#আজও_বৃষ্টি_নামুক❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ২৬
_________________
রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছে অপূর্ব। উদ্দেশ্য প্রিয়তার জন্য কিছু রান্না করা মেয়েটা যেন সেই কখন থেকে না খাওয়া। অপূর্ব আকিবকে পাঠিয়েছিল প্রিয়তার জন্য কিছু খাবার কিনে আনার জন্য কিন্তু মাঝখানে শুরু এই বৃষ্টি তাই হয়তো আকিব আসতে পারছে না। আকিবের মেঘের গর্জনে ভীষণ ভয়, নির্ঘাত নিরাপদ কোনো জায়গায় গাড়ি থামিয়ে গাড়ির স্টিয়ারিং চেপে ধরে বসে আছে।’
সন্ধ্যা ছাড়িয়ে গেছে কখন, তাদের এখান থেকে বের হতে হবে। এভাবে তো একটা ছেলে একটা মেয়ে এখানে থাকতে পারে না। তাই অপূর্ব ভেবে নিয়েছে প্রিয়তাকে কিছু খাইয়েই এখান থেকে বের হবে, যদি আকিবটা তার মধ্যে আসে কারন গাড়ি তো আকিবের কাছেই। বাহিরে এখনও অল্প সল্প বৃষ্টি হচ্ছে, পাতা নড়ছে, বাতাস বইছে মন ছুঁয়ে দিচ্ছে বিষয়টা খারাপ না। অপূর্ব তার পুরো রান্নাঘরটায় চোখ বুলালো পরিশেষে ভাবলো ডিমের অমলেট করবে, যেই ভাবা সেই কাজ। অপূর্ব তার গায়ে জড়ানো খয়েরী রঙের শার্টটার হাতাটা কবজির উপরে উঠিয়ে, গ্যাসটা অন করলো কড়াই চাপালো মুহূর্তেই। কাল রাতের দিকে এখানে একবার এসেছিল অপূর্ব আকিব। অনেকটা সময় কাটিয়েছে দুজন। প্রিয়তার কিডন্যাপিংয়ের বিষয়টা নিয়েই ডিসকাস করছিল তারা। কাল আকিব রান্না করছিল। ডিমের অমলেট বানিয়েছিল সাথে পাউরুটি। আর আজ অপূর্ব বানাবে,
অপূর্ব আশেপাশে একবার তাকিয়ে তেলের বোতলটা খুঁজে বার করলো। এরই মাঝে সেখানে হাজির হলো প্রিয়তা। কৌতুহলী এগিয়ে আসলো সে কারন কিছুক্ষন আগে অপূর্ব হুট করেই বসা থেকে উঠে এখানে আসে। প্রিয়তা সামনে এগিয়ে আসতে আসতে বললো,
‘ আপনি এখানে কি করছেন অপূর্ব?’
উওরে অপূর্ব প্রথমে কিছু না বলে তেলের বোতলটার মুখটা খুলে কোড়াইতে তেল দিয়ে পরে বললো,
‘ কিছুই করছি না আচ্ছা তুমি অমলেট খাওয়া পছন্দ করো তো প্রিয়তা?’
প্রিয়তা যেন অবাক হলো, অপূর্বের কাছাকাছি এগিয়ে এসে বললো,
‘ আপনি কি এখন অমলেট বানাচ্ছেন অপূর্ব?’
উওরে অপূর্ব ডিম ফাটিয়ে কড়াইতে দিতে দিতে বললো,
‘ তেমনটাই। তোমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে তাই না?’
অপূর্বের কথা শুনে খানিকটা দ্বিধা সরিয়ে বললো প্রিয়তা,
‘ তা একটু পেয়েছে কিন্তু আপনি, আপনি অমলেট বানাতে পারেন অপূর্ব?’
‘ আমি অনেককিছুই পারি কিন্তু কাউকে বলি না। তুমি চুপ করে বসো আমি তোমার জন্য অমলেট বানিয়ে আনছি।’
অপূর্ব কথাটা শুনলো ঠিকই কিন্তু প্রিয়তা গেল না। ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো অপূর্বের পাশ দিয়ে এই অপূর্ব তার জন্য অমলেট বানাবে এটা যেন তার বিশ্বাস হচ্ছে না।’
…
ওই সময়ের প্রায় মিনিট পাঁচেক পড়ে হাঁপাতে হাঁপাতে গুপ্তচরের রুমটায় ঢুকতে নিলো আকিব। কিন্তু সেখানেও খেল হোটচ। এই গুপ্তচরের দরজাটা চরম বেয়াদব আকিব যতবার আসে ততবারই হোঁচট খায়। আকিব বেশি না ভেবেই এগিয়ে গেল ভিতরে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে তার এই সব হয়েছে এই বজ্জাত বৃষ্টি আর মেঘের গর্জনের জন্য। আকিব পাউরুটি আর কলা কিনে এনেছে সাথে খাঁটি গরুর দুধ। আকিব এগিয়ে গেল রান্না ঘরের দিকে আশেপাশে কাউকে দেখছে না কেন?’
আকিব রান্নাঘরের সামনে এসেই আঁটকে পড়লো কারন তার অপূর্ব ভাই একটা মেয়ের জন্য ডিমের অমলেট বানাচ্ছে এটা যেন তার বিশ্বাস হচ্ছে না। আকিব এগিয়ে যেতে লাগলো সামনে,
অন্যদিকে,
ডিমের অমলেট বানানো শেষ হতেই একটা প্লেটে অমলেট রেখে বললো অপূর্ব প্রিয়তাকে,
‘ নেও খাও?’
প্রিয়তা পর পর কয়েকবার পলক ফেলে হাতে নিলো প্লেটটা। কি সাংঘাতিক ব্যাপার অপূর্ব প্রিয়তাকে রান্না করে খাওয়াচ্ছে। দুজনেই দুজনের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষন। এরই মাঝে আকিব বলে উঠল,
‘ ভাই?’
চমকে উঠলো অপূর্ব প্রিয়তা দুজনেই। তারা কেউই আকিবকে খেয়াল করে নি। অপূর্ব তাকালো আকিবের দিকে বললো,
‘ তোমার এতক্ষণে আসার সময় হলো আকিব?’
কিঞ্চিত হাসলো আকিব। বললো,
‘ আর বলবেন না ভাই ওই বৃষ্টির জ,,
আকিবের পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই বললো অপূর্ব,
‘ হুম বৃষ্টির দোষ দিও না আকিব দোষ তো ওই গর্জনের,,
অপূর্বের কথা শুনে মাথা চুলকে হাসে আকিব। অপূর্বও হাসে। আর প্রিয়তা শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবটা দেখে।’
ঘড়ির কাটায় সাড়ে সাতটা ছাড়িয়ে গেছে। গুপ্তচরের আশেপাশের জায়গাটা একটু জঙ্গল জঙ্গল হওয়ায় পুরো রাত নেমে গেছে এমনটা দেখাচ্ছে। কিছুটা ছমছমে পরিবেশ। খাটে বসে খাবার খাচ্ছে প্রিয়তা আর তার সামনেই চেয়ারে বসে আছে অপূর্ব আর খাটের কর্নার দিয়ে আকিব দু’জনের হাতে কফির মগ যেটা আকিব বানিয়েছে।’
খাওয়াদাওয়ার পর্বটা শেষ হলেই এখনই তারা বের হবে এখানে থেকে। বাহিরে বৃষ্টি থেমে গেছে। প্রিয়তা তার খাওয়াটা শেষ করে বললো,
‘ আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে আজ বাঁচানোর জন্য।’
উওরে অপূর্ব কিছু বলে না। তবে আকিব বলে,
‘ ধন্যবাদের কি আছে বোন আমরা আমরাই তো।’
হেঁসে ফেলে প্রিয়তা। বলে,
‘ আপনি খুবই ভালো ভাইয়া।’
প্রিয়তার কথা শুনে শুধু মুচকি হাসে আকিব তবে কিছু বলে না।’
____
রাতের জোৎসা ভরা আলো। আকাশটায় মেঘের ছোঁয়া নেই তাঁরা উঠেছে অনেক। কতক্ষণ আগেও আকাশ পথ বেয়ে যে বৃষ্টি নেমেছিল তা বোঝা যাচ্ছে না। আর এসবের মাঝে গাড়ি করে যাচ্ছে অপূর্ব, আকিব আর প্রিয়তা। আকিব ড্রাইভ করছে, আর পিছনে পাশাপাশি অপূর্ব আর প্রিয়তা বসে। প্রিয়তা জানালার বাহিরে তাকিয়ে আছে। খানিকটা চিন্তিত সে, আজ না হয় অপূর্ব ছিল বলে সে বেঁচে গেল কিন্তু রোজ রোজ তো আর অপূর্ব থাকবে না তখন কি করবে প্রিয়তা। এতদূর এসেও শান্তি দিচ্ছে না চাঁচি। আজ খুব করে বাবা মায়ের কথা মনে পড়ছে প্রিয়তা। সেদিন যদি বাবার খুনটা না হতো তাহলে হয়তো আজ তার ভবিষ্যৎটা অন্যরকম হতো বুবুটার কপালেও ওইরকম স্বামী মিলতো না। দীর্ঘশ্বাস ফেললো প্রিয়তা কোথাও গিয়ে খুব খারাপ লাগা কাজ করছে তার মাঝে।’
প্রিয়তার অবস্থাটা যেন বুঝতে পারলো অপূর্ব। মেয়েটা যে ভালো নেই সেটাও বুঝেছে অপূর্ব। অপূর্বও খারাপ লাগছে। অপূর্ব কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো,
‘ কিছু কিছু জিনিস নিয়ে বেশি ভাবতে নেই মেয়ে, কেননা বেশি ভাবলে মাথা ঘুরাবে, মাথার তার ছিঁড়ে যাবে তাও ভাবা শেষ হবে না। আর এত ভাবার কি আছে যা ভাগ্যে আছে তাই হবে। সো ডোন্ট ওয়ারি।’
অপূর্বের কথা শুনে প্রিয়তা ছলছল দৃষ্টিতে তাকালো অপূর্বের দিকে। অপূর্ব তাকালো প্রিয়তার চোখের দিকে। এরই মাঝে প্রিয়তা শীতল ভেজা কন্ঠে বলে উঠল,
‘ ভাবতে কোথায় চাইছে বলুন, ভাবনা তো এমনি চলে আসছে।’
অপূর্ব বেশিক্ষন তাকাতে পারলো না প্রিয়তার চোখের দিকে চটজলদি চোখ নামিয়ে নিলো। তারপর বিড় বিড় করে বললো,
‘ এভাবে হুটহাট তাকিও না মেয়ে, আমার ভিতরটা কেমন যেন করে ওঠে। আমি নিতে পারি না।’
‘ আপনি কি কিছু বললেন অপূর্ব?’
অপূর্ব তার বিড় বিড় করা থামালো। তারপর মাথা নাড়িয়ে জবাব দিলো,
‘ না কি বলবো কিছুই বলার নেই আপাতত।’
অপূর্বের কথা শুনে প্রিয়তাও চুপ হয়ে যায় আর কিছু বলে না। প্রিয়তা পুনরায় বাহিরের দিকে তাকায়। মনে মনে ভাবে,
‘ আজ আমি আপনার চোখে কিছু দেখেছি অপূর্ব, কিন্তু সেই কিছুর মাঝে ঠিক কতটুকু সত্য আছে সেটা আপনি ছাড়া কেউ জানে না। আপনি কি আমায় নিয়ে খুব ভাবেন অপূর্ব? ভাবেনই হয়তো নয়তো এভাবে হেল্প করতেন নাকি। কিন্তু আমায় নিয়ে কেন ভাবেন অাপনি? তবে কি আপনার মনে আমার জন্য কিছু আছে অপূর্ব, যেমনটা আমি আপনাতে ফিল করি।’
প্রিয়তা ভাবলো না, মাঝে মাঝে কিছু অনুভূতি গোপনে রাখাই উত্তম। যেখানে সে অসহায় ধরতে গেলে।’
আনমনেই কথাগুলো ভাবলো প্রিয়তা।’
আর এদিকে অপূর্ব,
‘ তুমি হয়তো জানো না মেয়ে আমি নিজ অজান্তে তোমায় মন দিয়ে বসে আছি। ভালোবাসি তোমায়, তোমার ক্ষতি হলে আমি যে সেটা নিতে পারবো না। বর্তমানে এমনই একটা পর্যায় চলছে যে আমি চাইলেও তোমায় আমার বানাতে পারবো না। কারন আমার জীবনটা যে অনিশ্চিত। আর আমি চাই না আমার এই অনিশ্চিত জীবনে তোমায় জড়িয়ে তোমার জীবনটা নষ্ট করতে। কিন্তু ধীরে ধীরে কেমন যেন তোমায় ছাড়া থাকতেও আমার খারাপ লাগছে, তোমার প্রতি জড়ানো অনুভূতিগুলো বার বার আঘাত করছে। আমার কি করা উচিত একটু বলতে পারো?’ আমি তোমায় চাই আবার চাই না। তোমায় ভালোবাসি আবার হয়তো বাসি না।’
অপূর্ব নিজেকে সামলালো সে কি ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছে, মটেও না অপূর্বকে ইমোশনাল করা এত সহজ নাকি। তাও আবার একটা মেয়ে নিয়ে, অপূর্ব বার বার কয়েকবার নিশ্বাস ফেলে নিজের ফোনটা পকেট থেকে বের করে দেখতে লাগলো। এভাবে বসে থাকলে প্রিয়তা নামক রমনী প্রচুর জ্বালাবে তাকে।’
অপূর্ব ফেসবুক নিউজফিড ঘুরতে ঘুরতে একজন এড ফ্রেন্ডের নাম দেখলো। নামটা ছিল এমন,
‘ আব্রাহাম ইফতিয়াত আসফি’
অপূর্ব দেখলো নামটা পরক্ষণেই পাশ কাটিয়ে চলে গেল আবার। একজন সুদর্শন যুবকের ছবি ছিল সেখানে, সাদা পাঞ্জাবি, মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, চোখে চশমা আর গলায় একটা চেইন।’
____
তন্দ্রাবিলাস থেকে খানিকটা দূরত্বে গাড়ি থামালো আকিব। গাড়ি থামতেই প্রিয়তা নেমে পড়লো। প্রিয়তা নামতেই অপূর্বও নামলো। এখানে বেশ অন্ধকার, সাথে মানুষের আনাগোনাও খুব কম। প্রিয়তা অপূর্ব আর আকিবকে আবার ধন্যবাদ জানালো। বললো,
‘ আমাকে এত সাহায্য করার জন্য আবারও ধন্যবাদ দিচ্ছি আপনাদের।’
অপূর্ব মুখোমুখি দাঁড়ালো প্রিয়তার বললো,
‘ ধন্যবাদ শব্দটা দূরে রাখো মেয়ে আর আমার কথা শোনো আগামী একসপ্তাহ এখান থেকে বের হবে না প্রিয়তা যদি দেখি বেরিয়েছো তাহলে তো বোঝোই আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না। তোমার হয়তো আমার খারাপ হওয়ার বিষয়টা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা নেই। তাই সাবধান!’
অপূর্বের কথা শুনে প্রিয়তা অবাক হলো। বিলম্বিত কন্ঠে বললো,
‘ এভাবে থ্রেট দিচ্ছেন কেন, ঠিক আছে বের হবো না।’
অপূর্ব খুশি হয় প্রিয়তার কথা শুনে। বলে,
‘ দাট’স লাইকে গুড গার্ল।’
হাল্কা হাসে প্রিয়তা তারপর একটু চিন্তিত স্বরেই বলে,
‘ এক সপ্তাহ পর সব ঠিক হয়ে যাবে তো অপূর্ব?’
অপূর্ব অনেকক্ষণ চুপ থেকে কিছু একটা ভাবে তারপর বলে,
‘ বেশি ভেবো না আমি আছি তো সঙ্গে ইনশাআল্লাহ সব ঠিক করে দিবো। তবে কথা কিন্তু একটাই আগামী একসপ্তাহ কোথাও বেরিও না প্রিয়তা।’
প্রিয়তা মাথা নাড়িয়ে বলে,
‘ ঠিক আছে।’
‘ হুম এখন যাও, ভিতরে গিয়ে আমায় একটা মেসেজ করো।’
উওরে মুচকি হেঁসে বলে প্রিয়তা,
‘ আচ্ছা।’
অতঃপর প্রিয়তা চলে যায়। প্রিয়তা চোখের আড়াল হতেই অপূর্বও আর না দাঁড়িয়ে গিয়ে বসে গাড়িতে তারপর আকিবকে উদ্দেশ্য করে বলে,
‘ চলো আকিব,
আকিবও আর কিছু না বলে গাড়ি স্ট্যার্ট দিয়ে ছুটে চলে দূরে। হঠাৎই আকিব প্রশ্ন করে,
‘ ভাই কথা তো দিলেন প্রিয়তাকে বাঁচাবেন কিন্তু রোজ রোজ কিভাবে বাঁচাবেন?’
উওরে স্বাভাবিক কন্ঠে জবাব অপূর্বের,
‘ যাতে রোজ রোজ বাঁচাবো না লাগে তার ব্যবস্থা করবো আকিব?’
অপূর্বের কথাটা ঠিক বুঝতে না পেরে বললো আকিব,
‘ মানে?’
‘ আজ বাড়ি যাবো না আকিব অন্য কোথাও যাবো।’
আকিব অবাক হয়, চরম অবাক হয়। অবাক হয়েই বলে,
‘ অন্য কোথাও কোথায় ভাই?’
উওরে জবাব দেয় না অপূর্ব। নিজের ফোনের লকটা খুলে একটা ফোন করে। কলটা অপরপ্রান্তের ব্যক্তিটি ধরতেই শান্ত স্বরে বলে,
‘ বাবা আজ আমি বাড়ি যাবো না, আমার কিছু জরুরি কাজ আছে। কাজ সেরে কাল ফিরছি বাড়ি তাই আমি না ফেরা পর্যন্ত নিজের বউকে সামলে রেখো কেমন?’
#চলবে….
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ। আর গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে। সারপ্রাইজ! আজ কত জলদি গল্প দিয়েছি তোমরা খুশি হয়েছো তো]
#TanjiL_Mim♥️