#আঙুলে_আঙুল
পর্ব (৩৭)
মাইমূন আজ তার ভালোবাসার দিকে চেয়ে কথা বলছে না। রাস্তার দিকে চেয়ে থেকে উত্তর করল,
” তোমার করা আর আমার করা এক নয়। মেয়েদের চাওয়া থাকে তার জীবনসঙ্গীর সামাজিক মর্যাদা তার চেয়ে একটু হলেও উঁচুতে থাক। ”
অরুণিমা উত্তর করল,
” আমি হয়তো সেই মেয়েদের মতো নয়। ”
মাইমূন ঝটিতে দৃষ্টি ফিরিয়ে আনল এই ভিন্নরূপী মেয়েটির উপর। অতি উৎসাহে সুধাল,
” এর মানে অনুমতি দিচ্ছ? ”
হঠাৎ তৈরি হওয়া আনন্দ ও উত্তেজনায় তার একস্থির চাহনির পলকগুলো মৃদু কাঁপছে। দীপ্ত ছড়ানো বদনখানির দিকে চেয়ে সরাসরি ‘ হ্যাঁ ‘ বলতে পারল না অরুণিমা। সংশয় মনে বলল,
” এই কাজে তোমাকে মানাবে কি? যে পরিচয়ে বড় হয়েছ, যেভাবে বেড়ে উঠেছ তার সাথে এর কোনো মিল নেই। তুমি মানিয়ে নিতে পারবে? খুব কষ্ট হবে। কঠিন লাগবে। ”
” তুমি আমার পাশে থাকলে সব সহজ হয়ে যাবে। ”
মাইমূনের কণ্ঠস্বরে এত দৃঢ়তা ও পোক্তবল ছিল যে তার হৃদয় উষ্ণতা অনুভব করল। কিছু মুহূর্তের জন্য কথা বলতে পারল না। অল্পক্ষণ নীরব সময় কাটিয়ে সবিস্ময়ে বলল,
” আমাকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া কি ঠিক হচ্ছে? ”
” যেখানে তুমি আছ সেখানে ঠিক-বেঠিক শব্দ দুটোর মূল্য নেই আমার কাছে। ”
” মূল্য দিতে হবে। পাগলের মতো যা ইচ্ছে হবে তাই করলে চলবে না। ”
মাইমূন সামান্য হাসল। প্রফুল্লচিত্তে আত্মবিশ্বাসের সাথে বলল,
” যা ইচ্ছে তা করছি না। আমি ভেবেই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। ”
” কী ভেবে নিলে শুনি। ”
” ভালো চাকরির যোগ্যতা নেই আমার। চট করে সেই যোগ্যতা অর্জন করা সম্ভব নয়। কিন্তু ব্যবসা করার জন্য যে সামর্থ্যটা আমার নেই সেটা একটু সময় লাগলেও তৈরি করা সম্ভব। আমি ঠিক করেছি, এই চাকরির মাধ্যমে টাকা-পয়সা সঞ্চয় করব। তারপর সেটা দিয়ে ছোট-খাটো একটা ব্যবসা ধরব। ”
অরুণিমা হতভম্ব হয়ে গেল তার পরিকল্পনা শুনে। সেলসম্যানের চাকরি করেছে সে। বেতন যৎসামান্য। সেখান থেকে সঞ্চয় করা অসম্ভব প্রায়। মাইমূনের পক্ষে তো একেবারেই অসম্ভব। যে মানুষটার বিচক্ষণ ও আবেগি কথা শুনলে তার হৃদয় কেঁপে ওঠে সেই মানুষটা এই দিক দিয়ে এতটা বোকা! নাকি আয় ও ব্যয়ের হিসেব কখনও করতে হয়নি? প্রশ্নটা মস্তিষ্কে উদয় হতে প্রকাশ করল,
” তুমি কখনও চাকরি করোনি? ”
মাইমূন স্বাভাবিকভাবেই উত্তর করল,
” না। ”
” তাহলে এতদিন চলেছ কিভাবে? তোমার খরচাপাতি যোগাড় করেছ কিভাবে? ”
” বাবা দিয়েছেন। তিনি প্রতি মাসের শুরুতে আমার এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন। ”
অরুণিমার ধারণাই ঠিক। এই ছেলের আয়-ব্যয়ের হিসেব কষতে হয়নি কখনও। তার ইচ্ছে হলো একটু হিসেবটা কষে বুঝিয়ে দেয়। পর মুহূর্তে মন বদলাল। তার প্রবল আগ্রহ ও উদ্যমী মনটাকে ভাঙতে ইচ্ছে হলো না। বলল,
” এই চাকরি থেকে টাকা সঞ্চয় করতে অনেক সময় প্রয়োজন। ”
মাইমূন আগ্রহ ও উদ্বিগ্ন নিয়ে তাকাল। জিজ্ঞেস করল,
” কেমন? ”
” চার-পাঁচ বছর তো লাগবেই। ”
তার উদ্বিগ্নভাবটা দূর হয়ে গেল মুহূর্তে। বলল,
” মাত্র! আমি ভাবলাম এক যুগ, দুই যুগ লাগবে। ”
” পাঁচ বছর তোমার কাছে মাত্র মনে হচ্ছে? ”
” হ্যাঁ। আর এই বছর-টছরের হিসেব করেই কী লাভ? আমরা একে-অপরকে ভালোবাসি। পাশে আছি। ব্যস! আর কী চাই? বিয়েটা তোমাকে খুশি করার জন্য করতে চাই। আমার এতে অতটাও আগ্রহ নেই। আমার শুধু তোমাকে চাই। আর সব থেকে বড় কথা, তোমার বাবা আমাকে কোনো নির্দিষ্ট বাঁধা সময় দেয়নি। ”
অরুণিমার কথা বলার শক্তি আবারও থেমে গেল। এই ছেলের বিয়েতে আগ্রহ নেই! অগুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হচ্ছে। অথচ তার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্য, শক্তিশালী ও অবশ্যই পালনীয় ঘটনা হলো বিয়ে। যেটাকে মাইমূন নির্দ্বিধায় অপালনীয় তালিকায় ফেলে দিতে পারে। অরুণিমা যদি চায়, তাহলে বিয়ে না করেও দুজন একত্রে থাকতে পারে, সংসার করতে পারে। মাইমূন খুশিমনে মেনে নিবে। সমাজ, আইন, ধর্ম কিছুকেই পরোয়া করবে না। তার এই স্বভাবটা কি তাহলে জন্মদাতার কাছ থেকে পেয়েছে? পেতেই পারে, সমাজের চোখে সে দিদারুল করিমের ছেলে হলেও তার শরীরে তো অন্য কারও র’ক্ত বয়ছে! সেই মানুষটার নাম মস্তিষ্কে ও হৃদয়ে অনুরণিত হতে তার বুক কেঁ’পে ওঠল। মনেপ্রাণে চাইল, মাইমূনকে সে যেমন ভাবছে, যেমন দেখছে তেমনই যেন থাকে সারাজীবন।
” আজ সারাদিন আমার সাথে থাকবে? ”
মাইমূনের আবদার ও অনুরোধের কন্ঠস্বরে অরুণিমার চিন্তাভাব ভাঙল। জিজ্ঞেস করল,
” সারাদিন? হঠাৎ? কোনো বিশেষ প্রয়োজন আছে কি? ”
” হ্যাঁ, কাল ভোরে আমি গাজীপুরের জন্য বাস ধরব। আমার চাকরির স্থান ওখানে। শুনেছি, নতুন অবস্থায় ছুটি দেয় না। তোমার সাথে আবার কবে দেখা হবে জানি না। ”
” গাজিপুর! ”
মাইমূন রিকশা থামাল। নামতে নামতে বলল,
” হ্যাঁ, আমার থাকা-খাওয়াও ওখানে। ”
অরুণিমা দ্রুত রিকশার পেছন দিক দিয়ে ঘুরে তার পাশে গিয়ে দাঁড়াল। চিন্তিত সুরে প্রশ্ন করল,
” এতদূরে কেন? এই চাকরি তো আমাদের এখানে অনেক আছে। তুমি চাইলে….”
মাইমূনের ভাড়া দেওয়া শেষ। অরুণিমাকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে বলল,
” ঐ যে বলছিলে না, আমার পরিচয় ও বেড়ে উঠার সাথে চাকরিটা মানাবে না? তাই এগুলো থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। যেন লক্ষ্যভ্রষ্ট না হই। ”
অরুণিমা মাটির পুতুলের মতো শক্ত ও নিশ্চল হয়ে গেল। অভিব্যক্তি শূণ্য হয়ে একমনে তাকিয়ে আছে মাইমূনের দিকে। মাইমূনের এই পরিবর্তন, চিন্তাভাবনাগুলো তার অবিশ্বাস্য ঠেকছে। সত্যি তার মতো সাধারণ মেয়ের জন্য এতকিছু করছে?
” সারাদিনে হবে না। আজকের রাতটাও আমাকে দিতে হবে। ”
অরুণিমা চমকে বলল,
” রাতে তোমার সাথে থাকতে বলছ নাকি? অসম্ভব! ”
মাইমূন প্রথমে বুঝতে পারল না। পরক্ষণে নিজের কথাটার অর্থ অনুধাবন করে দাঁত দিয়ে জিভ কামড়ে ধরল। একহাতে কান টেনে ধরে বলল,
” ছি! ছি! আমি ঐ থাকা বলিনি। রাতে একসাথে খেতে চাচ্ছি। শুধু আমরা না। আমার ছোট ভাইগুলোও থাকবে। অনেক দিন একসাথে খাওয়া হয় না৷ এখন তো ওদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছি৷ তাই ভাবলাম যাওয়ার আগে সবার সঙ্গে একটু সময় কাটিয়ে যাই। ”
কথাগুলো বলতে বলতে মাইমূন কান ছেঁড়ে দিয়েছে। একটু সহজ হয়ে তৃপ্তভরে সহাস্যে বলল,
” আজ সবাই মিলে তোমার হাতে রান্না খাব। বাজার-সদাইয়ের দায়িত্ব ওদের উপর দিয়েছি। আমরা যেতে যেতে করে ফেলবে। চিন্তা করো না, তোমাকে একা করতে হবে না। আমরাও সাহায্য করব। ”
অরুণিমা নিরুত্তর। দ্বিধাভর্তি চোখজোড়া স্থির হয়ে আছে মাইমূনের মুখটায়। কতক্ষণ আগে যেই ছেলেটা বিয়ের প্রতি অনাগ্রহ দেখানোতে তার মনে দুশ্চিন্তা জড়ো হয়েছিল সেগুলো এই ছেলের উচ্ছ্বসিত চেহারা ও আমোদি কন্ঠস্বরে কাটছে না। জোর করে যেমন সম্মতি দিতে পারছে না তেমন অসম্মতিও। অদ্ভুত দোমনায় মনের ভেতর অস্থিরতার হাওয়া বয়ে চলছে৷ অথচ গতকালও এই বাড়িটিতে মাইমূনের সাথে এক দুপুর সময় কাটিয়ে এসেছে।
” অরুণিমা? কিছু বলছ না যে? ”
” কী বলব? ”
মাইমূন অবাক স্বরে বলল,
” এতক্ষণ কী বললাম আমি? শুনোনি? ”
” শুনেছি। ”
” এখনই বাসায় যাবে? নাকি বাইরে কোথাও থেকে সময় কাটিয়ে আসবে? ”
অরুণিমা সামান্য ঘুরে দাঁড়াল বামে। চাহনি অন্য দিকে সরিয়ে নিতে নিতে বলল,
” বাইরে থাকি। ”
” কোথায় যাবে বলো? কোলাহল মুক্ত জায়গার নাম বলো। আমার একটু নিরিবিলি সময় লাগবে। ”
অরুণিমার চোখের চাহনি ফিরে এলো মাইমূনের দিকে। মৃদু উত্তেজিত স্বরে সুধাল,
” নিরিবিলি লাগবে কেন? ”
মাইমূন উত্তর দিতে চেয়েও থেমে গেল। গভীর চোখে তাকাল তার মুখটায়। চোখের তারা ও পলকের অস্থিরতা নজরে পড়তে বলল,
” কী হয়েছে তোমার? কোনো সমস্যা? ”
অরুণিমা খানিক ভড়কে গেল। অপরাধ করতে গিয়ে ধরা পড়েছে এমন ভাব। মাইমূন এই অভিব্যক্তিটাও লক্ষ্য করে বলল,
” তোমাকে আগে থেকে কিছু বলিনি বলে অসুবিধা হচ্ছে? ”
সে ধরা পড়ে গিয়েও লুকাতে চেষ্টা করল। নিজেকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করে বলল,
” না। ”
” তাহলে? তোমার বাবা কিছু বলেছে? আমার সাথে দেখা করতে মানা করেছে? ”
অরুণিমা প্রথম উত্তরটা মিথ্যা বলেছে। তারপরে তার বুক কাঁ’প’ছে, গলার স্বর বরফের মতো জমে গেছে এমন ভাব। মনে হচ্ছে, কিছু বললে আরেকটা মিথ্যা হয়ে যাবে। তার এই চুপ করে থাকার মধ্যে মাইমূন নিজের মতো উত্তর খুঁজে নিল। খানিক বিরক্ত নিয়ে বলল,
” এই ভ’য়টাই পাচ্ছিলাম! ”
তারপরে মিনতির স্বরে বলল,
” আজকে কোনোভাবে তাকে সামলাতে পারবে না? তোমার সাথে একটু একান্ত সময় না কাটাতে পারলে আমার খুব খারাপ লাগবে। ”
অরুণিমার ভেতরটা এবার দ’গ্ধ হতে শুরু হলো। পরিস্থিতি কোথা থেকে কোথায় গড়াচ্ছে! তার ইচ্ছে হলো মনের যত ভয়, সংশয়, সংকোচ এক লহমায় নিষ্পন্ন করে ফেলতে। সে কী করবে বা বলবে বুঝতে না পেরে যখন অসহায় দৃষ্টিতে তাকাল মিনতিপূর্ণ মুখটায়। তখনই মাথায় সুবুদ্ধি এলো। দ্রুত বলল,
” না বাবা এমনটা বলেননি। ”
মাইমূন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। ধপ করে বিপদমুক্ত নিশ্বাস ছেড়ে বলল,
” তাহলে চলো। ”
অরুণিমা বাঁধা দিয়ে বলল,
” তুমি যে এখান থেকে চলে যাচ্ছ, তোমার বাবা-মা জানে? তাদের থেকে বিদায় নিয়েছ? ”
হঠাৎ তার বাবা-মায়ের প্রসঙ্গ আসায় তার মুখের রঙ বদলে গেল। মলিন মুখে উত্তর করল,
” না। ”
” কেন? তোমার উচিত তাদের সঙ্গে দেখা করা, দোয়া নেওয়া। ”
” প্রয়োজন নেই। ”
” আছে। নতুন একটা জীবন শুরু করতে যাচ্ছ। অথচ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানীয় মানুষ দুজনের দোয়া নিবে না এটা হয়? ”
মাইমূন অপ্রসন্ন হয়ে বলল,
” এসব কেন বলছ, অরুণিমা? তুমি আমার অতীত ও বর্তমান সবই জানো। বাবার সাথে বছর ঘুরে দুই-একবার প্রয়োজনীয় আলাপ হলেও মায়ের সাথে কথা একদমই বন্ধ। আমি তাদেরকে স’হ্য করতে পারি না। বিশেষ করে মাকে। চোখে পড়লে মাথা য’ন্ত্র’ণা হয়, বুকের মধ্যে আ’গুন জ্বলে ওঠে। মৃ’ত্যু ক্ষুধা জাগে। মনে হয় নিজে ম’রে যাই নাহয় কাউকে মে’রে ফেলি। ”
অরুণিমা খেয়াল করে মাইমূনের কথা বলার ভঙ্গি বদলে গেছে। মুখের ভাবে এসেছে অত্যন্ত কঠোরতা ও নিষ্ঠুরতা। তার আত্মা কেঁপে ওঠে। ভীত হয় এই ভেবে, সত্যি কি মানুষ খুনের মতো জঘন্য অপরাধ মাইমূনের দ্বারা সম্ভব হবে? তার একমনে চাইল, এই বিষয়টা এখানে শেষ করে দেয়। তাদের মধ্য থেকে সরে দাঁড়ায়। আরেকমন চাইল, দৃঢ় হতে। নিজ সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে। বিষয়টি অযথায় টেনে আনলেও এখন মনে হচ্ছে, সত্যি এদের সম্পর্কটা ঠিক করার দায়িত্ব নেওয়া উচিত তার। তাই বলল,
” আমি মানছি আন্টি অনেক বড় অন্যায় করেছে, এর শাস্তিও ভোগ করছে। এরপরও তোমার রাগ পড়ছে না কেন, মাইমূন? আমার মনে হয়, তার অন্যায়টা তোমার চেয়েও তোমার বাবার কাছে অনেক বেশি বড়। মাফ পাওয়ার অযোগ্য। এরপরও তো তিনি মাফ করে দিয়েছেন। তোমাকে আপন করে নিয়েছেন। তারা চাইলে দ্বিতীয় সন্তান নিতে পারত, নেয়নি। ”
” তোমার কাছে ব্যাপারটা যত সহজ মনে হচ্ছে ততটাও নয়। ”
” তাহলে সহজ করে দিই? ”
মাইমূন কৌতূহলপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকাল। জিজ্ঞেস করল,
” কিভাবে? ”
” আমি তোমার পাশে থেকে। মনে আছে, কিছুক্ষণ আগে কী বলেছিলে? আমি তোমার পাশে থাকলে সব সহজ হয়ে যায়। সত্যি সহজ হয় নাকি এটা দিয়ে প্রমাণ হয়ে যাক। ”
” জোর করে মাফ হয় না। শুধু শুধু সময় নষ্ট করছ। ওদের আমার প্রয়োজন নেই। ”
” আমার আছে। আমার শুধু স্বামী না, শ্বশুর-শাশুড়িসহ সম্পূর্ণ একটা শ্বশুরবাড়ি লাগবে।
অরুণিমা একপ্রকার জোর করে মাইমূনকে নিয়ে গেল তার বাড়ির সামনে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গিয়ে দাঁড়াল তাদের মুখ্য দরজায়। কলিংবেল চাপ দেওয়ামাত্র মাইমূন ফিসফিসে বলল,
” তোমার সত্যিই এসব দরকার? শুধু আমাকে দিয়ে হবে না? ”
” না, হবে না। আমার তো এটাও জানা দরকার, ছেলের বউ হিসেবে আমাকে তাদের পছন্দ হয়েছে কিনা৷ ”
” তাদের পছন্দ-অপছন্দে আমার কিছু যায়-আসে না। ”
” আমার আসে। যাদের সাথে সারাজীবন থাকব, তাদের পছন্দসই বউ না হলে শান্তি পাব নাকি? ”
” তোমার ওদের সাথে থাকতে হবে না। ”
” হবে। চুপ করে দাঁড়াও তো। এত কথা বলছ কেন? ”
চলবে