আঙুলে আঙুল পর্ব ২৪

0
364

আঙুলে আঙুল
পর্ব (২৪)

বাবা বাসা থেকে বেরুলে অরুণিমাও বেরুনোর সুযোগ পেল। সুযোগটাকে হাত ছাড়া করল না একদমই। তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করল মাইমূনের সাথে। জরুরি দেখাটা হলো সেই ইটের দেয়ালে ঘেরা একতলা বাড়ির সামনে। যেখানে মাইমূন ও রতনকে বাঁধা অবস্থায় পেয়েছিল। অরুণিমা ফটকহীন স্থানটার মাঝে দাঁড়িয়ে ভেতরে চাহনি ফেলল। কোথাও কেউ নেই। আগের বার যে ছেলেগুলোকে দেখেছিল তাদেরও নজরে পড়ছে না। সে ভেতরে সন্ধিৎসু দৃষ্টি রেখে সুধাল,
” আমাকে এখানে আনলে যে? ”

মাইমূন তার থেকে এক কদম পিছিয়ে ছিল। এবার পাশে এসে দাঁড়াল। মৃদু হেসে বলল,
” ভ’য় করছে? ”

উত্তরের পরিবর্তে প্রশ্ন পেয়ে অরুণিমা পাশ ফিরে তাকাল। ইতস্তত করে বলল,
” না, কিন্তু জায়গাটা এত শান্ত ও নীরব কেন? আশেপাশে বাড়িঘর নেই? ”
” না। এই গলির এটাই শেষ বাড়ি। ”

অরুণিমার বুকের ভেতরটা কেমন করে ওঠল। তার পাশে উপস্থিত একমাত্র পুরুষটাকে সে চেনে। পরিচয় অনেক দিনের। দেখা-সাক্ষাৎও হয়েছে কয়েক বার। এরপরও বিশ্বাসের ঢালটা তেমন মজবুত নয়। কচি গাছের মতো নরম, নয়নীয়। ভাঙতে চাইলে ভাঙবে না কিন্তু সহজেই বেঁকে যাবে।

” আমরা পরিচিত কারও নামে দুর্নাম শুনলে প্রথমে বিশ্বাস করি না। প্রতিবাদ করি কিংবা নীরব থাকি। সেই সাথে অজান্তেই মনের মাটিতে সন্দেহের একটা বীজ রোপন করে ফেলি। আমার মনে হয়, তুমিও বীজ রোপন করেছ। যার কুঁড়ি তোমার চোখদুটোতে আমি দেখতে পাচ্ছি। ”

অরুণিমা লজ্জিত হয়ে বলল,
” ভুল ভাবছ। ”
” না, ঠিক ভাবছি। ভালোবাসা, আমাকে নিয়ে তোমার মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ”

মাইমূনের কণ্ঠে দৃঢ়তা, প্রত্যয়। অরুণিমা কুণ্ঠাবোধ করছে। দৃষ্টি উঁচু করতে পারছে না। নিজের কাণ্ডে, ভাবে নিজেরই রাগ হচ্ছে। মাইমূন বলল,
” চিন্তা করো না, এই সন্দেহের বীজটা খুব শীঘ্রই উপরে ফেলব। মাটিটুকু নিজের দখলে নিয়ে বিশ্বাসের চারা রোপন করব। যার কখনও মৃত্যু হবে না। চির অমর হবে। ”

অরুণিমা হাসার চেষ্টা করলে সে সুধাল,
” সামনে এগুবে নাকি ফিরে যাবে? আমি দুটোতেই তোমার সাথে আছি। ”

সে সামনে এগুল। যার জন্য পরিবারের বিপক্ষে গিয়েছে, বাবার অবাধ্য হয়েছে, মাথা নত করিয়েছে তার উপর বিশ্বাস অর্জন করা অনিবার্য। এই পথে তার পিছে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। অরুণিমা সমুখে অগ্রসর হতে হতে খেয়াল করল, ফাঁকা উঠোনটা আজ পরিষ্কার। ম’রা পাতার স্তুপ নেই কোথাও। ঝাড়ুর ছাপ স্পষ্ট। প্রবেশ দ্বার খোলা থাকা সত্ত্বেও সে মাইমূনের দিকে তাকাল। সে চোখের পলক ফেলে বলল,

” এই বাড়ির দরজা তোমার জন্য সবসময় খোলা থাকবে। প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই। ”

অরুণিমা ভেতরে ঢুকল। দূর থেকে দৃষ্টি গিয়ে পড়ল রান্নাঘরটায়। বেশ পরিচ্ছন্ন। নতুন ময়লার ঝুড়ি। চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনার ছিটে-ফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। সে বিস্ময়ে অভিভূত হলো। তার আগমনের সময় কি মানুষটার পূর্বেই অবগত ছিল? এ সকল উদ্যোগ তার জন্যে? কখন গ্রহণ করেছে?

” এ বাড়িটা আমার বাবার। তিনি চলে যাওয়ার পর জিনিসপত্র যেমন নাড়া-চাড়া করিনি তেমন গোছগাছও করিনি। এখানে আমরা শুধু ঘুমাতে আসতাম। ”
” বাবার মুখে শুনেছিলাম, বাড়িওয়ালা চাচাদের দুটো বাড়ি। কিন্তু দুটোই যে একই এলাকায়, এটা জানতাম না। ”

অরুণিমার ভ’য়’কাতুরে মনটা এখন একটু সাহসী হয়েছে। সে ধীরে ধীরে হাঁটছে আর বাড়িটিকে নতুনভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। যে রুমটায় মাইমূনকে পেয়েছিল, সেই রুমটায় প্রবেশ করতে শুনতে পেল,
” আমার যে বাবাকে তুমি চিনো, এই বাড়িটা তার নয়। ”

সে থমকে যেতে বাধ্য হলো। ভ্রদ্বয় কুঁচকে চেয়ে থেকে সুধাল,
” মানে কী? আপনার কতগুলো বাবা? ”

প্রশ্নটা এমন বিদ্রুপ রসাত্মক শোনাল যে, মাইমূনের ঠোঁটে হাসি জড়ো হলো। মৃদু হেসে মজার ছলে বলল,
” আমার অনেকগুলো বাবা না থাকলেও দুটো আছে। এই বাড়িটি যার তিনি আমার জন্মদাতা। ”

অরুণিমা দ্বিধাগ্রস্থ। স্মরণ করে দিল,
” আর বাড়িওয়ালা চাচা? তুমি বলেছিলে, উনি তোমার বাবা। ”
” হ্যাঁ, উনিও আমার বাবা। কিন্তু জন্মদাতা নন। বৈবাহিক সূত্রে আমার মায়ের স্বামী হওয়ার কারণে উনিও আমার বাবা। ”

অপ্রত্যাশিত তথ্য পেয়ে অরুণিমা হতভম্ব। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
” তোমার মায়ের দুই বিয়ে হয়েছে? তুমি প্রথম স্বামীর ছেলে? ”
” না। ”
” তাহলে? ”

মাইমূন নতুন চাদর বিছানো বিছানার একধারে বসল। অরুণিমাকেও বসার জন্য ইশারা করল। সে বসল না। তার চিন্তা-ভাবনায় জিলাপির মতো প্যাচ লেগে গেছে। প্রশ্নের পর প্রশ্ন উদ্ভুত হচ্ছে কিন্তু উত্তর মিলছে না। বুদ্ধিশূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। মাইমূন তার মনের অবস্থা বুঝতে পারল। গম্ভীরমুখে বলল,
” এই সত্যটা বলার জন্যই তোমাকে এখানে এনেছি। ”

একটু চুপ থেকে আবারও বলল,
” সেই রাতে মাতাল অবস্থায় যাকে মে’রে’ছিলাম তিনিই আমার জন্মদাতা। এই বাড়ির প্রকৃত মালিক। ”
” বাবাকে মে’রে’ছ! ”

অরুণিমার কণ্ঠে অবিশ্বাস, আ’ত’ঙ্ক। মাইমূন মাথা নেড়ে বলল,
” হ্যাঁ। আমি তাকে ঘৃ’ণা করি। যদি খু’ন করা পাপ না হতো, অন্যায় না হতো তাহলে আমি এই মানুষটাকে আমি এতদিনে পরকালে পাঠিয়ে দিতাম। ”
” এত ঘৃ’ণা করো! কেন? ”

মাইমূন গভীর নিশ্বাস টানল। তারপরে শান্ত ও নিরুত্তেজ স্বরে বলতে লাগল,
” দিদারুল করিম মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। পারিবারিকভাবেই আমার মাকে বিয়ে করে আনেন। তখন তিনি একটা কোম্পানিতে স্বল্প বেতনে চাকরি করছিলেন। হঠাৎ তার বাবা মানে আমার দাদা মারা যান। পরিবারের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে বাবার উপর। তার স্বল্প বেতনে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পড়ালেখা বেশিদূর করা হয়নি। ভালো চাকরি যোগাড় করতে পারছেন না। এই সংকটময় অবস্থায় বাবার একমাত্র বন্ধু শহীদুল পরামর্শ দিলেন, বাংলাদেশ ছাড়ার। চাকরি ও ভিসার ব্যবস্থা করে দিবেন তিনি শুধু টাকার ব্যবস্থা করতে হবে বাবাকে। আমার দাদি এ প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলেন। গ্রামের জমি-জমা বিক্রি করে বাবাকে পাঠিয়ে দিলেন দুবাই। তখন বাবা ও মায়ের বিবাহের বয়স দুই বছর। এখনকার মতো মোবাইলের সুব্যবস্থাও ছিল না। মায়ের সাথে বাবার কথা হতো চিঠির মাধ্যমে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে আচমকা সৃষ্টি হওয়া এই দূরত্বটাকেই অ’স্ত্র হিসেবে ব্যবহার করল বাবার বন্ধু। বাবার আর কোনো ভাই ছিল না, দুই বোন ছিল। দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছিল। শ্বশুরবাড়ি থাকত। পুরুষহীন এই পরিবারটিতে বিনা অনুমতিতে যাওয়া-আসার সুযোগ পেয়েছিল একমাত্র শহীদুল। এই সুযোগের যথার্থ ব্যবহার করলেন তিনি। দাদির চোখের আড়ালে অবৈধ সম্পর্ক জড়িয়ে ফেললেন মায়ের সাথে। বাবা বিদেশ যাওয়ার পরপরই দাদি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় তিন বছর কাটানোর পর তিনি মারা যান। বাবাকে দেশে আসতে হয়। সেই সময় আমি মায়ের পেটে আসি। সবাই ভাবে আমার বাবা দিদারুল করিম। এটাই ভাবা স্বাভাবিক। কিন্তু আমার মা জানত, আমার বাবা দিদারুল করিম নয় শহীদুল। ”

মাইমূন এই অবধি এসে থামল। অরুণিমা বলল,
” তার মানে দোষী তোমার মাও। তিনি প্রশ্রয় না দিলে হয়তো…”

বলতে বলতে সে থেমে গেল। মাথা ঝাকি দিয়ে বলল,
” এসব কথা আমাকে শোনাচ্ছ কেন? আমি আগ্রহ পাচ্ছি না। বাসায় যাব। ”
” অর্ধেক শুনেই চলে যাবে? ”
” আমার ইচ্ছে তো তেমনই। এটা রুচিসম্মত আলোচনা নয়। এসব আমাকে না বললেই ভালো হতো। তুমি তোমার মাকে নিয়ে কথা বলছ। মায়ের সম্পর্কে খারাপ কথা শুনতে প্রস্তুত নই আমি। ”

মাইমূন বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়ল। অরুণিমার কাছাকাছি এসে বলল,
” আমাকে যে বলতেই হবে। ”
” কেন? ”
” বলার মতো কাউকে পেয়েছি যে তাই। পনেরো বছর ধরে অবৈধ আমিটাকে বন্দি করে রেখেছি। এবার একটু মুক্ত করতে চাই। ”

অরুণিমা শুনতে প্রস্তুত নয়। সে কাঠ স্বরে বলল,
” আমি যেটা শুনতে এসেছি সেটা বলার হলে বলো। নাহয় আমি যাচ্ছি। ”
” সেটাই তো বলছি। তুমি হয়তো ভুলে গেছ, শুরুতে কী বলেছিলাম। আচ্ছা, আবার স্মরণ করে দিচ্ছি। মদ খেয়ে যাকে মে’রে’ছিলাম সে আমার জন্মদাতা ছিল। বাবার একমাত্র বন্ধু শহীদুল। ”

অরুণিমার ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও বাকি অর্ধেক কাহিনি শুনতে হলো। যার মূল বাক্যগুলো এমন ছিল, মায়ের মৃ’ত্যু’র জন্য দিদারুল দেশে আসলেও আর ফিরে যায়নি। কারণ, তার স্ত্রী একা এবং অন্ত:সত্তা। এই অবস্থায় তাকে রেখে যাওয়ার মতো জায়গা ছিল না। সে থেকে যাওয়ার ফলে শহীদুল নিজের ইচ্ছেমতো যাওয়া-আসা করতে পারছিল না। মাইমূনের মাও এড়িয়ে যাচ্ছিল। একটা সময় শহীদুল সেই বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দেয়। সবাই যখন তাকে ভুলে যায় ঠিক তখনই আবির্ভাব ঘটে নতুন করে। তখন মাইমূনের বয়স ছয় বছর। স্কুলে পড়ছে। দিদারুল করিম দুবাই থেকে জমানো টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। লাভবানও হচ্ছেন। ভাড়া বাসায় থেকে জমি নিয়েছেন। বাড়ির কাজ ধরবেন। এই সুখ ও সফলতাকে মেনে নিতে পারেনি শহীদুল। মাইমূনের মায়ের কাছে বিশাল অংকের টাকা দাবি করে। না দিলে তার অবৈধ সম্পর্ক ও সন্তানের কথা বলে দিবে সকলকে। সে বাধ্য হয়ে টাকা দিতে থাকে। এক বার নয়, বার বার। এই টাকার বিনিময়েও সত্যটা লুকানো সম্ভব হয়নি। দিদারুল করিমকে ঠিকই সত্যিটা বলে দেন। শহীদুল জানতেন, তিনি তার স্ত্রীকে ভীষণ ভালোবাসতেন। এই অন্যায়টা সহজেই ক্ষমা করে দিবেন। তেমনটা হয়েছিলও। সেজন্য অন্য পরিকল্পনা করে। তার কাছে টাকা চায় ও জানায়, টাকা না দিলে তার স্ত্রীকে বলে দিবেন, মাইমূনের বাবা জেনে গেছে সে অবৈধ সম্পর্কে ছিল। দিদারুল করিম তার ফাঁদে পড়ে যায়। আশঙ্কা করেন, তার স্ত্রী আত্মহত্যা করবেন। স্ত্রীকে বাঁচাতে শহীদুলকে টাকা দিতে রাজি হয়ে যান। গল্পটা এখানে শেষ হতে পারত, হয়নি। শহীদুল বিনা পরিশ্রমে দুই দিক থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা পেয়ে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। আরও বেশি লোভী হয়ে পড়ে। মাইমূনের বয়স যখন বারো বছর তখন একা নিরালায় নিয়ে গিয়ে আরও একটি ফাঁদ পাতে। তার মায়ের অবৈধ সন্তান এই কথাটি জানিয়ে দেয়। কিন্তু নিজের পরিচয় গোপন রাখে। তার মাধ্যমেই দেখতে পায়, মাইমূনের মা ও বাবা গোপনে কাউকে টাকা দেয়। সেই গোপন মানুষটিই তার জন্মদাতা। তারপরে তার জীবন বদলে যায়। শহীদুলের সাথে বন্ধুর মতো মিশতে থাকে। তার প্ররোচনায় পড়ে নেশায় আসক্ত হয়, পরিবার থেকে দূরে ছিটকে পড়ে। আশ্রয় নেয় এই বাড়িতে। মাইমূনের বাবা-মা তাকে দূরে করেনি। সে নিজেই দূরে সরে এসেছে। মাকে ভালোবাসতে পারেনি, তার অপরাধের কারণে। বাবাকে ভালোবাসতে পারেনি, জন্মদাতা নয় তাই।

এই পর্যন্ত জানার পর অরুণিমা জিজ্ঞেস করেছিল, শহীদুলই যে তার বাবা, এই কথাটি কবে জেনেছে। মাইমূন বলেছিল, ‘ যেদিন তোমার বাবা আমাকে পে’টা’তে দেখেছে সেদিনই। ‘

____________
অরুণিমা বাসায় ফিরল অসহ্য রকম মাথা ব্যথা নিয়ে। চোখ, মুখ ভীষণ ক্লান্ত ও অসুস্থভাব। সে চোখ বন্ধ করে একহাতে কপালের একপাশ মর্দন করতে করতে নিজের রুমের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল সহসা কানে কিছু শব্দ পৌঁছাল। চোখ মেলতে অবাক হলো। বসার রুমটা মানুষে ভর্তি। সবাইকে সে চেনে। শুধু সঞ্জয়ান নয়, তার বাবা-মাও আছে এখানে। নতুন করে এদেরকে নিজের বাসায় দেখে তার বুক কেঁ’পে ওঠল। পুরোনো ভ’য়টা দ্বিগুণ যন্ত্রণার রূপে তাজা হয়েছে। বাবা কি এই মানুষটার সাথে তাকে বিয়ে দিয়েই ছাড়বে? অরুণিমা দ্বিতীয় বারের মতো যু্দ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত নয়। জোর, সাহস কোনোটাই নেই। তার মাথার ভেতরটা জট পেকে আছে। সামান্য ব্যাপার নিয়ে ভাবতেও আলসেমি পাচ্ছে। এই অবস্থায় এত বড় দুর্যোগ সামাল দিবে কী করে? সে ভীষণ অসহায় অনুভব করছে। মাকে রান্নাঘর থেকে বেরুতে দেখলে, সেদিকে ছুটতে চাইল। তার আগেই শূভ্রা হাত ধরে ফেলল। সকলের অগোচরে রুমের ভেতর টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরল। কান্নায় ভেঙে পড়ে বলল,
” আমি বিয়ে করব না, আপু। বাবাকে বলো, এই বিয়ে ভেঙে দিতে। ”

অরুণিমা বাকরুদ্ধ। বিস্ফারিত নেত্রদ্বয়ে আবিষ্কার করল, শূভ্রার শরীরে লাল বেনারশী ও স্বর্নের গয়না।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here