#আজও_বৃষ্টি_নামুক❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ২৮
_________________
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে প্রিয়তা সামনের ব্যক্তিটির দিকে এর আগে এই যুবকটিকে দেখেছে বলে মনে পড়ছে না তার। ছেলেটিকে দেখছে, গায়ের রঙ ফর্সা,গোল ফেস চোখে চশমা, খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, পারফেক্ট বডিফিগার একদম অপূর্বের মতো। গায়ে শুভ্র রঙের পাঞ্জাবি জড়ানো সাথে আকাশী রঙের কটি। প্রিয়তা ছেলেটিকে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলো একে সে চেনে না কোনোদিন দেখেও নি। প্রিয়তার ভাবনার মাঝেই আবারও বলে উঠল ছেলেটি,
‘ কি হলো কথা বলছেন না কেন এই ভরদুপুরে একা একা এখানে কি করছেন মেয়ে?’
প্রিয়তা কিছুক্ষন চুপ থেকে জবাব দিলো,
‘ এমনি বসে আছি।’
‘ এমনি এমনি কেউ বসে থাকে নাকি?’
খানিকটা বিরক্ত ফিল করলো প্রিয়তা। ফটাফট জবাব দিলো,
‘ বসে থাকতেও কারন লাগে এটা জানতাম না তো।’
হাসে ছেলেটি। হাসতে হাসতেই বলে,
‘ আসলেই তো বসে থাকতে কারন লাগে নাকি।’
‘ আপনি কি আমার সাথে ফ্লাট করছেন?’
প্রিয়তার কথা শুনে হাসি থামায় ছেলেটি বলে,
‘ না না ফ্লাট করতে যাবো কেন।’
‘ আপনি কি আমায় চেনেন?’
‘ না তো।’
‘ তাহলে এত কথা বলছেন কেন?’
‘ কেন চেনা না থাকলে কথা বলা যায় না বুঝি। আর এছাড়া চিনতে হলে তো আগে কথা বলতে হবে তাই না মেয়ে?’
‘মেয়ে’ শব্দটা– এই ছেলের মুখে একদমই শুনতে চাইছে না প্রিয়তা। কেমন যেন বড্ড বেমানান লাগছে তার। তাই বেশি না ভেবেই বললো,
‘ মেয়ে শব্দটা উচ্চারণ করবেন না প্লিজ। এই মেয়ে নামে আমায় একজনই ডাকে আর তার মুখেই শুনতে ভালো লাগে। তাই মেয়েটা শব্দটা বাদ দিন।’
প্রিয়তার কথা শুনে সামনের ছেলেটি নিশ্চুপ রইলো কতক্ষণ। তারপর বললো,
‘ আচ্ছা ঠিক আছে। মেয়ে বলবো না আর আপনার নামটা তো বলুন তাহলে সেই নামেই ডাকবো না হয়।’
প্রিয়তা সামনের ছেলেটির দিকে তাকালো কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে ছেলেটাকে। চেনা নেই জানা নেই এভাবে হুট করে এসে এত কথা বলা কি ঠিক হচ্ছে। প্রিয়তার ভাবনার মাঝেই আবারও বললো ছেলেটি,
‘ কি হলো কিছু বলছেন না কেন?’
ছেলেটির এবারের কথা শুনে প্রিয়তা না চাইতেও বলে উঠল,
‘ আমার নাম প্রিয়তা।’
প্রিয়তার কথা শুনে সামনের ছেলেটি যেন খুশি হলো। বললো,
‘ ওহ প্রিয়তা নাইস নেইম। আর আমার নাম আব্রাহাম ইফতিয়াত আসফি। আপনাদের ভার্সিটির নিউ ইংরেজি টিচার।’
সঙ্গে সঙ্গে চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো প্রিয়তা। বললো,
‘ কি?’
উওরে আব্রাহামও বললো,
‘ জ্বী। নতুনই ঢুকেছি আজ এক সপ্তাহ হয়েছে বোধহয়।’
প্রিয়তা এবার বেশ বিব্রত হলো। তাদের ভার্সিটি টিচার উনি অথচ না চিনে প্রিয়তা কিসব ভাবছিল এতক্ষণ। প্রিয়তা অপরাধীর স্বরে বললো,
‘ আই এক্সট্রিমলি সরি স্যার আমি আপনায় চিনতে পারে নি আসলে আমি এতদিন ভার্সিটি আসি নি তো তাই আর কি।’
‘ ইট’স ওকে আমি বুঝতে পেরেছি। তা এতদিন আসছিলে না কেন?’
উওরে ফট করেই মুখ ফসকে বলে ফেললো প্রিয়তা,
‘ ওই অপূর্ব আসতে বারন করেছিল তাই আর কি।’
‘ অপূর্ব কে?’
প্রিয়তার হুস আসলো এটা কি বলে ফেললো সে। প্রিয়তা আমতা আমতা করে বললো,
‘ না মানে কিছু না।’
‘ তাহলে কি এই অপূর্বই তোমায় ‘মেয়ে’ শব্দটা উচ্চারন করে ডাকে প্রিয়তা।’
প্রিয়তা যেন চমকালো, ভড়কালো, অবাক হয়ে বললো,
‘ আপনি কি করে বুঝলেন?’
হাসে আব্রাহাম। বলে,
‘ আমি তো অনেক কিছুই বুঝি যেটা তুমি বুঝো না।’
আব্রাহামের কথা শুনে বেশ বিস্মিত স্বরে বললো প্রিয়তা,
‘ মানে?’
‘ মানে কিছুই না। আচ্ছা অপূর্ব কি তোমার বয়ফ্রেন্ড?’
‘ এ মা না না তা হবে কেন।’
‘ তাহলে কি হয় তোমার অপূর্ব?’
প্রিয়তা আঁটকে গেল আব্রাহামের প্রশ্নের ভিড়ে সত্যি তো অপূর্ব কি হয় প্রিয়তার। এই প্রশ্নটা এর আগে প্রিয়তার মাথাতেই আসে নি। কিন্তু প্রিয়তা এতটুকু তো জানে অপূর্ব তার অপরিচিত বা অপ্রিয় কেউ নয় প্রিয়ই খুব। ভালো লাগে তার অপূর্বকে না শুধু ভালো লাগে না এর থেকেও বেশি কিছু। প্রিয়তার ভাবনার মাঝে আবারও বললো আব্রাহাম,
‘ কি হলো আবার আঁটকে পড়লে নাকি?’
প্রিয়তা এক বিব্রতকর চোখ নিয়ে তাকায় আব্রাহামের দিকে। বলে,
‘ আমি সত্যি জানি না অপূর্ব আমার কি হয়? কিন্তু উনি আমার অপ্রিয় কেউ না প্রিয়ই খুব।’
প্রিয়তার কথা শুনে আব্রাহাম কিছু বলে না। উল্টো মুচকি হাসে। বলে,
‘ আর তার কাছে আইমিন অপূর্ব কি তোমায় প্রিয় ভাবে প্রিয়তা?’
না এবার যেন বাড়াবাড়ি হচ্ছে এসব কি প্রশ্ন করছে স্যার। প্রিয়তা খানিকটা বিব্রত ফিল করে বললো,
‘ আমায় এবার যেতে হবে স্যার? অনেকক্ষণ হয়েছে এখানে বসে আছি তো বাড়ির সবাই হয়তো চিন্তা করছে।’
‘ আমার কথায় তুমি বিব্রত ফিল করেছো তাই না প্রিয়তা আমি জাস্ট এমনি জিজ্ঞেস করেছি যাইহোক ভালো থাকো নেক্সট ক্লাসে দেখা হবে কেমন।’
বলেই আব্রাহাম উঠে দাঁড়ালো নিজের চোখের চশমাটা ঠিক করে বললো,
‘ এভাবে ভরদুপুরে একা একা নির্জন জায়গায় বসে থাকবে না কেউ ধরে নিয়ে গেলে তখন।’
হাসে প্রিয়তা। বলে,
‘ আপনিও না কিসব বলছেন স্যার?’
উওরে আব্রাহাম তার চোখের চশমাটা ঠিক করে খুব সিরিয়াসভাবেই বললো,
‘ কিছু কিছু জিনিস হেঁসে উড়িয়ে দিতে নেই প্রিয়তা।’
বলেই আর না দাঁড়িয়ে চলে যায় আব্রাহাম। সে বুঝেছে প্রথম আলাপেই এতকিছু জানা সম্ভব নয়। আব্রাহাম এক শুঁকনো হাসলো। বললো,
‘ মেয়ে তুমি বড্ড অবহেলার,
নীল দুয়ারে ধমকানো হাওয়া
রঙিন উপন্যাসের কঠিন উপসংহারের..
বলতে চেয়েও আর বললো না আব্রাহাম। রহস্যময়ী হাসতে হাসতে চলে গেল সে। থাক কিছু অজানা সময় তো আর ফুরিয়ে যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে আব্রাহাম চলে গেল দৃষ্টি সীমানার বাহিরে।’
প্রিয়তা বসে আছে, এই হুট করে আব্রাহাম স্যারের আগমনটা ঠিক নিতে পারে নি সে। আর অপূর্বের প্রসঙ্গ বিষয়টাও কেমন যেন একটু নড়বড়ে লাগলো প্রিয়তার কাছে। প্রিয়তা দীর্ঘ শ্বাস ফেললো তারপর আর বেশি না ভেবেই বসা থেকে উঠে চললো সে বাড়ির গন্তব্যের দিকে। এই অপূর্বের সাথে আজও দেখা হলো না তার। প্রিয়তা বেশ মন খারাপের সুর টেনে বললো,
‘ আমাদের কি আর যোগাযোগ হবে না অপূর্ব?’
____
পরন্ত বিকেলবেলা। নিজের রুমের ইজি চেয়ারে বসে আছে প্রিয়তার চাঁচি। হাতে নতুন টাকার বান্ডিল। ঠোঁটে রয়েছে তার রহস্যময়ী হাসি। এই প্রিয়তা মেয়েটা সত্যি যেন তার জন্য লাকি ছেলেটা কতগুলো টাকা দিয়ে গেল তাকে। প্রিয়তার চাঁচি ভাবতেও পারি না প্রিয়তাকে কিডন্যাপ না করানোর জন্যও টাকা পেতে পারে। তাও আবার এক রাজনীতিবিদের কাছ থেকে। প্রিয়তা চাঁচি হাসতে হাসতে বললো,
‘ নিকুচি করেছে প্রিয়তার বিয়ের।’
বলেই নতুন টাকার ঘ্রাণ নিতে লাগলেন তিনি। এমন সময় ওনার ফোনটা বেজে উঠল। প্রেমার স্বামী রহিম মির্জা ফোন করেছে। প্রিয়তার চাঁচি বেশি না ভেবেই ফোনটা তুলে বললো,
‘ কি হয়েছে?’
উওরে অপরপ্রান্তে থাকা রহিম মির্জা বললো,
‘ কি হয়েছে মানে আপনি কি আর ব্যবসা করতে চাইছেন না ম্যাডাম বিদেশি পার্টিগুলো বেশ তাড়া দিচ্ছে ওনারা পন্য পাচ্ছেন না বলে,
‘ তাড়া দেয় দিক আপাতত কিছুদিন সব ধান্দা বন্ধ থাকবে রহিম। ঢাকার এক রাজনীতিবিদ আমাদের নজর রাখছে তাই আপাতত কিছুদিন রেস্ট নেও।’
‘ কিন্তু ম্যাডাম।’
‘ কোনো কিন্তু নয় যা বলছি তাই করো। আগে ওই রাজনীতিবিদের একটু খবরাখবর রেখে নেই তারপর আমাদের ধান্দা নিয়ে ভাবছি।’
বলেই ফোন কাটলো প্রিয়তার চাঁচি। তারপর হাসলেন আবার। টাকার গন্ধ নিলেন মুহূর্তেই।’
অন্যদিকে,
দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকা প্রিয়তার চাচা বউয়ের কথা সবই শুনেছেন তিনি। প্রিয়তার চাঁচি স্বামীর অগোচরে ব্যবসা করেন কিন্তু কি ব্যবসা করেন এটা আজও অজানা প্রিয়তার চাচার কাছে।’
____
রাত প্রায় ১০টা। অন্ধকারে টুইটুম্বর চারপাশ। খানিকটা গা ছমছমে পরিবেশ, আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে হয়তো বৃষ্টি নামবে। আজ আয়মান নেই এখানে ফেসবুকে আলাপ হওয়া এক বাংলাদেশী বন্ধুর বাড়িতে গেছে সে রাতে নাকি সেখানেই থাকবে। গ্র্যান্ডমা আর প্রিয়তা রাতের খাবার সেরে যে যার রুমে চলে গেছে অনেক্ক্ষণ হলো। গ্র্যান্ডমা এতক্ষণে ঘুমিয়েও পড়েছে হয়তো।’
আর প্রিয়তা চুপচাপ শুয়ে আছে বিছানায় হাতে তার অপূর্বের দেওয়া মোবাইলটা। অপূর্বের নাম্বারটায় বার বার চোখ বুলাচ্ছে সে। অপূর্বের এই নাম্বারটা সেই কবে থেকে বন্ধ বলছে আর খুলছে না। প্রিয়তার ভীষণ জোরে কান্না পাচ্ছে এই অপূর্ব এমন কেন একবার কি ফোন করা যায় না তাকে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অপূর্ব আর প্রেমাকে একরকম লাগছে প্রিয়তার কাছে, কিন্তু প্রেমার দোষ দিলেও ভুল হবে প্রিয়তা প্রেমার যে নাম্বারটা এনেছে সেটা ওর দুলাভাইর লাস্ট দু’দিন আগে ফোন করার সময় প্রিয়তার দুলাভাই রহিম মির্জা ধরেছিল ‘হ্যালো’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কেটে দেয় প্রিয়তা। খানিকটা ঘাবড়ে যাওয়ার কারনে আর ফোন করে নি।’
প্রিয়তা জোরে এক নিশ্বাস ফেললো। অনেক ঘেটেঘুটে চারদিন আগে একটা ফেসবুক একাউন্ট খুলেছিল প্রিয়তা। মাত্রই সেটাতে ঢুকে ঘাটাঘাটি করছে। হঠাৎই একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট আসলো প্রিয়তার কাছে নামটা হলো আব্রাহাম ইফতিয়াত আসফি। প্রিয়তা নাম আর প্রোফাইল পিকচারটা দেখেই চমকে উঠলো এ তো দুপুরে আলাপ হওয়া টিচারটা। প্রিয়তা ভেবে পেল না রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করবে কি করবে না। এরই মাঝে আকাশে ভয়ংকর ভাবে বিদ্যুৎ চমকালো, সঙ্গে কারেন্ট চলে গিয়ে রুম করলো পুরোদমে অন্ধকার। হুট করে এমন ঘটনায় প্রিয়তা ভয়ে কেঁপে উঠলো এক মুহূর্তের জন্য। প্রিয়তা দ্রুত মোবাইলে লাইট অন করলো, মোমবাতি খুঁজতে হবে তাকে। প্রিয়তা আশেপাশে খুজে টেবিলের ড্রয়ার থেকে মোমবাতিটা বের করে মোমবাতিটা জ্বালালো। এরই মধ্যে আকাশ পথ বেয়ে শুরু হয়ে গেল মুষলধারে বর্ষণ। প্রিয়তা প্রকৃতির এই হুট করে গর্জে ওঠার বিষয়টায় পুরোই থমকে গেল।
খানিকটা ভয়ও যেন লাগলো। হঠাৎ এই ভয়ের ভিড়েই তার রুমের দরজাটার খটখট শব্দ হলো এতে যেন আরোই চমকে উঠলো প্রিয়তা। এই সময় কে আসলো আয়মান না তো। ওদিকে দরজা তো তালা বন্ধ এখন। প্রিয়তা বেশি না ভেবেই মোবাইলের লাইট নিয়েই এগিয়ে গেল সামনে। মাত্রই অফ করেছিল সেটা। প্রিয়তার ফেসবুকের একটিভ থাকায় আচমকাই প্রিয়তা নিজ অজান্তেই আব্রাহাম ইফতিয়াত আসফির পাঠানো রিকুয়েষ্টটা হাতের টাচে একসেপ্ট হয়ে গেল। প্রিয়তা দেখতেও পায় নি।’
প্রিয়তা ভয়ে ভয়ে দরজার সামনে এগিয়ে যেতে যেতে বললো,
‘ কে?’
কিন্তু অপরপ্রান্তের কোনো জবাব এলো না। আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, বৃষ্টি হচ্ছে ভয়ংকর শব্দ করে। প্রিয়তা এগিয়ে গিয়ে দরজা খুললো। দরজা খুলতেই সামনে সশরীরে অপূর্বকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে প্রিয়তা যেন আরো চমকালো। বিস্মিত কন্ঠে বললো,
‘ অপূর্ব আপনি এখানে?’
উওরে নিজের ক্লান্ত মাখা শরীরটা নিয়ে এগিয়ে আসলো অপূর্ব। তাকে স্বাভাবিক লাগছে না চুলগুলো এলেমেলো গায়ে জড়ানো কালো রঙের শার্টও কেমন যেন অগোছালো। অপূর্ব প্রিয়তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে খুবই অসহায় কন্ঠে বললো,
‘ আমায় একটু মানসিক শান্তি দিবে মেয়ে, আমার কেন যেন খুব যন্ত্রনা হচ্ছে আমি নিতে পারছি না। সামলাতে পারছি না নিজেকে আমায় একটু সামলাবে প্লিজ?’ বেশি না অল্প কিছুক্ষণ!’
ব্যাস এতটুকু বলেই এলিয়ে পড়লো অপূর্ব প্রিয়তার দিকে। প্রিয়তা চমকে উঠলো মুহূর্তেই সামনে এগিয়ে গিয়ে দু’হাতে জড়িয়ে ধরলো অপূর্বকে। চিন্তিত স্বরে বললো,
‘ আপনার কি হয়েছে অপূর্ব?’
অপূর্ব জবাব দেয় না। অপূর্বের জবাব না পেতে প্রিয়তা আরো দু’বার ডাকে অপূর্বকে। কিন্তু অপূর্ব তখনও জবাব দেয় না। প্রিয়তার যেন সন্দেহ হলো অপূর্ব অজ্ঞান হয়ে গেছে। হঠাৎই অপূর্বের পিঠে ভেজালো কিছু বাজলো প্রিয়তার হাতে বিষয়টাকে প্রথমে বৃষ্টির পানি মনে হলেও এখন কেন যেন তেমনটা মনে হচ্ছে না প্রিয়তার। প্রিয়তা তার মোবাইলের লাইটটা দিয়ে দেখলো তার হাতটা সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে আঁতকে উঠলো কাঁপা কাঁপা স্বরে বললো,
‘ ররর…রক্ত!’
প্রিয়তার ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে উঠলো অপূর্বের কিছু হলো না তো। প্রিয়তা অদ্ভুত স্বরে বললো,
‘ অপূর্ব।’
#চলবে…..