আমার রাজ্যের রানী পর্ব-১২

0
915

#আমার রাজ্যের রানী
#Part : 12
#Writer : Sriti Nur Avni

?
কি গো নীল রা এখনো আসছে না কেন?

—নীল বললো নীলের নাকি শরির খারাপ করেছে তাই বাসায় চলে গেছে ওরা (নিহাল)

—সে কি আমরা বাসায় থাকতে তো দেখলাম ভালো হঠাৎ করে কি হয়ে গেলো (নিলিমা)

নীলের শরীর খারাপ হয়েছে শুনে বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো অভনীর। মানুষটার শরীর খারাপ হয়েছে শুনে ওর এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো?ওদের জন্য সরবত নিয়ে এসেই নীলের অসুস্থতার কথা শুনলো সে।না জানিয়ে আসছে ওরা তেমন কোনো আয়োজন ই করা হয়নি তবুও সাধ্যের মধ্যে যতোটুকু সম্ভব চেষ্টা করছে তারা।অভনী এখন কাজ রেখে বাজারে যেতে পারবে না বলে শাফিন কে বলে বাজারে পাঠিয়েছে শাহেরা বেগম।

শাফিন বাজার নিয়ে খুব তারাতাড়িই চলে আসলো,,শাফিন কে শাহেরা বেগম বললেন,,,

—খুব কষ্ট দিলাম বাবা,,,।রাতে এসো কেমন?

—জ্বি আপনি বলেছেন আমি কি না আসতে পারি?

সবাই মিলে তারাহুরো করে রান্না করে খেতে দিলো ওদের।নিহাল আহম্মেদ নিলিমা চৌধুরী না খেতে চাইলেও প্রথম বার আসছে বলে কথা অভনী আর অভনীর মা মিলে জোর করেই খাওয়ালেন।খেয়ে কিছুক্ষন কথা বলে চলে গেলো ওরা।অভনীর মধ্যে কেমন অস্তিরতা ভর করেছে যখন থেকে শুনেছে নীলের শরীর খারাপ তখন থেকেই।কিন্তু এখন কিছুই করার নেই ওর।নীলের ফোন নাম্বার ও নেই ওর কাছে।

রাতে শাফিন অভনী দের বাসায় আসলে শাহেরা বেগম খেতে দেন ওকে।খাবার খেতে খেতে বার বার এদিক ওদিক তাকাচ্ছে শাফিন।তাই শাহেরা বেগম বললেন,,,

—কিছু খুজছো বাবা?

—না না আন্টি।

তখনি আরিহা অভনীর হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলো। আরিহা বললো,,,
—মা আপু বলছে খাবে না ওর নাকি ভালো লাগছে না তাই আমি টেনে নিয়ে আসলাম।

—আরু চুপ করতো সবসময় শুধু পাকামো আমার এখন খেতে ইচ্ছে করছে না পরে খাবো তোরা খা।

অভনী নিজের রুমে চলে যেতে লাগলো তখনি শাফিনের নজর গেলো অভনীর পায়ে,,, অভনীর পা খালি।অভনীর পায়ে শাফিনের দেয়া পায়েল টা না দেখতে পেয়ে শাফিন রেগে গেলো।তারপর আর না খেয়েই উঠে গেলো সে,,

—কি হলো উঠে গেলে কেনো?(শাহেরা)

—আন্টি আমার পেট ভরে গেছে,,, আসি।

এটা বলেই হনহনিয়ে চলে গেলো শাফিন।

জানালার পাশে দাঁড়িয়ে চাঁদের দিকে একমনে তাকিয়ে আছে অভনী।সেদিনের নদীর পাড়ের কথা গুলো বড্ড মনে পরছে তার।মোবাইল বেজে উঠার শব্দে ভাবনা জগৎ থেকে বেড়িয়ে আসলো সে। unknown নাম্বার দেখে ধরলো না সে ২-৩ বার রিং হবার পর বাধ্য হয়েই কল টা ধরলো সে,,,

—আসসালামো-আলাইকুম।কে বলছেন?

—এক্ষনি তুমি ছাঁদে আসবে যদি না আসো তাহলে আমি কতটা খারাপ হতে পারি তা বুঝিয়ে দিবো তোমায় (শাফিন)

—শা,,ফিফিন,,

অভনী কিছু বলার আগেই ফোন রেখে দিল শাফিন আর অভনীর রাগে শরীর কাঁপছে।আবারো ফোন বেজে উঠছে অভনীর কিন্তু ফোন তুলছে না সে।এবারো বেশ কয়েক বার বাজার পর ফোন তুলে ওইপাশ থেকে কিছু বলার আগেই অভনী বলতে শুরু করলো,,,

—কি পেয়েছেন টা কি আপনি হ্যা?আপনি যা বলবেন আমাকে তাই করতে হবে?শুনুন এইসব ভিলেন গিরি অন্য কোথাও গিয়ে করুন আমার সাথে দেখাতে আসবেন না একদম।আমাকে ডিস্টার্ব করবেন না বলে দিলাম।

—হুয়াট দ্যা হেল কাকে কি বলছো তুমি?

অভনী এবার একটু দমে গেলো,,,মানুষ টার ভয়েস টা যে বড্ড চেনা ওর,,,নীল রাগি সুরে কথা বললেও সেই সুরে অদ্ভুত এক মায়া খুজে পায় অভনী। অভনী কাপাকাপা সুরে বললো,,

—হিরো সাহেব?

—কাকে কি বলছিলে আগে সেটা বলো।কে ডিস্টার্ব করেছে?

—তেমন কেউ না,,অচেনা নাম্বার থেকে কেউ একজন বার বার কল দিচ্ছিলো তাই।আপনার শরীর কেমন এখন?

—আমার শরীর এখন আর আগে কি?আমি তো এক ই আছি।

—তাহলে অসুস্থতার জন্য নাকি আমাদের বাসায় আসতে পারেন নি?

নীল এবার চুপ হয়ে গেলো আসলেই তো ও ওর মামুনি বাবা কে বলেছে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলো তাই যেতে পারে নি,,,

—তেমন কিছু না মাথা ব্যাথা ছিলো সেরে গেছে।btw congratulation। আমার ট্রিট টা কখন দিবে?

—আপনি যখন বলেন।

—ওকে কালকে সকালে অফিস চলে এসো পরে দেখা যাবে।

নীলের সাথে কথা বলে শাফিনের কথা ভুলেই গেলো অভনী।নীলের সাথে কথা বলা শেষ করে নিচে মায়ের সাথে শুয়ে পরলো সে।

?

পার্কের ছোট্ট একটা বেঞ্চিতে বসে আছে নীল আর অভনী। ট্রিট দিতে বলার নাম করে এখানে আসলো কেন সেটা বুঝতেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অভনী নীলের দিকে,,,অদ্ভুত বিষয় পার্কে ডুকতে টাকা নেয়নি ওরা নীলের থেকে,,,মনে হয় ওরাও সবাই আগে থেকেই চিনে নীল কে,,,।অভনীর তাকানোর দিকে তোয়াক্কা না করে নীল উঠে গেলো সামনে থাকা ঝাল মুরি আর বাদামে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোক গুলোর কাছে।অভনী এখনো ভ্রু কুচকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নীলের দিকে।লোক গুলোর কাছে গিয়ে অভনী কে ডাকলো নীল।অভনীও উঠে ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো ওদের কাছে।নীল দুজনের জন্য ৫ টাকার করে ১০ টাকার বাদাম আর ৫ টাকার করে ঝালমুড়ি নিলো,,,,অভনী কে বললো,,,

—নিন টাকা দিন ওদের।

অভনী আরেকটু ভ্রু কুচকে তাকালো নীলের দিকে,,,

—আরে আজকে তো আপনার ট্রিট দেবার দিন তাহলে তো আপনি ই দিবেন তাই না।(নীল)

অভনী হ্যান্ডব্যাগ থেকে ২০ টাকার একটা নোট বের করে দিয়ে দিলো ওদের।ওর জন্য নেয়া বাদাম আর ঝালমুড়ি নীলের থেকে নিজের হাতে নিয়ে আবারো তাকিয়ে আছে নেবি ব্লু কালারের শার্ট পরা তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অদ্ভুত সুন্দর পুরুষ টির দিকে।আচ্ছা শুধু কি আমার চোখেই মানুষটা অদ্ভুত সুন্দর নাকি সব মেয়েদের কাছে?আমার দারিদ্র্যতার কথা ভেবেই কি মানুষ টা এতো বড়লোক হয়েও শুধু বাদাম আর ৫ টাকার ঝালমুড়ি তেই এতো খুশি?

দুজনি খেতে খেতে হাটতে লাগলো,,,চারপাশে অনেক প্রেমিক প্রেমিকা কে হাত ধরে কেউ বা আবার বসে গল্প করতে দেখা যাচ্ছে,,,আবার কয়েক জন ছোট ছোট বাচ্চা কে দেখা যাচ্ছে দামি দামি ড্রেস পরে তার খাবার নষ্ট করছে আবার কিছু কিছু বাচ্চাকে দেখা যাচ্ছে ছেড়া জামাকাপড় পরে কাধে একটা ঝুলি নিয়ে ফেলে দেয়া খাবার টুকু কুরিয়ে খাচ্ছে।
আবার কয়েক জন ময়লা টুকাতে ব্যাস্ত,, মনে হচ্ছে এদের কে পার্ক টা পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যই মুলত ভিতরে ডুকতে দিয়েছে।

নীল সবগুলো বাচ্চাকে কাছে ডাকলো,,,নীলের ডাক শুনে সব গুলো ছেলে মেয়েই দৌড়ে ওর কাছে আসলো।

—ক্ষুধা লেগেছে? (নীল)

নীলের বলার সাথে সাথেই সব গুলো বাচ্চা বলতে লাগলো,,,

–হুম হুম।

নীল বাচ্চা গুলোকে নিয়ে পার্কের একপাশে থাকা ফাস্টফুড এর দোকানে নিয়ে গেলো ওদের। বাচ্চাগুলোর জন্য খাবার অর্ডার দিয়ে অভনী কে জিজ্ঞাসা করলো,,,,

—আপনার ক্ষুধা লাগেনি মিস?

—উহু আমি আজ এই বাচ্চা গুলোর পেট ভরে খাবার খাওয়া দেখতে চাই।শহরে আসার পর এমন অনেক বাচ্চাদের আমি রাস্তায় দেখেছি ওদের জন্য কিছু করতে ইচ্ছে হলেও করার সাধ্যে হয়ে উঠেনি।

অভনীর কথায় নীল হালকা মুচকি হাসলো।

হঠাৎ করেই আকাশে কালো মেঘ জমা হতে লাগলো,,,,পার্কে আসার পরেও তীব্র রোদ ছিলো এখন হঠাৎ করেই আবার আকাশ ডাকছে এটাই হয়তো বর্ষাকালের নিয়ম।সাথে সাথেই ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো,,পার্কের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষ গুলো দৌঁড়িয়ে বৃষ্টি থেকে আশ্রয়ের জায়গা খুঁজছে ,,,, কিন্তু অভনী দৌঁড়ে বাহিরে বের হয়ে গেলো,,,।হাত দুটো ছড়িয়ে আরেকটু সামনে চলে গেলো সে।আকাশের দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হাসতে লাগলো আর ঘুরতে লাগলো অভনী।অভনীর দেখাদেখি বাচ্চাগুলো ও সব দৌঁড়ে অভনীর কাছে গিয়ে অভনী কে ধরে ঘুরে লাগলো আর খিলখিল করে হাসতে লাগলো,,,আসেপাশে কাউকেই দেখা যাচ্ছে না এখন ওদের ছাড়া।খুব করে টানছে আজ নীল কপ এই বৃষ্টি আর খিলখিল করা মায়াভরা হাসি,,,।তাই নীলও চলে গেলো ওদের কাছে।,,,,ভেজা গোলাপি রঙের শাড়িতে অভনী কে খুব আবেদনময়ী লাগছে আজ।উচ্ছ্বসিত এক কিশোরীর সাথে পরিপূর্ণ নারী রূপে ফুটে উঠেছে আজ অভনী।
চোখের কাজল গুলো বৃষ্টিতে ভিজে বৃষ্টিরাঙা হয়ে উঠেছে।ঠোঁটের কোনে মিষ্টি হাসি।অভনীর ল্যাপ্টানো কাজলে ঢাকা স্নিগ্ধতাময় চোখ দুটোতেই তো নীল হারাতে পারে হাজারো যুগ।

অভনী আর বাচ্চাগুলো মিলে হাতের মধ্যে বৃষ্টির পানি জমিয়ে সেই পানি একবার নিজেদের মুখে তো একবার অন্যদের মুখে ছুড়ে দিতে লাগলো আর খিলখিল করে হাসতে লাগলো,,,,যেন এই বৃষ্টিতেই কত প্রশান্তী,,,এই বৃষ্টিতেই কত সুখ,, ,,,।নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে অনুভব করতে লাগলো সেই মুগ্ধ করা।

অভনীর লম্বা চুল গুলো হাটুর নিচে ঝুলে চলছে ক্রমাগত।পুরো শাড়ি ভিজে লেপ্টে আছে।ভেজা আঁচলের ফাকে বেরিয়ে এসেছে পেটের কিছু অংশ।নীলের চোখ টা কয়েক সেকেন্ড এর জন্য আটকে গেলো সেদিকে।ঘোর কাটতেই সাথে সাথেই চোখ ফিরিয়ে নিলো নীল।চোখ অনবরত ঘুরিয়ে আসেপাশে দৃষ্টি দিচ্ছে সে।নীলের এখন রাগ হচ্ছে অভনীর উপর,,,মেয়েটার কি বৃষ্টি পেলে আর কোনো দিকেই খেয়াল থাকে না?

বেশকিছুক্ষন বাচ্চাগুলোর সাথে খেলার পর নীলের কাছে আসলো অভনী।এসে বললো,,,

—হিরো সাহেব চলুন এবার বাসায় যাই।

নীল বাচ্চাগুলোর কাছে গেলো,,,

—-পাখিরা তোমরা থাকো কোথায়?

—-এইতো সামনের এক বস্তিতে।

—তোমরা এক সাথে থাকো নাকি বাবা মায়ের সাথে?

কয়েকটা বাচ্চা বললো ওরা বাবা মায়ের সাথেই থাকে কিন্তু অভাবের সংসার তাই বোতল টুকাতে আসে।আবার কয়েক জন বললো তাদের বাবা মা কেউই নেই।

নীল যাদের বাবা মা নেই তাঁদের কে বললো,,,

—তোমরা যাবে আমার সাথে?ওইখানে তোমাদের মতো আরো অনেক বাচ্চা আছে।

বাচ্চাগুলো লাফিয়ে উঠলো নীলের সাথে যাবে বলে,,,নীল বাচ্চাগুলো কে সাথে নিয়ে অভনীর দিকে না তাকিয়েই সামনের দিকে হাঁটা শুরু করলো।অভনীও পিছু পিছু আসতে লাগলো।

নীল বাচ্চাগুলো কে রাস্তার এক পাশে দাঁড় করিয়ে হাসু কাকা কে কল দিলো ওদের কে নীলদের এতিমখানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।

—বাচ্চারা তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে থাকো একটু পর একজন বয়ষ্ক লোক আসবে ওনার সাথে যাবে ওনি তোমাদের নিয়ে যাবে ঠিক আছে?আমি ওনাকে আবার কল দিয়ে জেনে নিবো।
আর এই যে তোমরা ভালো থেকো আর এই টাকা গুলো নিয়ে তোমাদের বাবা মার হাতে দিবে কেমন?(কিছু টাকা দিয়ে,,,,নীল)

নীল এবার ও অভনীর দিকে না তাকিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লো আর হন বাজাতে লাগলো,,,অভনী ভ্রু কুচকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বাচ্চাগুলো কে বায় বলে হাঁটা ধরলো গাড়ির উদ্দেশ্য।

গাড়ি ড্রাইভ করছে নীল আর তার পাশেই অভনী বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে নিজের ভেজা চুল গুলো কে হাতে নিয়ে হালকা করে ঝারতে লাগলো সে,,,যার ফোটা বার বার নীলের চোখে মুখে লাগছে।সেদিকেও মেয়েটার কোনো খেয়াল নেই সে দেখতে ব্যাস্ত বৃষ্টিস্নান্ত শহরের বাইরের পরিবেশ।

অভনী দের বাসার সামনে এসে গাড়ি থামালো নীল,,,।এবারো কোনো কথা না বলে নিজে গাড়ি থেকে নেমে অভনী নামার জন্য দরজা খুলে দিলো সে।অভনী গাড়ি থেকে নেমে নীল কে বায় বলে সামনে এগুতে নিলেই শাড়ির মধ্যে পা লেগে ধুম করে পরে যেতে নিলেই নীল এসে ধরে ফেলে।নীল চোখ মুখ শক্ত করে বলে,,,

—শাড়ি পরে চলতে না পারলে পরেন কেনো,,,দেখে হাঁটতে পারেন না?

অভনী শুধু ডেব ডেব করে নীলের দিকে তাকিয়ে আছে,,নীল হনহনিয়ে গাড়ির দিকে হাঁটা ধরলো অভনীর দৃষ্টি এখনো নীলের দিকে।বৃষ্টিস্নান্ত কালো মেঘের আলোতে নেভি ব্লু শার্ট আর কালো জিন্স পরা বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপ হয়ে যাওয়া এলোমেলো চুল গুলোতে কি আশ্চর্য সুন্দর ই না লাগছে মানুষটাকে,,।

অভনী ভাবনার জগতে থাকতেই নীল গাড়ি নিয়ে চলে গেলো অভনীর দৃষ্টির বাইরে,,,।অভনী যেই বাসার ভিতরে যাবার জন্য পা বাড়ালো অমনি কেউ একজন তার মুখে একটা রুমাল ধরলো আর সাথে সাথেই জ্ঞান হাড়িয়ে অভনী ঢলে পরলো নিচে,,,।

চলবে,,,,

(সবাই নীল কে এত্তো ভালোবাসে??নাও সবার এতো ভালোবাসা পেয়ে নীল সবাই কে চকলেট দিছে ??তবে শাফিন আর নির্ঝয় কিন্তু তোমাদের উপর খুব রেগে আছে সাবধানে চলাফেরা করো সবাই রাস্তায় ??)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here