আমার রাজ্যের রানী পর্ব-১৮

0
788

#আমার রাজ্যের রানী
#Part :18
#Writer : Sriti Nur Avni

?
ড্রইং রুমের সোফায় বসে আছে সবাই,,,নীল বসে আছে হুইলচেয়ারে আর অভনী রান্না ঘরে সবার জন্য চা,,কফি বানাতে।

—ভাইয়া তুই এতোদিন পর আসলি তাও না জানিয়ে কেনো বলতো?আমি কি তোকে রিসিভ করতে যেতাম না? (নীল)

—হু তুই যাবি তোর এই ভাঙাচূরা হাত পা নিয়ে?তাছাড়া এখন আসার কোনো ইচ্ছা ছিলো না কিন্তু আমার একমাএ ভাই টা এমন আতুরা হয়ে গেছে শুনলাম এখন যদি আমি এসে তোরে ঠিক না করি তাহলে তোর তো জীবনেও বউ না পাইয়া বিধবা হয়ে থাকতে হবে রে তাই আসতে হলো? (নীরব)

—জ্বি না ভাইয়া আমার জন্য মেয়েরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ?
এখন তো তোর জন্য মেয়ে ঠিক করার পালা,,আহারে আমার ভাই টা বুড়ো হয়ে যাচ্ছে ভাবির শোকে (নীল)

—হুম আমিও সেটাই ভাবছি রে নীল (নীহাল)

—বাবা তুমিও শুরু করলে?মাএ পড়াশুনা শেষ করেছি,,অফিসে যাই কিছুদিন তারপর ভাবা যাবে।(নীরব)

—ভাইয়া তাহলে রোমাঞ্চ টা একটু কমিয়ে করিস (চোখ টিপ দিয়ে) (নীল)

—মা…নে? (নীরব চোখ বড় বড় করে)

—ওই যে something something (হেসে) তবে ভাবি কিন্তু মাশা-আল্লাহ (নীল)

—ভাবি? বাহ এই বলছে বিয়ে এখন করবে না আবার তোর ভাবিও বানিয়ে ফেলছে?আমার ছেলে এতো ফাস্ট ফাস্ট হলো কবে থেকে রে?তা কে সে? (নীলিমা)

—মামুনি তেমন কিছু না ওই আরকি এমনি,,নীল বেশি কথা বলে জানোই তো (আমতা আমতা করে একটু ভয় পেয়ে)

—কিহ আমি বেশি কথা বলি?ওকে শোন তাহলে বেশি কথা কাকে বলে,, মামুনি ভাবির নাম হলো মাইশা,,বাবার নাম মোশাররফ চৌধুরী আর মায়ের নাম মনিরা চৌধুরী। কি ভাইয়া ঠিক বললাম তো। আর বাসা পুরান ঢাকাতে (নীল)

নামগুলো শুনে নীহাল আহম্মেদ আর নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী দুজনেরই মুখটা চুপসে গেলো,,নীরবও ভয় পেয়ে মাথা নিচু করে আছে কিন্তু নীলের এতে কোনো ভাবান্তর নেই।নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী আর কিছু না বলে চলে গেলেন নিজের রুমে।পুরোনো ক্ষত নাড়া দিচ্ছে তাকে গভীর ভাবে।শাহেরা বেগম কিছুই বুঝতে পারলেন না।

নীহাল আহম্মেদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য অভনী কে ডাকলেন,,,

—কিরে অভনী মা হয়নি তোর?

—হ্যা ছোট আব্বু এখনি আসছি।

অভনী চা আর কফি নিয়ে আসলো একটি ট্রে তে করে।নীরবের মুখটাও চুপসে আছে।অভনী নীরব কে এক কাপ কফি দিয়ে বললো,,,

—ভাইয়া আপনার কফি,,(মুচকি হেসে)

নীরব ও পুনরায় একটা মুচকি হাসি উপহার দিয়ে বললো,,,

—তো অভনী কেমন আছো? (নীরব)

অভনী একটু অভাক হয়ে তাকালো নীরবের দিকে,, বললো,,,

—ভাইয়া আপনি আমার নাম জানেন?

—হাহাহা শুধু নাম কেনো আমি তোমার বিষয়ে সব কিছুই জানি।বাবা আর মামুনি কে ফোন দিলে তো বেশির ভাগ সময় তোমার কথায় বর্ননা করে।তো না চিনবো কিভাবে বলো?তাছাড়া আমার আরেকটা বোন বলে কথা। (মুচকি হেসে)

অভনীও মুচকি হাসলো,, ওর নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে আজ,,।অভনী বললো,,

—জ্বি ভাইয়া ভালো,,, আপনি?

—আমি আর ভালো যেই বাস টাই না দিলো নীল (নীলের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বিরবির করে)

—কিরে কিছু বললি ভাইয়া? কেমন আছে জিজ্ঞাসা করছেন উত্তর দে।(ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে নীরব কে চোখ টিপ দিয়ে,,,নীল)

—হ্যা হ্যা ভালো তো ভালো না খুব ভালো (নীরব রাগে দাঁতে দাঁত চেপে)

নীহাল আহম্মেদ একমনে চা খেতে লাগলেন।অতীত গুলো তাকেও আজ বড্ড নারা দিচ্ছে।নীলিমার কথা মনে হতেই চায়ের কাপ টা রেখে বললেন,,
—নীরব নীল কে উপরে দিয়ে এসো ওর রেস্ট এর প্র‍য়োজন।

—জ্বি বাবা (নীরব)

নীহাল আহম্মেদ আর কিছু না বলে চলে গেলেন নিজের রুমে,,, গিয়ে দেখলেন নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী বারান্দায় দাঁড়িয়ে একদৃষ্টিতে নিচের দিকে তাকিয়ে আছেন।নীহাল আহম্মেদ কাঁধে হাত রাখলেন ওনার।নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেখলেন ওনি কান্না করছে। চোখের পানি গুলো মুছে দিয়ে বললেন,,,

—কষ্ট পেয়ো না নীলু।আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন,,,আমি কি তোমাকে কম ভালোবাসি বলো? কোনোদিনও বুঝতে দেয়নি কারো অভাব তাহলে তুমি কাঁদছো কেনো নীলু?

নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী কান্না করতে করতে ঝরিয়ে ধরলেন ওনার ভালোবাসার মানুষ,,ওনার বন্ধু,,, ওনার সহযোদ্ধা,, ওনার স্বামী কে।নীহাল আহম্মেদ ও পরম যত্নে জরিয়ে ধরলেন ওনাকে,,,কষ্ট ওনার ও হয়।মাঝে মাঝে কষ্টের সাগরের অতলে হাড়িয়ে যান ওনি,,,তবুও ওনি সুখী,,, বিনিময়ে এমন একটা সহধর্মিণী পেয়েছে যে।

?
নীরব নীল কে কোলে তুলে নীলো,,,সিড়ি দিয়ে উঠার সময় নীল বললো,,,

—কিরে কেমন দিলাম ভাইয়া?

—চুপ কর নইলো এখন একটা আচার মারবো,,,খেয়ে খেয়ে বস্তা বানিয়েছিস শরীর টাকে,,,আচার মেরে বাকি হারগুলোও ভেঙে ফেলবো (রাগী দৃষ্টিতে)

—এহহ মোটেও আমি মোটা না,,জিম করা বডি আমার তুলতে কষ্ট তো হবেই,,আর এই জন্যই তো তুই চলে আসলি,,তাছাড়া ফেলে দিলে ভালোই হয় বেশিদিন সেবা পাবো বসে বসে।সেবা পেতে কার না ভালো লাগে বল ভাইয়া?আর আমি যদি আজ এতোটুকুও না বলতাম তাহলে সত্যি সত্যি তোকে সারাজীবন বউ ছাড়া বউয়ের শোক করতে হতো,,,আমি জানি তুই জীবনেও এটা বলতে পারবি না। (নীল)

নীরব নীল কে ওর রুমে নিয়ে খাটে শুইয়ে দিয়ে বললো,,,

—মামুনি বাবা যে কষ্ট পেলো রে,,,তাছারা মেনে নিবে কি ওরা? (মন খারাপ করে)

—আরে ভাই দে না একটু কষ্ট পেতে,,,দেখ আমি কিভাবে তোদের সবাই কে মিলিয়ে দেই ?,,যতোই হোক আমার ভাই জীবনে একটা প্রেম করেছে একটা বকর্তব্য তো আমার আছেই তাইনা?

—হু বকবক না করে রেস্ট নে আমি নিজের রুমে গেলাম।

?
রাত ৯:৩০ মিনিট

নীলিমা আহম্মেদ চৌধুরী নীল কে খাইয়ে দিয়ে অভনীর রুমে গিয়ে ওকে বললেন,,

—মামুনি তোদের রুম তো কাছে নীলের কিছু লাগলে দেখিস,,বলছিলাম আমি একসাথে ঘুমাই কিন্তু নীল না করে,,,তাই তুই একটু খেয়াল রাখিস কেমন?

—ওকে ছোটমা আমি খেয়াল রাখবো তুমি চিন্তা করো না।

ছোট মা অভনীর কপালে একটা চুমু দিয়ে আরিহার মাথায় হাত ভুলিয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে চলে গেলেন,,,

রাত ১০ টায় আরিহা কে শুইয়ে দিয়ে অভনী নীলের রুমে গেলো,,,গিয়ে দেখলো নীল কিছু একটা নেয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না,,,অভনী বললো,,,

—আরে আরেহ আমি দিচ্ছি আপনি বসুন সোজা হয়ে।

—হুহ দরকার নেই আমার ঔষুধ আমিই খেতে পারবো। এতোক্ষনে আর আসার দরকার নেই কারোর।

—হুম কতোটুকু নিয়ে খেতে পারবেন তা দেখা হয়ে গেছে আমার,,চুপ করে বসে থাকুন নড়াচড়া করবেন না একদম।

অভনী ঔষুধ গুলো নিয়ে নীল কে খাইয়ে দিয়ে বললো,,,

—আপনি ঘুমান তাহলে,,আমি যাই।

—যাই মানে আমি কি একা একা হাঁটতে পারি নাকি?যদি রাতে কিছু দরকার হয় তাহলে?তাছারা এখন আমি ওয়াশরুমে যাবো নিয়ে চলো আমাকে।

নীল অভনীর হাতে ভর দিয়ে উঠলো।নীলের ছোঁয়ায় অদ্ভুত এক শিহরণ বয়ে গেলো অভনীর।সে বুঝতে পারে না এই মানুষটা কাছে আসলে তার দম বন্ধ হয়ে আসে কেনো?কেনো হার্টবিট এতো ফাস্ট হয়ে যায়?কেনো মনে হয় বুকের ভিতর কেউ হাতুড়ি পেটা করছে?কেনো কেনো কেনো?এই কেনোর উওর জানা নেই তার।

—মিস. অভনী কি ভাবছেন এতো?আমাকে কি ওয়াশরুমে নিয়ে যাবেন নাকি সারারাত এভাবেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবনা জগৎে থাকবেন?

নীলের কথায় অভনী একটু লজ্জাভূত করলো,,,মুখে ছোট্ট করে এক টুকরো হাসি ঝুলিয়ে বললো,,,

—না চলুন এখনি নিয়ে যাবো।

রাত ১০:৩০ মিনিট,,,

—আচ্ছা আপনি ঘুমান আমি এবার যাই?রাতে কিছু লাগলে ফোন দিবেন চলে আসবো।

নীল আর কি বলবে বুঝতে পারছে না।অগত্যা একঝাঁক হতাশা নিয়ে বললো,,

—ওকে।

অভনী নিজেদের রুমে গিয়ে যখনি ঘুমুতে যাবে ফোনের রিংটোনে ভ্রু কুচকে তাকালো সে ফোনটার দিকে,,,মাএই তো আসলো তাহলে এখুনি কেনো?নাহ যাই যদি কোনো দরকার হয়।

এসব ভাবতে ভাবতেই অভনীর নীলের রুমে এসে দাঁড়ালো,,দেখলো নীল আগের মতো করেই বসে আছে,,অভনী বললো,,,

—কি ব্যাপার হিরো সাহেব ফোন দিলেন যে?

—পিকু বারান্দায় আছে ওকে দিয়ে যান আমার কাছে।

অভনী গিয়ে পিকু কে নিয়ে আসলো,,,পিকু অভনী কো দেখে অনী অনী করতে লাগলো,,,অভনী পিকুর মাথায় হাত ভুলাতে ভুলাতে নীলের কাছে দিয়ে বললো,,,

—এই নিন,,,ঘুমিয়ে পরুন এবার হিরো সাহেব।আসি।

অভনী নিজের রুমের দরজায় যাওয়ার পরপরই আবার ফোনের রিংটোনের শব্দে ভ্রু জোরা কুঁচকে গেলো নিজে থেকেই,,,মানুষ টার রুম থেকে তো মাএই এলো এখন হয়তো অনয় কেউ কল দিয়েছে,,,সেই আশায় রুমে ডুকে মোবাইল টা হাতে নিলো সে,,,কিন্তু ফোনের স্কিনে বড় বড় করে হিরো সাহেব লেখাটাই ফুটে উঠলো,,,অভনী মোবাইল হাতে আবারো আবারো যেতে লাগলো,,,,

—ঘুমুচ্ছেন না কেনো হিরো সাহেব?

—আমার কি দোষ এই যে পিকু বার বার অনী অনী করছে,,,অনী কে ছারা নাকি ঘুমুতে পারবে না।

—ওকে আপনি ঘুমিয়ে পরুন আমি পিকু কে নিয়ে যাচ্ছি।

নীল কিছু বলার আগেই অভনী পিকু কে নিয়ে বের হয়ে গেলো রুন থেকে,,,তবে এবার নীলের রুমের সামনেই দাঁড়িয়ে রইলো সে,,,ওর ধারনা ভুল না হলে এখুনি আবারো কল দিবে নীল,,,ওর ভাবনার ঝুলি ওর কাছে রেখে সাথে সাথেই আবারো ফোন টা বেজে উঠলো তার,,,অভনী এবার আর মোবাইলের দিকে না তাকিয়েই নীলের রুমে হাজির হলো,,,

—আবার কি হয়েছে?

—না মানে আমার খুব গরম লাগছে এসি টা অন করে দাও (ইননোসেন্ট ফেস নিয়ে)

—আপনার রুমে এসি চালু করা আছে,,, পাখা ছাড়া আছে তার পরও গরম লাগছে?

—ওহ মনে ছিলো না এসি ছাড়া।আচ্ছা আপনি এই রুমেই থাকুন না বার বার যেতে আসতে তো জামেলা তাই না?বিশ্বাস রাখতে পারেন ভালো থাকতেই যখন কোনে ক্ষতি করিনি so এই ভাঙা হাত পা নিয়েও নিশ্চয়ই কিছু করবো না?

অভনী আর কিছু না বলে খাটের এক পাশে থাকা সোফায় একটা বালিশ নিয়ে শুয়ে পরলো,,,নীল মুচকি হেসে তাকিয়ে রইলো অভনীর দিকে।

মাঝরাতে ফোনের রিংটোনে ঘুম ভেঙে গেলো অভনীর।ঘুম ঘুম চোখে আগে নীলের দিকে তাকালো সে কিন্তু নীল কে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন দেখে একটু অবাক হলো সে,,,এতো রাতে কে ফোন দিবে তাকে?মানুষটার ঘুম ভেঙে যাবে বিধায় একরাশ বিরক্তি নিয়ে ধীর পায়ে বারান্দার দিকে হাঁটা দিলো সে,,,বারান্দায় গিয়ে ফোন টা রিসিভ করে বললো,,,,

—হ্যালো আসসালামু আলাইকুম!

—কেমন আছো?

অপর পাশের কন্ঠসুরে ঘুম টা চলে গেলো অভনীর,,,,, কাঁপাকাঁপা সুরে বললো,,,

—আ…পনি?

–হ্যা আমি,,শাফিন ইকবাল খান।অন্য কাউকে আশা করেছিলে বুঝি?

—এ..তো রা..তে কল দিয়েছেন কেনো আপনি আমায়?(হালকা ভয় পেয়ে)

—বাহ অন্য জনের সাথে তো ফষ্টিনষ্টি ঠিকই করতে পারো আর আমার সাথে একটু কথা বলতে পারবে না?তা কে সে নাম টা বলো আমিও শুনি একটু।

—মুখ সামলে কথা বলুন মি. শাফিন,,,,ওনি আমার স্যার হন,,Nothing else.

—ওহহ তাই বুঝি?আমার থেকে বড়লোক ছেলে পেয়ে গেছো তাহলে আর আমাকে দরকার হবে কেনো,,,ওকে আমার দরকার আমি নিজেই বুঝিয়ে দিবো তোকে,,,ভালোবাসি তোরে আমি,,এতো সহজে তো ছারছি না।

—ভালোবাসা মানে না এমন না মি.শাফিন,,ভালোবাসার মানুষ কে অসম্মান করে ভালোবাসা দেখাতে আসছেন আপনি?

—সাট আপ,,, জাস্ট সাট আপ আমাকে ভালোবাসা শেখাতে এসো না।বলেছিলাম না পয়েল টা খুলবে না তারপর ও খুলেছো আর তাই তো নিজের পায়ের এমন অবস্থা দেখতে হয়েছে।so আমি যা বলবো তাই করো নাহলে আরো ভয়ানক হয়ে যাবে।

—-আ…পনি কেঁ…টেছেন আমার পা?

—হ্যাঁ কেটেছি আমাকে ভালোবাসো আকাশ সমান ভালোবাসা দিবো আর এমন করবে তো আমি আকাশ সমান ভয়ানক হয়ে যাবো ঝাল মরিচ।

অভনী আর কিছু না বলে কল টা কেটে দিয়ে মোবাইল টা বন্ধ করে ফেলল,,, রাগে পুরো শরীর গজগজ করছে তার,,,মধ্যরাতের হালকা বাতাসে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে অভনী,,,শাফিন এতে বড় অপরাধ করার পরেও ওর মুখ বুঝেই থাকতে হবে,,,,কি করবে এই শহরে এসেছে পেটের দায়ে তাই এইসব নিয়ে পরে থাকলে হবে না তার,,,চোখ দিয়ে দুফোটা নোনা জল গাল বেয়ে গরিয়ে পরলো তার,,,আচ্ছা ভালোবাসা কি এমন?যাকে কষ্ট দিয়ে জোর করে হলেও পেতে হবে?

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রুমের দিকে হাঁটা দিলো অভনী,,,নীল ঘুমুচ্ছে,,,, ঘুমুন্ত অবস্থায় কি নিস্পাপ ই না লাগছে তাকে,,,অভনী একদৃষ্টিতে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো নীলের দিকে,,, একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শুয়ে পরলো সোফায়।

অভনীর মোবাইলের রিংটোনের মধ্যরাতের বিরক্তিকর শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছিলো নীলের,,,এতো রাতে অভনী কে কে কল দিয়েছে বুঝতে পারছে না সে,,,তাই ঘুমের ভান ধরে কথা শোনার চেষ্টা করেছে সে।
অপর পাশের কোনো কথায় শুনতে পায়নি সে তবে অভনীর সবগুলো কথাই শুনেছে সে,,,
অভনীর মুখের ভালোবাসার কথা গুলো,,,পা কাঁটার কথ আর শাফিন নাম টা খুব ভালো করেই গিতে গেছে নীলের মনে।সে ভাবছে,,,

—কে এই ছেলে?কার এতো বড় সাহস?আচ্ছা অভনী কে কি আগে থেকে চেনে?কোনো সম্পর্ক আছে বা ছিলো?

#চলবে,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here