আকাশে তারার মেলা পর্ব ২৪

0
360

#আকাশে_তারার_মেলা
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব -২৪

রাতের আঁধার কাটিয়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছে এক স্নিগ্ধময় সকাল। সূর্যের আলোর পাশাপাশি রুমে ধেয়ে আসছে শীতল বাতাস। চার দেয়ালের প্রতিটি কোণায় কোণায় বাতাসের বিচরণ। হাওয়ার তালে কিছু টা নড়ছে আদ্রর কপালে পড়ে থাকা ছোট ছোট চুল গুলো। লোক মুখের কথা ডাক্তারি পড়তে পড়তে মাথার অর্ধেক চুল খোয়াতে হয়। অথচ আদ্র নামক সুদর্শন যুবকের মাথায় চুলের ও কমতি নেই। মানুষ টা পারফেক্ট সব দিক দিয়ে পারফেক্ট। এটা একটা ভুল! নিতান্তই ভুল বাক্য। পৃথিবীতে সবাই পারফেক্ট হয় না। কোনো না কোনো দিক দিয়ে ত্রুটি,শূণ্যতা থেকেই যায়। যেমন আদ্রর ও আছে। দেখতে সুদর্শন হলেও তার রয়েছে চরম দুর্বলতা। তার দুর্বলতা একটা মেয়েকেই কেন্দ্র করে । আটাশ বছরের এই সুদর্শন যুবকের দুর্বলতা আঠারো বছরের তুলি কে ঘিরে। হঠাৎ একটা দমকা হাওয়ায় রুমের সাদা পর্দা গুলো এলোমেলো ভাবে উড়তে লাগল। নিমিষেই সূর্যের কিরণ বিলুপ্ত হয়ে রুম টা হিম ঠান্ডায় পরিণত হল। এক নজরে আদ্রর ঘুমন্ত চেহারায় দৃষ্টিপাত করে রেখেছিল তুলি। বাতাস এসে জ্বালাতন করায় না চেয়ে আদ্রর সামনে থেকে উঠতে হল তার। ধীর পায়ে হেটে বেলকনির কাছে এসে কাচের দরজা টা লাগাতে নিলে বাতাসের দাপটে উড়তে লাগল খোলা হালকা ভেজা চুল ও শাড়ির আঁচল টা। আকাশের দিকে তাকাল তুলি। আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা। হয়তো আজ বৃষ্টি হবে নয়তো আসবে কোনো প্রকান্ড ঝড়। তারই পূর্বাবাস দিয়ে যাচ্ছে কালো মেঘ ও এই দমকা হাওয়া। দরজার কাছে দাড়িয়ে চোখ বুঁজে নিল তুলি। বাতাস এসে চোখে মুখে দোলা দিয়ে যেতেই ঠোটের কোণে ফুটে উঠল মৃদু হাসির ঝলক। মনের কোণে ভেসে উঠল কিছু মুহুর্ত। আশ্চর্য! তুলির মন বিষাদে ছেয়ে যাচ্ছে না। কোনো তিক্ততা ও তাকে গ্রাস করতে পারছে না। বিষাক্ত অনুভূতি হৃদয়পটে জমাট হতে অক্ষম। তুলির কাছে সবকিছুই নিছক সত্য একটাই আদ্রর ভালোবাসা। তুলির ঠোঁট দুটো আলগা হয়ে এল। মিন মিন স্বরে উচ্চারিত হল,,

” একটা আহত মন,ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় নিয়ে কোনো এক বসন্তে আপনার দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছিলাম। অথচ!অথচ আপনি বদলে দিয়েছেন সময়।ভালোবাসা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছেন আমায়। আমার হৃদপিন্ডের প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে দিয়েছেন অনুরাগের অনল। ”

কাচ লাগিয়ে তুলি আদ্রর সামনে এসে বসল। আদ্র গভীর ঘুমে মগ্ন। সারারাত নেশার ঘোরে থেকে এখন ঘুমানো টাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন ঘুম টা ভাঙবে তখন কি মনে পড়বে আদ্রর সবকিছু? স্মৃতির পাতায় কি সজীব থাকবে কিছু সময়? নিঃশব্দহীন একটা নিঃশ্বাস ফেলল তুলি। ঠোঁটে প্রস্ফুটিত হাসি নিয়ে হাত বাড়িয়ে আদ্রর কপালের চুল গুলো সরিয়ে দিল। একটু নিচু হয়ে কপালে নিজের অধর ছোঁয়াল গভীরভাবে। চোখে জড়ো হল জল। আর মাত্র কিছু সময় পর সারাজীবনের জন্য দু’জন বিয়ের পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হবে। ঘুচে যাবে সাময়িক দূরত্ব। মাথা উঠিয়ে ঘড়ির দিকে তাকাল তুলি। সাতটা বেজে গেছে। সবাই হয়তো ঘুম থেকে উঠে গেছে বিয়ে বাড়ি বলে কথা। অবশ্য তুলি ফজরের সময় নিজের ঘরে গিয়েছিল একবার সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে। এখন না গেলে পরিস্থিতি বিগড়ে যাবে তাই উঠে দাঁড়াল। দরজার কাছে গিয়েও আরেকবার ফিরে তাকাল আদ্রর মুখের দিকে। অজানা কারণেই বুকটা হাহাকার করছে। তুলির ইচ্ছে করছে না তার ডাক্তার সাহেবের কাছ থেকে একটুও দূরে যেতে। তবে যেতে তো হবেই। “কিছু সময় পরই তো বিয়ে তারপর আমাদের জীবনের নতুন সূচনা ঘটবে।” কথাটা বিড়বিড় করে বলেই হালকা হেসে বেরিয়ে এল তুলি। চারদিকে নজর দিতেই দেখল দু তলায় কেউ নেই সবাই নিচে। হাফ ছেড়ে দরজা টা চাপিয়ে দ্রুত গতিতে পা ফেলে রুমে চলে আসল।
_______

ঘুম থেকে ধরফরিয়ে উঠল আদ্র কিছু শোরগোলের আওয়াজে। কোনোদিকে না চেয়েই মাথা টা চেপে ধরে বসে পড়ল। প্রচন্ড ভার হয়ে আছে মাথা টা সেই সাথে তীব্র ব্যাথা। এমন তো কখনও হয় নি তার।কানে আবারও আওয়াজ এসে ভিড়তে মাথা তুলে চাইল চারপাশে। সাগর,অন্তু,নিবিড় ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে। চরম বিরক্তি নিয়ে আদ্র বলে উঠল-

-“সমস্যা কি তোদের? সকাল সকাল এভাবে পাগলের মতো চেয়ে আছিস কেন?”

–” বর সাহেব ঘড়িতে তাকালেই দেখতে পাবেন নয়টা বাজে। এখনও সক্কাল সক্কাল রয়ে যায় নি।” —কথাটা বলেই নিবিড়, সাগর,অন্তু হু হু করে হেসে উঠল। নিবিড় একটা বালিশ নিয়ে পাশে শুয়ে রসাত্মক কন্ঠে বলে উঠল-

–” তুই তো এতো বেলা পর্যন্ত ঘুমাস না। ব্যাপার কি! আজকের কাজ গতকাল শেষ? ”

নিবিড়ের মজার ছলে বলা রসাত্মক বাক্য টা শুনে বুক টা ধুক করে উঠল আদ্রর। বাকি সবাই আরেক দফা হাসতে শুরু করল। আদ্র কপাট রাগ দেখিয়ে বলল–

–‘ আমি তোর বউয়ের বড় ভাই হই ভুলে যাস না।”

–” তার আগে তুই আমার বন্ধু। আর বন্ধুর সাথে কথা বলতে সীমার প্রয়োজন নেই। ”

–” হু। এখন তোরা তিনটা বের হ আমার রুম থেকে। যার যে বউয়ের কাছে যা আর আমাকেও ফ্রেশ হয়ে আমার বউয়ের কাছে যেতে দে।”

আদ্রর কথা শুনে চোখ ছোট ছোট করে চাইল তিনজন।সাগর কপালে ভাজ ফেলে বলল–
” একটু পরেই তো বিয়ে ভাই। এখনই যেতে হবে তোর?”

–” যেতে হবে। যদি মাইর না খেতে চাস ফুট এখান থেকে।”

মাইর খাওয়ার কথা শুনেই উঠে দাঁড়াল অন্তু। যেতে যেতে বলল–” পায়েল বোধহয় আমাকে ডাকছে। বেবীর সেবা করতে হবে তো।” সাগর ও নিবিড় একসাথে বলে উঠল- “পায়েল বাঘিনী অথচ তার বর ভেজা বেড়াল। ” দুজনে না পেরে চলে গেল রুম থেকে। ওরা যেতেই আদ্র বিছানা থেকে উঠে দরজা টা ঠাস করে লাগিয়ে দিল। ওয়াশরুমে এসে চোখে মুখে পানি দিয়ে কাল রাতের কথা মনে করার চেষ্টা করল। আদ্রর স্পষ্ট মনে আছে জুস খেয়েছিল সে। খাওয়ার কিছু সময় বাদে তুলির সাথে দেখা করার জন্য বাড়ির ভিতরে এসেছিল। সামিরার উপস্থিতি ও ঝাপসা হয়ে স্মৃতির পাতায় বিচরণ করছে। মাথার চুল টেনে মনে করার চেষ্টায় লেগে পড়ল আদ্র। তার মন টানছে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটেছে গত রাতে। বহু চেষ্টার পর মনের আরশিতে ভেসে উঠল তুলির চোখ বুজে থাকা শ্যামলা মুখশ্রী টা। থমকে গেল আদ্র। গলা শুকিয়ে এল তার। হৃদয় নিংড়ানো ভয় চেপে ধরল আষ্টেপৃষ্টে। আয়নায় চোখ যেতেই মনের আশঙ্কা টা পরিণত হল যন্ত্রণায়। তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে বেলকনিতে এসে এক লাফে তুলির বারান্দায় উপস্থিত হল। পায়ের গতি বাড়িয়ে রুমে আসতেই চোখে পড়ল আয়নার সামনে কলা পাতা রঙের শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা তুলির দিকে। তড়িৎ বেগে তুলি কে ঘুরিয়ে নিজের সাথে চেপে ধরল আদ্র। কাতর স্বরে এক নিশ্বাসে বলল,,,

–” আমার মনে হচ্ছে আমি অপরাধ করে ফেলেছি তুলা। সত্যিই কি তাই? ”

আদ্রর প্রশ্ন শুনে কেঁপে উঠল তুলির মনটা। হৃদয়ের উঠানামা হতে লাগল দ্রুত গতিতে। আদ্র অধীর আগ্রহ নিয়ে করুন চাহনি নিক্ষেপ করে রেখেছে উত্তরের আশায়। পারবে না তুলি জবাব দিতে। আজ যেন তুলি কিছু বলার ভাষা ও হারিয়ে ফেলেছে। তুলি কে নিশ্চুপ দেখে আদ্র ধরা গলায় বলল,,

–” নীরবতা কি সত্যের প্রমাণ দিচ্ছে?”

–” আপনি কখনও অপরাধ করতে পারেন না আদ্র।”– কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠল তুলি। আদ্রর ভয় হচ্ছে। তুলির ছোট্ট মনের ভাবনা সে আজ কোনোভাবেই বুঝতে পারছে না। বুকের অসহনীয় পীড়ন নিয়ে অসহায় কন্ঠে বলে উঠল-

–” তুমি আমার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে নাতো তুলি? আমার মনে হচ্ছে আমাদের মাঝে,,,।”

আর কিছু বলতে পারছে না আদ্র। তুলির গালে হাত রেখে বলল–” জুস টা তুমি পাঠিয়েছিলে?”

আদ্রর এহেন প্রশ্নে কিছুটা বিস্মিত হল তুলি। সাবলীলভাবে জবাব দিল –” আমি সামিরা আপু কে বলেছিলাম ওনি পাঠিয়েছেন। ”

ব্যাস যা বুঝার বুঝে গেল আদ্র। সামিরার উদ্দেশ্য বেশ ঠাওর হয়েছে তার। ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকা তুলির দিকে তাকাতেই আদ্রর অন্তর আত্মা কেঁপে উঠল। মেয়েটার চোখে মুখে লজ্জার ছাপ নেই আজ যা আদ্র কে পোড়াচ্ছে ভীষণভাবে। তুলির ললাটে ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে কপালে কপাল ঠেকাল আদ্র। করুন স্বরে বলে উঠল-

” যদি কিছু হয়েও থাকে তবে মুহুর্ত গুলো অবৈধ ছিল না তুলা। আমি অপেক্ষা করব। অপেক্ষা করব আরো একটা বার তোমাকে আপন করে নেওয়ার।”

তুলির মেহেদী রাঙা দু হাতে চুমু একে আস্তে আস্তে দু হাত ছেড়ে দিতে লাগল আদ্র। এক পলকে হাতের দিকে তাকিয়ে রইল তুলি। মনটা আনচান করছে আজ।বড্ড কু ডাকছে। ইচ্ছে করছে আদ্রর হাত টা দু হাতে শক্ত করে আকড়ে ধরতে। ধীরে ধীরে চলে গেল আদ্র। দরজার কড়া নাড়ার শব্দে ঘোরের সমাপ্তি ঘটল তুলির। খুলে দিতেই আমরিন, ইনশিতা,পায়েল, রিমি, ঝুমু কে দেখে মৃদু হাসল। আমরিনের হাতে বিয়ের বেনারসি। ঝুমুর হাতে নাস্তার প্লেট। নিঃশব্দে খাটে এসে বসল তুলি। ঝুমু তুলির দিকে তাকিয়ে বলল —

“বাহ! গোসল করে নিয়েছ। বেশ ভালো হয়েছে। নাস্তা করতে তো নিচে যাও নি। এখন ঝটপট খেয়ে নাও। অলরেডি দশটা বেজে গেছে। সাজানো এখন থেকেই শুরু করে দিতে হবে। নামাজের পরেই তো বিয়ের কার্য সম্পন্ন করা হবে।”

তুলি সায় জানিয়ে খেয়ে নিল। আমরিন তুলির চুল গুলো ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে দিল। একটু পর পার্লারের মেয়েরা চলে আসবে। পায়েল,রিমি সবার সাথে টুকটাক কথা বলতেই কেটে গেল কিছু সময়। সায়েরা বেগম পার্লারের মেয়ে গুলো কে রুমে নিয়ে এসে বাকি সবাই কে তাড়া দিল রেডি হওয়ার জন্য। যাওয়ার আগে তুলির থুতুনিতে হাত রেখে মেয়ে দুটোর উদ্দেশ্যে বলে গেলেন –” আমার মা টা কে এতো সুন্দর করে সাজাবে যেন আমার ছেলে চোখের পলক ফেলতেই ভুলে যায়।” হবু শাশুড়ির মুখে এমন কথা শুনে লজ্জায় কাটা দিয়ে উঠল তুলির সারা শরীর। মাথা নত রেখেই লাজুক হাসি হাসল। সবাই চলে গেল রুম থেকে। মেয়ে গুলো কে বসিয়ে ওয়াশরুমে এসে মুখ ধুয়ে নিল তুলি। আদ্র কে অনুশোচনায় ভুগতে দিবে না সে। বিয়ে টা হয়ে গেলেই বলে দিবে সব।

লাল বেনারসি টা পড়িয়ে তুলি কে সাজিয়ে দিয়ে বের হয়ে গেল মেয়ে দু’টো। নিজেকে আয়নায় দেখে অভিভূত তুলি। লাল বেনারসি তো আগেও গায়ে জড়িয়েছে এতটা মন তো কাড়ে নি তার তবে আজ কেন নিজেকে নিজের কাছেই ভালো লাগছে তুলির?বেনারসি টা আদ্রের পছন্দের বলেই কি এমন? শ্বাস প্রশ্বাস ভারি হয়ে আসছে তুলির। কখন আদ্র কে দেখাবে নিজের এই রূপ টা? আদ্র কে অপেক্ষা করাতে খুব খারাপ লাগছে তার। সে যে নিজেও ভীষণ অস্থির এক পলক তার ডাক্তার সাহেব কে সাদা শেরওয়ানিতে দেখার।আলতো হেসে চোখ বন্ধ করতেই কারো প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠল মনের আঙিনায়। খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠল তুলি। শাড়িটা আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতেই যেন ধোঁয়াশায় হারিয়ে গেল মানুষ টা। আঁতকে উঠল তুলি। দু চোখ খুলে সামনে রাখা পানির গ্লাস টা নিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে নিল। এটা ভ্রম ছিল! আদ্র কে নিয়ে অধিক ভাবার কারণেই হয়তো কোনো কল্পনায় হারিয়ে গিয়েছিল।
________

নামাজ শেষে সবাই একত্রিত হল বাগানের স্টেজ করা দিক টায়। খুব সুন্দর করে স্টেজ টা সাজানো হয়েছে। কনে ও বরের বাড়ি এক হলেও তুলির বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে ভাইয়ের কাছ থেকে পইপই করে গেইটের টাকা আদায় করেছে আমরিন। স্টেজের পাতলা পর্দা দেওয়া এক পাশে আদ্র বসল। নিজের হাতের কাগজ টা এগিয়ে দিল কাজী সাহেবের দিকে। কাজী সাহেব কাগজ টার দিকে চেয়ে হালকা হাসলেন। সাদা শেরওয়ানিতে আদ্র সবার নজর কাড়তে সক্ষম। কিন্তু সে যে অপেক্ষায় আছে তার তুলা কে লাল বেনারসি তে দেখার। ইচ্ছে তো হচ্ছে নিজে গিয়ে কোলে করে নিয়ে আসবে কিন্তু এতে তার তুলা লজ্জায় মরে যাবে। সেটা ভেবেই আদ্রর ঠোঁটের কোণে প্রস্ফুটিত মুগ্ধ হাসি ফুটল। কল্পনায় একে নিল তুলির লজ্জা রাঙা বধূ বেশী মুখটা। অবশেষে আজ দীর্ঘ অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটতে চলেছে। আরও একবার প্রাপ্তির খাতায় নাম লিখাতে যাচ্ছে। রাদিফ সাহেব আমরিন কে আদেশ করলেন তুলি কে নিয়ে আসার জন্য। খুশিতে গদগদ হয়ে বাড়ির ভিতরে পা বাড়াল আমরিন। একবার দেখে এসেছিল তুলি কে তারপর আর যাওয়া হয় নি। শাড়ির কুঁচি গুলো ধরে তুলির রুমের সামনে এসে দাঁড়াল। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে পুরো স্তব্ধ হয়ে গেল,,,

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,!

(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here