#আমার রাজ্যের রানী
#Part : 26
#Writer : Sriti Nur Avni
?
মেহেদী অনুষ্ঠান প্রায় শেষ কিন্তু নীল এখনো ঘর থেকে বের হয়নি।গানের সাউন্ড আর সবাই নিচে থাকায় নীলের ভাংচুরের শব্দ ও কারো কান অবধি পৌঁছায়নি।মেহেদী দিয়ে দুহাত রঙে রাঙিয়ে রাখা খুব পছন্দ অভনীর,,,তাই মেহেদী দেবার অপেক্ষায় বসে আছে সে,,,আরিহার পরেই ওর হাতের পালা।
অনেকক্ষন যাবৎ নীল কে দেখতে না পেয়ে অভনীর কাছে এসে বলে উঠলো নীরব,,,
—মিষ্টি আপুই আমার গুনধর ভাই টা কোথায় গেলো?অনেকক্ষন যাবৎ দেখতে পাচ্ছি না যে?
—ভাইয়া আমি তো জানিনা।আমিও অনেকক্ষন যাবৎ দেখিনি।
—একটু ওর রুমে গিয়ে দেখে আসো না প্লিজ,,শরীর খারাপ হলো কিনা।
—ঠিক আছে ভাইয়া আমি দেখছি।
অভনী ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো নীলের রুমের দিকে।রুমের দরজায় নক করতেই দরজা খুলে গেলো।কিন্তু রুমের ভেতর ঘুটঘুটে অন্ধকার।অভনী নীল কে ডাকতে ডাকতে ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে রুমের ভিতর। কিন্তু নীলের কোনো সারা নেই।অভনী মোবাইলের লাইট টা জ্বালাতেই দেখতে পেলো এলোমেলো হয়ে থাকা রুমটা।অভনীর ভেতরে ভয় চলে এলো।এমন এলোমেলো রুম করে কোথায় চলে গেলো মানুষটা?কিছু হলো নাতো?নানান রকমের চিন্তা আসতে লাগলো অভনীর মাথায়।হাজার টা চিন্তা আর ভয়ার্ত মাখা চোখ নিয়ে রুমের আলো জ্বালিয়ে দিলো সে।চারপাশে ২-৩ বার চোখ বুলালো।কিন্তু না!নীল কোথায়ও নেই।অভনীর এখন চিল্লাতে ইচ্ছে করছে কিন্তু পারছে না।অজান এক অদ্ভুত ভয় নিয়ে খুঁজতে লাগলো নীল কে।অভনী ধীর পায়ে আবারো ফিরে আসতে নিলে মনে পরলো বারান্দার কথা।বারান্দায় তো দেখা হয়নি।তাহলে কি বারান্দায়!
আবারো একরাশ আশা নিয়ে বারান্দার দিকে এগিয়ে গেলো সে। হ্যাঁ এখানেই!বারান্দায় এক কোনে বসে পিকু কে এক হাতে রেখে মাথা নিচু করে বসে আছে তার হিরো সাহেব।অভনী নীলের কাছে গিয়ে আস্তে করে ডেকে উঠলো,,,
—হি..রো সাহেব?
নীল কোনো সারা দিলো না।আবারো ডেকে উঠলো অভনী,,,
—হি…রো সাহেব?
নীল মাথা উঁচু করে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ালো। নীলের দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে অভনী।চোখ দুটো লাল টকটকে হয়ে আছে,,খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে”কি হয়েছে আপনার”?কিন্তু জিগ্যেস করা হলো না।নীল ধীর পায়ে অভনীর দিকে এগিয়ে এসে শক্ত করে দেয়ালে চেপে ধরলো অভনীর দুটো হাত,,ব্যাথায় কুকিয়ে উঠলো অভনী।কিন্তু মুখ দিয়ে কোনো শব্দ করলো না।নীল নেশা ভরা চোখে অভনীর দিকে তাকিয়ে আরেকটু ঝুঁকে বলে উঠলো নীল,,,,
—আমার এই ভিতর টা বড্ড পোড়ায় একজনের শূন্যতায়।মন খুলে বলতে ইচ্ছে করে ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি। কিন্তু সেটা আর বলা হয়ে উঠেনা।মনের মধ্যে জমে থাকা অভিমানে পাহাড় যখন বুঝতে না পারে সে,,,প্রতিটা মূহুর্তে মরে যাই আমি তখন।
অভনীর হাত টা আরেকটু শক্ত করে মুচরে ধরে আবারো বলে উঠলো,,,
—তাকে যখন অন্য কারো সাথে দেখি আমার ইচ্ছে করে সব ঝালিয়ে পুরিয়ে শেষ করে দেই,,,ইচ্ছে করে সব বাধা শেষ করে এক নিমিষে বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বলি “আমার প্রতিটা হৃদস্পন্দনে বলে উঠে শুধু তোমায় ভালোবাসি,,শুধু তোমাকে চাই”।
বিয়ে বাড়ির মরিচ বাতির আলোয় আলোকিত হয়ে আছে চারদিক,,,বারান্দায় লাগানো মরিচ বাতির আলোয় নীলের নেশা ভরা চোখে আজ গভীর ভাবে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে অভনীর,,,আকাশের চাঁদটা মেঘের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে বারবার।অভনীর হাতে থাকা থাকা চুরিগুলো নীলের হাতে নিচে পরে থেকে ভেঙে চুরমুর নিচে প্রতিনিয়ত। তার সাথে পরছে অভনীর হাত থেকে গলগল করে রক্ত।ব্যাথার্থ চোখে নীলের দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বলে উঠলো অভনী,,,,
—তাহলে বলছেন না কেনো?
নীল অভনীর হাত ছেড়ে ছিটকে দূরে সরিয়ে দিলো তাকে।অভনী হাতে ব্যাথায় কুকিয়ে উঠে বললো,,,
—আহ্।
নীল অভনীর হাতের দিকে তাকালো,,,রাগী চোখে তাকিয়ে চিল্লিয়ে বলে উঠলো,,,,
—গেট লস্ট,,,জাস্ট গেট লস্ট মাই রুম।আপনার মতো নিচু মেন্টালিটির মানুষ আমার রুমে ডুকার সাহস পান কোথা থেকে?আই সেইড জাস্ট গেট লস্ট মাই রুম।
অভনী অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে নীলের দিকে।এমন হঠাৎ হঠাৎ মানুষ টার রেগে যাওয়ার কারন বুঝতে পারেনা সে।নীলের অগ্নিভরা দৃষ্টি দেখে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না । চোখ দুটো খুব জ্বালা করছে তার।মনে হচ্ছে ঝুম বৃষ্টি হবার আগে মেঘের সেই গর্জনের মতো জ্বলে উঠছে।হয়তো কিছুক্ষন পরই তার চোখের আকাশে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে।অভনী ধীর পায়ে এগিয়ে নিজেদের রুমে চলে গেলো।নিচে পা ঝুলিয়ে রেখে খাটের উপর টুপ করে বসে পরলো সে।দৃষ্টি এখন বারান্দায় লাগানো রাখা ঝিকঝিক করা মরিচ বাতির দিকে,,,চারদিকে এতো এতো আলো আর হৈ হুল্লোরের মধ্যে নিজেকে কেমন অন্ধকার অন্ধকার লাগছে তার।আচ্ছা এই মানুষ টা কষ্ট দিলে এমন লাগে কেনো?আচ্ছা শুনেছি প্রিয় মানুষ টার কষ্টে চোখ এমন জ্বালা করে তাহলে কেনো আমার এমন হচ্ছে?ওনি অন্য কাউকে ভালোবাসে শুনে আমার কেনো ভিতর টা জ্বলে পুরে যাচ্ছে?কে সেই মানুষটা?নিতু আপু?নাকি ওনার ক্যাম্পাসের কেউ?
অভনীকে ভাবনার জগৎে হাবুডুবু খেতে দিয়েই দরজা ঠেলে ভিতরে ডুকে এলো নীল,,,বিয়ে বাড়ির এতো এতো মানুষের ভিড়ে দুতলা টা প্রায় খালি এখন।হাতের ফাস্ট এইড বক্স টা খাটের উপর রেখে অভনীর এক পাশে বসে পরলো নীল,,,হাতে কারো টানের শব্দে হুঁশ ফিরলো অভনীর,,পাশ ফিরে নীল কে দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকালো সে,,,একটু আগে তো নিজেই বের হয়ে যেতে বললো।তাহলে এখন আবার যেচে নিজেই কেন আসতে গেলো?যাক না ওনি ওনার ভালোবাসার মানুষ টার কাছে।আমার কাছে কেনো এসেছে?নিজে ব্যাথা দিয়ে এখন নিজেই মলম লাগাতে আসছে?হাতে ব্যাথায় মলম লাগাতে পারলেও আমার ভিতর টা জ্বলে যাচ্ছে ওটার কি হবে?এভাবে জ্বলতে থাকলে ভিতর দিকে পুরে একসময় যে আমি মরে যাবো।
হাজারো অভিমানের শব্দ গুলো একসাথে জমে ঝুলি হয়ে যাচ্ছে অভনীর মধ্যে। নীল অভনীর দিকে না তাকিয়ে একমনে হাত পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিতে লাগলো।ব্যান্ডেজ করা শেষে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠলো নীল,,,
—আই এম সরি মিস. অভনী।আমার রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকে না।কি বলতে কি বলে ফেলি নিজেই জানি না।
অভনীর ইচ্ছে করছে এই মূহুর্তে কাচা চিবিয়ে খেতে নীল কে।কি পেয়েছে কি যখন যা মন চাইবে তাই করবে?নিজের প্রেয়সীর কাছে ছেকা খেয়ে বেকা হয়ে আমার হাত কাঁটবে?
কিন্তু না এই লোকটার যা রাগ এগুলা বল্লে হয়তো আমাকেই কাঁচা চিবিয়ে খাবে।মুখ ফিরিয়ে বাচ্চাদের মতো মুখ ফুলিয়ে ঠোঁট উল্টে অভিমানি সুরে বলে উঠলো অভনী,,,,
—আপনি খুব পঁচা হিরো সাহেব।
মুচকি হেসে বলে উঠলো নীল,,,
—তাই?
–হাম হাম।আপনার জন্য আমার আর আজকে মেহেদীর রঙে হাঁতটা রাঙানো হলো না।
নীল উঠে দাঁড়ালো। অভনীর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো।আবারো বলে উঠলো অভনী,,,
— আচ্ছা ভাইয়ার বিয়ের পর থেকে তাহলে আপনি আমার রুমে পড়াচ্ছেন তাইতো?
ভ্রু জোরা কুঁচকে জিগ্যেস করলো নীল,,,
—কেন? আমার রুমে কি হয়েছে?
—বারেহ আপনি ই তো না করেছেন আপনার রুমে যেতে।
নীল আবারো মুচকি হেসে উঠে দাঁড়িয়ে হাঁটা ধরলো নিজের রুমের উদ্দেশ্যে।
?
————————–
আজ নীরব আর মাইশার গায়ে হলুদ।বাগানের সামনে বড় একটা স্টেজে হলুদের অনুষ্ঠান হবে ওদের।মেয়েদের জন্য টাটকা কাঁচা হলুদের সাথে সবুজে কম্বিনেশনে শাড়ি আনা হয়েছে।আর ছেলেদের জন্য হলুদ রঙের পাঞ্জাবি তে সবুজ সুতার কাজ।মাইশা পরেছে হলুদ রঙের লেহেঙ্গা,, নীরব সাদা রঙের দামী পাঞ্জাবি তে সাদা সুতোয় কাজ।
অভনী আজ বাঙালী স্টাইলে শাড়ি পরেছে।ব্লাউজ দিয়ে কাঁটা জায়গা টা ডেকে নিয়েছে সে,,নাহলে মায়ের,, ছোট মা ছোট আব্বুর একগাদা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।লম্বা চুল গুলো কে খোঁপায় আটকে রেখে চারপাশে গাজরা ফুল গুজে দিলো।চোখে গাড়ো কাজল,,ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক,,কানে দুল আর গলায় ছোট্ট নেকলেসের সাথে হাতে একমুঠ হলুদ সবুজের চুড়ি পরে নিলো সে।
আরিহা কেও একি সাজে সাজিয়ে দিলো আজ,,ছোট আরিহা কে বাঙালী সাজ যেনো বড় করে তুলেছে তাকে আজ।
দুবোন সেজে একসাথেই নিচে নামার উদ্দেশ্য বের হয়।অভনী পিছে আর আরিহা সামনে।হঠাৎ কারো হেঁচকা টানে চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে ফেললো অভনী।চোখ পিটপিট করে তাকাতেই দেখলো এক হাত দেয়ালে দিয়ে আরেক হাত পায়জামার পকেটে রেখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নীল।ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করলো অভনী,,,
—এভাবে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?বিয়ে বাড়িয়ে কেউ দেখলে কি ভাববে বলুন তো?
—তাতে আমার কি?যাক একবার হলেও তাহলে আপনার মনে হলো আপনার সাথে আমাকে নিয়ে কিছু ভাবা যায়।(ভ্রু নাচিয়ে)।
—মা..মানে?
—সবই ঠিক আছে কিন্তু একটা জিনিস মিসিং।এক মিনিট চুপচাপ এখানে দাঁড়িয়ে থাকুন আমি আসছি।নড়াচড়া করলে শাস্তি নিশ্চিত।
নীল লম্বা লম্বা পা দুটো দিয়ে দ্রুত পায়ে চলে গেলো,,,অভনী একবস্তা বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছে যাওয়ার দিকে।৪০ সেকেন্ডের মাথায় আবারো ফিরে এলো নীল,,,।হাতে থাকা আলতার ডিব্বাটা নিচে রেখে হাটু গেড়ে বসে পড়লো সে।ডান পা টেনে তুলে আলতার লালা রঙে রাঙিয়ে দিতে থাকে অভনীর পা জোরা।অভনী জমে ফ্রিজ হয়ে আছে।নড়ার শক্তি টুকু পাচ্ছে না সে।
—নুপুর জোরা পায়ে জরিয়ে নিচে চলে যান।একদম বাঙালী বধু (মুচকি হেসে)
নীল রুম থেকে বেড়িয়ে নিচে চলে গেলো অভনী আলতায় রাঙানো পা জোরার দিকে তাকিয়ে ব্লাস হয়ে চলে গেলো নুপুর জোরা পায়ে জরাতে।
সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে চারপাশে নীল কেই খুঁজছে অভনী,,কিন্তু না কোথাও নেই।শেষ সিড়িতে আসার পরেই পাশ থেকে বলে উঠলো নীর্ঝয়,,,,
—ইউর লুকিং সো বিউটিফুল (মুচকি হেসে)
—ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনাকেও খুব সুন্দর লাগছে।
নীর্ঝয় মুচকি হেসে পাশ কেটে চলে যাচ্ছে।”যখন মায়া বাড়িয়ে কোনো লাভ হয়না,, তখন মায়া কাঁটাতে শিখতে হয়”
এই মেয়েটাকে দেখলে বুকের ভিতর টা চিনচিনে ব্যাথা করে নীর্ঝয়ের।ঘৃনা হয় মাঝে মাঝে নিজের প্রতি।কিভাবে পারলো সে নিজের বন্ধুর ভালোবাসার মানুষ টাকে ভালোবাসতে?ভাগ্যিস আগে আগে জানতে পেরেছিলো নাহলে সারাজীবন বন্ধু নামের কলংক হয়ে থাকতে হতো,,,সে ব্যাথা এই ব্যাথার থেকে হাজার গুনে বেশি।এসব ভাবতেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নীর্ঝয়।
?
রাত ১১ টা
চারদিকে গান বাজনা আর হলুদ দেবার দুম থাকলেও নীল কে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।অভনীর অবাধ্য চোখ দুটো ঘুরে ঘুরে শুধু নীল কেই খুঁজছে।কয়েকজন ছেলে নিজে থেকে কথা বলতে আসলেও খুব সূক্ষ্ণ ভাবে এড়িয়ে গেছে অভনী।ছেলে গুলো তবুও পাশ ছাড়তে না চাইলে নীর্ঝয় কাজ দেখিয়ে নিয়ে গেছে ওদের।হয়তো বন্ধুর ভালোবাসার মানুষ টাকে বন্ধুর জন্য রেখে দিতে চাচ্ছে।
অনেকেই গানের তালে তালে নাচছে।আরিহা নাচতে যেতেই পার্টনার হিসেবে পাশ থেকে উঠে গেলো মাহিব,,,গানের টিউনে বেজে উঠলো,,,
“আসসালামু-আলাইকুম বিয়াইন সাব”
গানের তালে তালে নাচছে ওরা,,,আরিহার কানের পাশে মুখ নিয়ে বলে উঠলো মাহিব,,,
—আজকে কিন্তু একদম পিচ্ছি লাগছে না বিয়াইন সাহেবা।ইউর লুকিং সো বড় বড়?,,একদম বউ বউ লাগছে(ফিসফিসিয়ে)
মাহিবের এতো কাছে আসা আর বলা কথাগুলোতে কেমন লজ্জা লজ্জা লাগছে আরিহার।গানের তালে তালেই ছিটকে দূরে সরে গেলো সে।
?
সবার নাচ শেষে সবাই অভনী কে জোর করছে নাচার জন্য।নীল কে এখনো দেখা যাচ্ছে না।হঠাৎ করে ভাইয়ের গায়ে হলুদের দিন কোথায় গায়েব হয়ে গেলো ছেলেটা?সবার মন রক্ষার্তে ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো অভনী নাচার উদ্দেশ্যে।সামনে যাওয়ার সাথে সাথেই আলো বন্ধ হয়ে গেলো।আস্তে আয়াতে আবছা আলোর সাথে ফুটে উটতে লাগলো রোমান্টিক গানের টিউন,,,,
“” হাম….ম তেরে বিন””
অভনী গানের তালে একা একাই নাচতে লাগলো,,,হুট করে মাস্ক পড়া একজন অভনীর সাথে তালে তালে কাপল ডান্স করতে লাগলো,,লোকটার প্রতিটা ছোঁয়ায় বার বার কেঁপে উঠছে সে।খোলা পেটে হাত রাখতেই ঠান্ডা অনুভব করে কেঁপে উঠলো অভনী।চোখ জোরা নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে গেলো।কিন্তু লোকটার এতে কোনো ভাবান্তর নেই,,,সে নিজের মতো করে গানের তালে তালে অভনী কে নিয়ে নাচতে ব্যাস্ত।
গান শেষ হতেই আলোর সাথে ফুটে উঠলো চারদিক থেকে হাত তালির বাজনা,,,অভনীর চোখ দুটো খুঁজছে তার ডান্স পার্টনার কে।কিন্তু না! শুধু হলুদ কালারের পাঞ্জাবি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলো না মানুষটার।অভনীর নিজের জায়গার পাশে এগিয়ে আসতে আসতে পেটে লোকটার স্পর্শের জায়গায় হাত রাখলো।হাতে কিছু একটা লাগতেই থেমে গেলো সে।পেট থেকে হাত টাকে সামনে এগিয়ে এনেই এনেই দেখতে পেলো হলুদে ছেয়ে গেছে ওর হাত।অভনীর বুঝতে পারলো পেটে হাত রেখে হলুদ ছুইয়েছে লোকটা।
কিন্তু কে সে!
লোকটার স্পর্শ এতো চেনাচেনা লেগেছে কেনো?
#চলবে,,,,,,