#আমার রাজ্যের রানী
#Part : 16
#Writer : Sriti Nur Avni
?
এক হাতে ছাতা আর আরেক হাতে কিছু ফাইল নিয়ে রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে অভনী। চোখে মুখে বিরক্তি স্পষ্ট। এই বিরক্তি টাতেও এক বস্তা বিরক্ত হচ্ছে সে।প্রায় ২০ মিনিট যাবৎ দাঁড়িয়ে আছে সে তবুও একটা বাস ও পেলো না।পায়ের অবস্থা এখন অনেক টাই ভালো।তাই আজ অফিসে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছে।কিন্তু এখনো পর্যন্ত গাড়ি না পাওয়ায় এক বস্তা বিরক্ত নিয়ে পাশে থাকা ছোট বেঞ্চ টাতে বসে পরলো।
একটু পরেই গাড়ির হনের শব্দে ভ্রু কুচকে সামনে তাকালো অভনী।গাড়ির ভিতর থেকে সামনের দিকে তাকিয়ে একনাগাড়ে হন বাজিয়ে যাচ্ছে নীল।অভনী বুঝতে পারলো ওর জন্যই এভাবে হন বাজানো হচ্ছে।তাই আপাতত আর শব্দ দূষন হতে না দিয়ে বসা থেকে উঠে গাড়ির দিকে পা বাড়ালো সে।গাড়ির কাছে গিয়ে বললো,,,
—আপনি কানে কম শুনেন আগে জানতাম না তো।এমন ভাবে হন বাজাচ্ছেন কেনো?
—এখানে এভাবো দাঁড়িয়ে আছেন কি বাসে করে ছেলেদের সাথে ঠেলাঠেলি করে যাবার জন্য? কিন্তু আমাদের বাসায় ভাড়া থাকেন আমাদেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে তাইনা মিস অভনী? (রেগে)
অভনী বুঝতে পারছে তার সামনে গাড়িতে বসা সুদর্শন ছেলেটি রেগে যাচ্ছে।আর তার রাগ যে কতটা ভয়ংকর তা সে সেদিনই বুঝতে পেরেছে।কি দরকার মানুষটার সাথে কথা না বলে অভিমান করে থাকার?স্যার আর PA এর সম্পর্কে স্যার রাগ করে মারতে পারলেও PA এর তো রাগ করার অধিকার নেই।যদি সে হয় আমার মতো অভাগা।তবে শুধুই কি দায়িত্ব বোধের জন্যই যেতে বলছে?অভনী ভাবনা ঝুলি টাকে এই মুহূর্তে দূরে ফেলে দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।নীল অভনীর সিটবেল্ট টা লাগিয়ে আর কিছু না বলে গাড়ি চালাতে লাগলো।
অভনী একমনে বাহিরের দিকে তাকিয়ে ব্যাস্ত শহর টাকে দেখতে লাগলো।সবাই যার যার কাজ নিয়ে ব্যাস্ত। হালকা ভেজা খোলা লম্বা চুল গুলো উরে এসে নীলের চোখে মুখে লাগছে,,,,অদ্ভুত এক ভালো লাগার অনুভূতি হচ্ছে তার ❤,,, কিছুদূর যাবার পর নীল হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে দিলো,,অভনী ভ্রু কুচকে নীলের দিক্র তাকালো।
নীল শান্ত দৃষ্টিতে অভনীর দিকে তাকিয়ে এক প্যাকেট কিটকাট চকলেট অভনীর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,,,
—সরি!!আমি সেদিন এমন ভাবে বলতে চাইনি,,,রাগ উঠলে আমার মাথা ঠিক থাকেনা।
নীল সরি বলাতে অভনী একটু অভাক হলো।তবে মনে মনে খুব ভালো লাগতে লাগলো এ কারনে যে মানুষ টা ছোটখাট নিজের ভুল গুলোতেও দুঃখ প্রকাশ করে। অভনী মুচকি হেসে বললো,,,
—ইট’স ওকে হিরো সাহেব।
নীল হালকা মুচকি হেসে গাড়ি ড্রাইভ করতে লাগলো।তার উপর থেকে যেনো একটা বড় বোঝা নামানো হলো বলে মনে হচ্ছে তার।ইসসস কতদিন পরে হিরো সাহেব বললো সে।
নীল অফিসের সামনে এসে গাড়ি থামালো,,অভনী কে নামিয়ে দিয়ে সে চলে গেলো মেডিকেল ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্য। অভনী ও ভিতরে চলে গেলো।
অফিসের মধ্যে সারাদিন খুব ভাভালো ভাবেই কেটে গেলো অভনীর।রুমি আর জিসানের ঝগড়া দেখতে এখন খুব ভালো লাগে তার।তবে ওদের দুজনেরই যে দুজনের প্রতি ভালো লাগা আছে সেটা বেশ বুঝতে পারছে অভনী।lunch টাইমে নিহাল আহম্মেদ অভনী কে ডেকে পাঠিয়ে একসাথে lunch করলেন।তবে এতে অফিসের বেশ কয়েক জনের হিংসার পাএি হয়ে উঠলো অভনী।সবাই হিংসা করতে ভালোবাসে,,বড্ড বেশিই ভালোবাসে। সারাদিন অফিসের পর নিহাল আহম্মেদ এর সাথেই বাসায় ফিরলো অভনী।নিহাল আহাম্মেদ খুব কড়া ভাবে বলে দিয়েছেন নীল অফিসে গেলে নীলের সাথে আর নইলে ওনার সাথে অভনী কে অফিসে যেতে,,,একবাসা থেকে যাবে এতে আলাদা যাবার কোনো মানে আছে বলে মনে হলো না ওনার।বাসায় গিয়ে কলিংবেল বাজাতেই শাহেরা বেগম এসে দরজা খুলে দিলো।অভনী মা কে জরিয়ে ধরে উপরে নিজেদের রুমে চলে গেলো।
আরিহা একমনে বইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে পরছে ও না আবার লিখছেও না।অভনী আরিহার কাছে গিয়ে বললো,,,
—কিরে অরু এমন ভ্যাবলাকান্তের মতো হয়ে আছিস কেন?আজকে তো নতুন স্কুল এ 9 এ ভর্তি হবার কথা।মা নিয়ে গিয়েছিলো?
—হ্যা রে আপু নিয়ে গিয়েছিলো।তুমি এখনো আসতে ছিলে না তাই বইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।তুমি না বুঝিয়ে দিলে আমি এই ভয়ানক ভয়ানক simple এর মধ্যে gorgeous রসায়ন পদার্থবিজ্ঞান জীববিজ্ঞান এর মতো জিনিষ গুলো বুঝবো কীভাবে বলোতো?
—হয়েছে এই নে চকলেট (ব্যাগ থেকে বের করে)।তুই চকলেট খা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর তোকে বুঝিয়ে দিবো।
—ওকে মাই কিউটি গুলুমুলু আপুই?
অভনী ফ্রেশ হয়ে এসে আরিহা কে পড়া বোঝাতে লাগলো,,,যার কাঁধে এতো এতো দায়িত্ব তার সারাদিন কাজ করার পরও হয়তো ক্লান্ত হতে নেই।অভনীদের পাশের রুম টাই নীলের রুম।নীল অভনীদের রুমের পাশ দিয়ে নীচে নামতে যাচ্ছিলো তখনি অভনীদের দরজা খোলা থাকায় দেখতে পেলো অভনী আরিহা কে বোঝাচ্ছে।
নীল দরজায় হেলান দিয়ে হাত দুটো ভাজ করে তাকিয়ে আছে অভনীর দিকে।কি সুন্দর বোঝানোর ক্ষমতা তার।অভনী অন্য দিকে ঘুরে থাকায় নীল কে দেখতে পেলো না তবে আরিহা দেখতে পেয়ে কুচকুচে কালো ভ্রু জোরা কুচকে তাকিয়ে আছে দরজার দিকে।যার মানে এই মুহূর্তে নীল কে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে তার কাছে এলিয়েন এর মতো লাগছে।আরিহার মনোযোগ না পেয়ে অভনী আরিহার দিকে তাকিয়ে বললো,,,
—কি দেখছিস তুই এমন করে কখন থেকে বুঝাচ্ছি বোঝতে পারছিস না কেনো?দরজার দিকে তাকিয়ে আছিস কেন কি আছে?
অভনী দরজার দিকে তাকালো তবে কাউকেই দেখতে পেলো না।তাই কপালটা ভাঁজ করে হালকা রাগ ফুটিয়ে তুলে আবারো বললো,,,
—কিরে অরু কিছুই তো নেই কি দেখছিস বল?
অভনীর কথায় আরিহা একটু থতমত খেয়ে গেলো,,নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,,,
—আপু,,পু দেখো দরজা টা কি সুন্দর তাই না?একদম রাজমহলের দরজার মতো (জোর করে হাঁসার চেষ্টা করে)
—শুধু পড়া ফাকি তাই না?তারাতাড়ি পড় আমাকেও অফিসের একটু কাজ করে পরতে বসতে হবে।কালকে আবার আমার একটা পেজেন্টেশন আছে।নতুন প্রজেক্ট।
?
জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ ঝাল মরিচ।তোমার ভুলের মাশুল ওই ছেলেটাকে পেতে হবে।তবে ছেলেটাও তো কম ভুল করেনি।অনেক ভুল করেছে অনেক।তোমাকে তো আমি আমার করেই ছারবো ঝাল মরিচ,,,তার জন্য আংগুল যতোটা বাঁকাতে হয় আমি তার থেকেও বেশি বাঁকাবো মনে রেখো।
?
পরের দিন
সকালে নীলের সাথেই অফিসে গেলো অভনী।অফিসে নিজের কেবিনে গিয়ে ফাইল গুলো একবার চেক করে নিলো সে।ফাইল গুলো নিয়ে নীলের কেবিনের দিকে হাঁটা ধরলো সে।
—মে আই কাম ইন স্যার?
—ইয়েস কাম ইন।তবে আমি সবাইকে অনুমতি নিয়ে নিয়ে আসতে বলিনি কেউ কেউ এমনি ই আসতে পারে।
—আপনি হয়তো ভুলে গেছেন স্যার আপনি নিজেই বলেছেন অনুমতি না নিয়ে যেনো রুমে প্রবেশ না করি স্যার।
—আজব কথায় কথায় এমন স্যার স্যার করছো কেনো?
—স্যার আপনি হয়তো এটাও ভুলে গেছেন স্যার যে আপনি বলেছেন যখন তখন আপনাকে অন্য নামে না ডাকতে,,বিশেষ করে অফিসে।
—সাট আপ আমি না বলেছি এখন আবার আমিই হ্যাঁ বলেছি।সো হ্যাঁ মানে হ্যাঁ ওকে?
—হাম।ফাইল গুলো চেক করে নিন।
কিছুক্ষন পর অফিসে কয়েক জন ক্লাইন আসলে অভনী ফাইল গুগুলো নিয়ে নীলের পিছন পিছন যেতে থাকে।খুব বেশি বয়স ও না তার।চাকরি জীবনে এই প্রথম পেজেন্টেশ্ন অভনীর।খুব বিচলিত লাগছে তবুও খুব সুন্দর ভাবেই পেজেন্টেশন টা দেখেয়েছে সে।যার ফল সরূপ এই প্রজেক্ট টা পেয়ে গেলো তারা।
অভনী রুমি অফিসের কেন্টিনে বসে আছে,,,তখনি ওইখানে জিসান এসে বসলো,,,তাকে দেখেি রুমি রেগে বললো,,,
—সবসময় আমার পিছু পিছু থাকেন কেনো বলেন তো?প্রেমে ট্রেমে পরলেন নাকি?
—হাহাহা প্রেম?তাও আবার তোমাকে?হাও ফানি!তোমার মতো শাঁকচুন্নির সাথে যে প্রেম করবে তার জীবন টা বরবাদ হয়ে যাবে একদম।
—হুহ যার ভাগ্য খুব ভালো সেই আমাকে পাবে আপনার মতো সাদা বিড়াল না হুহ।
তখনি অভনীর মোবাইল টা বেজে উঠলো,,,অভনী ব্যাগ থেকে ফোন বের করে দেখলো নীল কল দিয়েছে।তাই তারাতাড়ি করে ফোন টা রিসিভ করে নিলো কে জানে কখন আবার রেগে বুমের মতো ফুটে যায়।অভনী ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলার আগেই ওপাশ থেকে বলতে লাগলো,,,
—এক্ষুনি আমার কেবিনে আসো।এখন মানে এখুনি মনে থাকে যেনো।
অভনী বুঝতে পারেনা মানুষটার মাঝে মাঝে কি হয়ে যায়।অভনী রুমি কে বললো,,
—তোমরা টম এন্ড জেরি ঝগড়া করো আর খাও আমি গেলাম (হেসে)
—এই না আমাকে নিয়ে যাও এই জলহস্তির কাছ থেকে।
—ওই আমি জলহস্তী হলে তুমি জলহস্তিনী বুঝেছো?
—আপনার সাথে কথা বলা আর কচু গাছে ফাঁশি দেয়া এক কথা হুহ।
অভনী আর না দাঁড়িয়ে চলে গেলো।ওদের খুনশুটি ময় ঝগড়া চলতে আছে চলতেই থাকুক না প্রবলেম কি এতে?কিন্তু এখন যদি না যাওয়া হয় তাহলে কি অবস্থা করবে ওই মাঝে মাঝে বজ্জাত হওয়া লোকটাই জানে।
অভনী নীলের কেভিনের ভিতর ডুকে দেখলো পুরল টেবিলে খাবার ভরা।অভনী কিছুটা অভাক হলেও প্রকাশ করলো না।বললো,,,,,
—কেনো ডেকেছিলেন হিরো সাহেব?
—চুপচাপ সামনে বসো।
অভনীও শান্ত মেয়ের মতো চুপটি করে বসে পরে।
–এবার খাওয়া শুরু করো।
অভনী বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে নীলের দিকে।তবুও লোকটার রেগে যাবার ভয়ে খাওয়া শুরু করলো।
অভনীর সাথে সাথে নীল ও খেয়ে নিলো।খাওয়া শেষে একজন কে খাবার গুলো নিতে বলে অভনী কে বললো,,,
—এই চেয়ার থেকে একদম উঠবেন না।আমি কাজ করবো আর আপনি আমার সামনে বসেই কাজ করবেন আর কাজ না থাকলেও বসে থাকবেন।মাইন্ড ইট!
অভনী অবাকের সাথে সাথে রাগ হলেও নীলের রাগের ভয়ে চুপ করে গেলো।এরকম ভাবে কারো সামনে বসে থাকতে থাকতে বোরিংয়ের ডিব্বা টা খুব সহজেই অভনী কে আকড়ে ধরলো।কিন্তু তবুও বিরক্তিকর চেহারা নিয়ে নিজের পায়ের নক দিয়েই টাইস করা ফ্লোর টাতে খোঁচানোর অগত্যা চেষ্টা করছে সে।নীল বুঝতে পারছে অভনী বিরক্ত হচ্ছে এতে তার কোনো হেলদোল না হয়ে আরো হাসি পেতে লাগলো।আরো কিছুক্ষন এভাবে বসিয়ে রেখে অভনী কে নিজের কেবিনে যেতে বললো,,,,অভনী বের হবার সাথে সাথেই নীল হুহু করে হেসে উঠলো। আর অভনী নীল কে একগাঁধা বকা দিতে দিতে হাঁটতে লাগলো।
?
অফিসের কাজ শেষ করে নিহাল আহম্মেদ আরো পরে যাবেন বিধায় নীল আর অভনী কেই বাসার উদ্দেশ্য বের হতে হলো,,,
নীল গাড়ি ড্রাইভ করছে আর তার পাশের সিটে বসে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে অভনী। সন্ধ্যার আবছা আলোয় শহরের ব্যাস্ত মানুষ গুলো ছোটোছুটি করতে দেখতে বেশ ভালোই লাগছে অভনী।সামনে ফুচকার দোকান দেখে চেঁচিয়ে উঠলো অভনী।অভনীর কাজে নীল গাড়ি থামিয়ে ভ্রু জোরা কুঁচকে তাকালো অভনীর দিকে,,,অভনী বললো,,,,
—ফুচকা,,,আমি ফুচকা খাবো হিরো সাহেব।সেই কবে থেকে খাইনা আহা (জিব দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছে খাবার টা কওো টেস্ট)
নীল গাড়ি থেকে নেমে পরলো,,অভনীও নামলো।
—এখানে দাঁড়িয়ে থাকবে একদম নরবে না আমি নিয়ে আ,,,
নীল বলার আগেই অভনী লাফিয়ে লাফিয়ে ফুচকা খেতে চলে যেতে লাগলো তাই নীলও তার পিছন পিছন যেতে লাগলো আর অভনী কে ডাকতে লাগলো,,, কিন্তু অভনী এখনো লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটতেই লাগলো।হঠাৎ সামনে থেকে দ্রুত গতিতে একটি গাড়ি ছুটে আসতে লাগলো,,,অভনী যথেষ্ট সাইডেই ছিলো তবুও নীলের মনে হচ্ছে গাড়ি টা এদিকেই আসছে।নীল বার বার অভনী কে ডাকছে কিন্তু অভনী পিছন ফেরার সাথে সাথে জোরে একটা ধাক্কা অনুভব করলো,,,আচমকা ধাক্কার প্রভাব সহ্য করতে না পেরে একটু সামনেই ছিটকে পরলো সে।মাথা তুলে সামনে তাকাতেই দেখলো তার সামনে রক্তাত্ত অবস্থায় পরে আছে তা হিরো সাহেব।
এতোক্ষনে আসেপাশের অনেকেই এসে ঝরো হলো কিন্তু গাড়িটা প্রচন্ড দ্রুত গতিতে চলায় কেউই ধরতে পারলো না গাড়ি টাকে।অভনী দৌঁড়ে আসে নীলের কাছে,,,তীব্র বেগে রক্ত ঝরছে নীলের শরীর থেকে,,,নীল অস্পষ্ট সুরে বলে উঠলো,,,
—অনী ঠিক আছো তুমি?
অভনী পাগলের মতো কান্না করতে লাগলো কিন্তু কেউই হাসপাতালে নিয়ে যাবার ব্যাবস্থা করছে না কেউ কেউ ব্যাস্ত অভনীর কান্না দেখায় কেউ কেউ আবার ছবি তুলায় ভিডিও করায়,,,,অভনী নীল কে জড়িয়ে ধরে জোরে জোরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো এই মুহূর্তে কি করা উচিৎ বুঝতে পারছে না সে তবে সে বুঝতে পারছে,,,,
তার হিরো সাহেবের কষ্ট হচ্ছে।বড্ড বেশিই কষ্ট হচ্ছে যা ওর পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে তার,,,,
চলবে,,,,,,