষন কান্না করে দোয়া করেছে আল্লাহর কাছে।মোবাইল হাতে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে সে।চারদিকে হালকা ঝিরিঝিরি বাতাস।।হালকা মেঘের আড়ালে লুকোচুরি খেলছে ঝলমলে তারা।আজ চাঁদের ঝলমলে করা আলো টাও বেশ অন্ধকার লাগছে অভনীর কাছে।বারবার মোবাইলের দিকে তাকাচ্ছে সে,,মনে হয় মানুষ টার মিশন শুরু হয়ে গেছে।বার বার কল দিয়ে মানুষ টার খবর জানতে ইচ্ছে করছে অভনীর।কিন্তু নাহ! এই মুহূর্তে মিশনের মাঝে নীল কে বিভ্রান্ত করা একদম ঠিক হবে না।।তাই নিজের মন কে একরাশ মিথ্যা সান্ত্বনা দিতে নিজেকে প্রস্তুত করছে সে।।বাট এতো এতো টেনশনের মাঝে নিজের মিথ্যা সান্ত্বনা যে বড্ড তুচ্ছ তা বেশ বুঝতে পারছে সে।মোবাইল টা বারবার নাড়াতে নাড়াতে বারান্দায় পায়চারি করতে লাগলো সে।কিন্তু নাহ! নিজেকে শান্ত করা পসিবল হচ্ছে না।
কিভাবে শান্ত করবে?ভালোবাসার মানুষ টাই যে বিপদে আছে।এই মুহূর্তে বেশ করে মনে হচ্ছে অভনীর “ভাগ্যিস ছোট মা কে বলে যায়নি”।কিন্তু মায়ের মন বলে একটা কথা আছে।সন্তানের বিপদে নাকি মায়েরা আগে থেকেই বুঝতে পারে।।হয়তো তাই হয়েছে,,নাহলে রাত ৩ টা বাজে নীলিমা আহম্মেদের ঘুম ভাঙার কথা না।নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী গুটিগুটি পায়ে দুই তলায় চলে এসেছে।ধীর গতিতে নীলের রুমের দিকে এগিয়ে গেলেন ওনি।।নীল কে দুবার ডেকে দরজা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেলো।নীলিমা আহম্মেদ বেশ অবাক হলেন কারন নীল তো বলেছে ১ টার ভিতর চলে আসবে।।গুটিগুটি পায়ে রুমের ভিতরে গিয়ে লাইট জ্বালালেন।কিন্তু নাহ! নীল তো নেই রুমে।হন্তদন্ত হয়ে বারান্দায় ওয়াশরুম খুঁজলেন ওনি।কিন্তু কোথাও পেলেন না ছেলেকে।উওেজিত হয়ে নিচে নামতে নিলেই অভনীদের ঘরে এখনো আলো জ্বলতে দেখতে পেলেন।মেয়েটাকি এখনো পড়ছে নাকি?
নীলিমা আহম্মেদ এগিয়ে গেলেন রুমের দিকে।রুমের ভিতর ডুকতেই আরেকদফা অবাক হলেন ওনি।কারন আরিহা একা ঘুমিয়ে আছে,,অভনীও রুমে নেই।
‘হয়তো নীল আর অভনী একসাথেই আছে’ এটা ভাবতেই ওনি নিচে নামা জন্য সামনের দিকে অগ্রসর হলেন,, তখনি বারান্দা থেকে কারো ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ শুনতে পেলেন ওনি।এতো রাতে কান্নার শব্দে চমকে উঠলেন ওনি একগাদা প্রশ্ন খচখচ করছে ওনার মনে।ধীর পায়ে বারান্দার দিকে অগ্রসর হতেই হাটু মোরে অভনী কে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখলেন ওনি।।এতো রাতে মেয়েটাকে এভাবে কাঁদতে দেখে ভয় পেয়ে গেলেন ওনি।দ্রুত পায়ে অভনীর কাছে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বলে উঠলেন,,,,
—কি হয়েছে মা? এতোরাতে এভাবে কাঁদছিস কেন?আর নীল কোথায় আমি তো ভেবেছিলাম তোর সাথে।এখনো আসেনি?
এই সময়ে নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী কে মোটেও এক্সপেক্ট করেনি অভনী।তাই চমকে গিয়ে মাথা তুলে ভ্রু কুঁচকে তাকালো সে।।অবাক নয়নে তাকিয়ে বলে উঠলো,,,,
—মামুনি তু তুমি এ এখানে?
—ঘুম আসছিলো না তাই দেখতে আসলাম নীল আসলো কিনা কিন্তু তুই এভাবে কাঁদছিস কেন?কি হয়েছে?
অভনী এবার ডুকরে কেঁদে উঠলো ছোট মা কে জরিয়ে ধরে।।কান্না করার সময় কেউ সহানুভূতি দেখালে হঠাৎ করে কান্নার বেগ বেড়ে যায় বইকি কমে না।অভনীর কান্নার বেগ ও বেড়ে গেছে,,,ছোট মা কিছুই বলছেন না অভনীর মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন ওনি।।অজানা কোনো ভয়ে বুকটা কেঁপে উঠছে বারবার।
কান্নার গতি কমিয়ে ছোট মা কে ছেরে চোখ মুখ মুছে ফেললো অভনী।ওর কান্নার কারন ছোট মা কে কিছু বকতে চাইছে না সে। কিন্তু ছোট মা নাছোড়বান্দা।। কারন না যেনে ওনি নরবেন না।।বাধ্যহয়ে অভনী কে বলতেই হলো,,,ছোট মা সব শুনে স্তব্ধ হয়ে আছেন।।বেশ কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলে উঠলেন ওনি,,,,
—অভনী ফোন দে।
অভনী যেনে এই পারমিশন টার জন্যই এতোক্ষন অপেক্ষা করে ছিলো।ছোট মা বলতে দেরি অভনী সাথে সাথে কাঁপা কাঁপা হাতে উওেজিত হয়ে বাটন মোবাইল টা নিয়ে নীলের নাম্বারে ফোন করলো।।কিন্তু নাহ!!
যখন টেনশন হয় তখন সবদিক দিয়েই চেপে ধরে টেনশন।নীলের মোবাইল সুইচড অফ।।বার বার কল দিয়েও অপর পাশ থেকে একটা কথায়ই ফিরে আসছে।একগাদা আশা নিয়ে কল দিয়ে একগাদা হতাশা নিয়ে বসে পরলো অভনী।।
.
.
.
?
হসপিটালের ৩১০ নাম্বার বেডে নীল কে জরিয়ে ধরে বসে আছে অভনী।।নীল বেশ কয়েকবার ছারানোর চেষ্টা করছে তাকে।কারন কেবিনে এখন বড় ছোট সবাই আছে।কিন্তু নাহ! অভনীর এতে কোনো ভাবান্তর নেই।সে নিজের মতো করে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে নীল কে।নীল শুয়ে আছে বেডে।নীলিমা আহম্মেদ বেডের অপরপাশে বসে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে গাল মুখ ফুলিয়ে কান্না করছেন।।ছেলের উপর বড্ড অভিমান জমা হয়েছে ওনার।নীল শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ব্যাথা পেয়েছে তার সাথে মাথায় বেশ আঘাত পেয়েছে।।সৌভাগ্য বশত কোনো গুলি লাগেনি তার।।কিন্তু তার টিমের বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছে।।নীর্ঝয়ের বুকে গুলি লেগেছে,,আইসিউতে রাখা হয়েছে তাকে।।নীল চুপ করে শুয়ে আছে।কারো সাথে কোনো কথা বলার মতো মুড নেই এখন তার।।
তখনি ডক্টর হাফিজুর রহমান ডক্টর প্রসেনজিৎ মুখার্জি কে নিয়ে কেবিনে ডুকলো নীলের।।ওদের দেখে নীল বেশ উওেজিত হয়ে গেছে।হাফিজ আংকেল কে কাছে ডেকে বারবার জিজ্ঞাসা করতে লাগলো,,,,
—আংকেল নীর কেমন আছে?আংকেল ওর বুকে গুলি লেগেছে।ওর গুলি বের করা হইছে তো?কি হলো অাংকেল বলছেন না কেন?কেমন আছে আমার নীর?
হাফিজ আংকেল কোনো কথা বলছেন।।চোখ জোড়ায় নোনাজলে টইটুম্বুর হয়ে আছে।।নীল কে এভাবে উওেজিত হতে দেখে ডক্টর প্রশেনজিৎ বলে উঠলেন,,,,
—আপনি এভাবে উত্তেজিত হবেন না।আপনার মাথায় ব্যাথা পেয়েছেন উওেজিত হলে সমস্যা হবে।।আপনার সাথের বেশ কয়েজনের ইনজুরি হয়েছে তবে সবাই মোটামুটি ভালো আছে আর আপনারা যাদের উদ্ধার করে এনেছেন ওনারাও ভালো আছেন তবে নীর্ঝয়ের বুকের ডান পাশে গুলি লেগেছে।ইমিডিয়েটলি অপারেশন করতে হবে।আর অপারেশনের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।কিন্তু ওর অপারেশন টা বেশ ক্রিটিকাল।। অপারেশনের মধ্যে কিছু না হয়ে অপারেশন সাকসেসফুল হলে আশা করা যায় ভালো হয়ে যাবেন।।
নীল ডক্টর প্রসেনজিৎ মুখার্জির শুনে আরো বেশি উওেজিত হয়ে গেলো। ডক্টরের কলার চেপে ধরে বলে উঠলো,,,,
—যেভাবেই হোক আমার নীর কে ভালো করে দিন ডক্টর। ওর কিছু হলে আমি কোনোদিনও নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না।যদি নীরের কিছু হয় তাহলে আমি এই হসপিটাল টাই রাখবো না আর না রাখবো আপনাদের।
সবাই জোড়াজুরি করে ডক্টরের কলার থেকে হাত সরানো হলো নীলের।।ডক্টর প্রসেনজিৎ নিজের কলার ঠিক করতে করতে বলে উঠলেন,,,,,
—আপনি একজন ডক্টর মি. নীল।বিজ্ঞান সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট ধারনা রয়েছে।।আপনি একজন ডক্টর হয়ে সব পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলাতে না পারলে ফিউচারে অন্যদেরকে কিভাবে বলবেন??
আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করবো।
নীল রাগী চোখে তাকিয়ে বলে উঠলো,,,,
— এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে তারাতাড়ি গিয়ে অপারেশন করুন নীরের।যত লেট হবে তত প্রবলেম হবে জানেন না।
ডক্টর প্রসেনজিৎ মুখার্জি আর কিছু না বলে চলে গেলেন।ডক্টর হাফিজুর রহমান কোনো কথা না বলে বের হয়ে যেতে নিলেই নীল হাত ধরে ফেললো ওনার।বেডের কাছে এনে দাঁড় করিয়ে ওনাকে জরিয়ে ধরে জোরে জোরে কান্না করে দিলো নীল।।অভনী এর আগে কখনো মানুষ টাকে এভাবে কাঁদতে দেখেনি।।কেবিনে রয়েছে নীহাল আহম্মেদ,,নীলিমা আহম্মেদ,,নীরব,মাইশা,,মোশারফ চৌধুরী, মাহিব আর অভনী।।উপস্থিত সবার চোখেই পানি।।নীল কান্নার গতি কমিয়ে বলে উঠলো,,,,
—আংকেল নীর সুস্থ হয়ে যাবে তো আংকেল??ছোট বেলা থেকে আমি যা চাই তা আমার চাই ই চাই আর নীর! সবসময় আমার জন্য Sacrifice করেই গেছে।।ছোটবেলা দুজন একসাথে খেলার সময় ঝগড়া লেগে আমি যদি নীর কে মারতাম তাহলে মামুনি আমাকে মারবে বলে ও সবসময় নিজের উপর দোষ নিয়ে নিতো।।আংকেল বড় হয়েও নীর আমার জন্য একের পর এক Sacrifice করেই যাচ্ছে।।কালকে রাতে আমার জন্যই নীর মিশনে গেছে আর আজ আমার জন্যই ওর এই অবস্থা।। আমার জন্য নিজের ভালোবাসার মানুষ টাকেও Sacrifice করে দিয়েছে নীর।।অভনী কে নীরও খুব ভালোবাসে কিন্তু শুধুমাএ আমার জন্য মুখ বুজে সব সহ্য করেছে।।আংকেল দিনের পর দিন নীরের sacrifice এর বোঝা আমাকে আরো ভারি করে দিচ্ছে।আজকে ওর কিছু হয়ে গেলে আমি কোনোদিন ও নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না।আমি বন্ধু নামক কলংক হয়ে যাবো।প্লিজ আংকেল নীর কে ভালো করে দিন প্লিজজ।
নীলের এমন কান্না দেখে হাফিজুর রহমান আর অবাধ্য নোনাজল গুলো আটকে রাখতে পারলেন না।চোখ ভেয়ে ওনারও টপটপ করে পানি পরছে।।নীলের মাথায় হাত রেখে বলে উঠলেন,,,,
—মা মরা ছেলেটা ছোট বেলা থেকে শুধু কষ্টই পেয়ে এসেছে।কিন্তু আমার সাথে এতো ফ্রি হলেও কখনো আমাকে ওর কষ্ট গুলো বুঝতে দেয়নি যদি আমি কষ্ট পাই তাই!!
তবে এতে তোর কোনো দোষ নেই রে।বন্ধুত্বের সম্পর্ক টা এমনি হওয়া উচিত।।আল্লাহর কাছে দোয়া কর দেখবি নীর ঠিক সুস্থ হয়ে যাবে।।
বেডের এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে অভনী।।তার চোখ বেয়েও নোনাপানি গুলো ঝরে পরছে।অভনী ভাবছে,,,
“সত্যিকারের বন্ধুত্বের শক্তি এতোটা দৃঢ়?এতোটা মজবুত? কই আমি তো পারবো না আমার হিরে সাহেব কে অন্যকারো হাতে তুলে দিতে,,কিভাবে সহ্য হয় ভালোবাসার মানুষটিকে অন্যের হতে দেখে?কিছু কিছু সত্যি মনে হয় না জানাই ভালো।কোনো দ্বিধা থাকেনা।”
.
.
.
?
অপারেশন থিয়েটারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে সবাই,,বসার মতো রিলেক্স মুড এখন কারোরই নেই। অসুস্থ শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নীল ও।কোনো ভাবেই কেবিনে রাখা যায়নি তাকে।নীর্ঝয়ের বড় বোন হাফসা আপু আর ওনার হাসবেন্ডও হসপিটালে এসে পৌঁছেছে।বাচ্চা দুটোকে বাসায় রেখে এসেছে ওরা।সবাই যখন থিয়েটারের সামনে দাঁড়িয়ে পায়চারি করতে ব্যাস্ত তখনি অস্থিরতাপূর্ন চাহনি নিয়ে দৌঁড়ে একটা মেয়ে এসে দাঁড়িয়েছে ওদের সামনে।কিন্তু এদিকে কারো খেয়াল নেই।সবাই গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে আল্লাহ কে ডাকছে যেনো অপারেশন সাকসেসফুল হয়।।মেয়েটি এগিয়ে গিয়ে অভনীর বাহু জাঁকিয়ে বলে উঠলো,,,,
—নীর্ঝয় কোথায় অভনী?আ আামার নীর্ঝয় কোথায়।
মেয়েটি বেশ হাঁপাচ্ছে।এতোক্ষনে সবাই ওর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।অভনী ভ্রু জোর কুঁচকে মেয়েটিকে দেখতে লাগলো,,,আকাশি রঙের শাড়ির আঁচল এলোমেলো হয়ে পিঠ অবধি ছাড়া চুল গুলো বোশ উশকো খুশকো হয়ে আছে।অভনী ভালোভাবে তাকিয়ে দেখলো এটা শপিং মলে ওকে সাহায্য করা সেই মেয়েটি।।যে মেয়ে বলেছিলো নীর্ঝয় ভাইয়া কে ভালোবাসে।
অভনী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নীরা কে জরিয়ে ধরে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিলো।।তখনি নীরার বাবা মোঃ আলতাফ খান এসে মেয়ের পাশে বসেছেন।।নীরার ভার্সিটিতে গিয়ে ওনিই নীর্ঝয়ের খবর দিয়েছেন নীরা কে।নীরাকে সাথে করে হসপিটাল আসতেই নীরা তারাহুরো করে চলে এসেছে হসপিটালের ভিতর।।মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আলতাফ খান।
জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে অভনীর দিকে তাকিয়ে নীলিমা আহম্মেদ বললেন,,,,
—কে ও?তুই চিনিস?
—ছোট মা এই আপুটা নীর্ঝয় ভাইয়া কে ভালোবাসেন।
নীলিমা আহম্মেদ আর কিছু বললেন না।অভনী পানি এগিয়ে দিয়ে নীরা কে বললো,,,
—টেনশন করো না আপু।।নীর্ঝয় ভাইয়া ঠিক সুস্থ হয়ে যাবেন।ওনার অপারেশন হচ্ছে এখন।
নীরা অভনীকে জরিয়ে ধরে জোরে জোরে কেঁদে উঠলো।।সবাই একবার মাথা ঘুরিয়ে তাকালো নীরার দিকে।।কিন্তু নাহ!এখন সবাই চিন্তিত তাই নীরার কান্না নিয়ে কেউই আর চিন্তিত হলো না।অভনীর চোখ জোরা দিয়ে গাল বেয়ে অঝোর ধারায় পরছে নোনাজল।নীলের দিকে তাকিয়ে ভাবছে সে,,,
“ভালোবাসা বুঝি এমনি??ভালোবাসার মানুষ টাকে হারানোর তীব্র ভয় আর যন্ত্রণা বুঝি এভাবেই কুঁড়ে খায় একজন মানুষ কে?ভালোবাসার মানুষ টা অসুস্থ হলে বুঝি এভাবেই অসহায় হয়ে পরে সবাই?
ভালোবাসার মানুষ কে হারানোর ভয় সব থেকে ভয়ংকর ভয়।।ভালোবাসার মানুষ গুলোর কাছে অসহায় সবাই।”
ভালোবাসার কোনো সংজ্ঞা হয় না।ভালোবাসার জন্য কোনো কারন লাগেনা।
আর যদি তা কারন দিয়েই হয় তবে তাকে ভালোবাসা না বলে সাময়িক মোহ বলা টাই শ্রেয়।কাউকে ভালোবাসতে বিশাল একটা মনের প্রয়োজন যেখানে তাকে খুব স্বযত্নে রেখে ভালোবাসা যায়।।
সত্যিকারের ভালোবাসার বন্ধুত্ব ক’জন ই বা পায়?যেখানে Always sacrifice বিদ্বমান।❤
#চলবে,,,,,,,