অস্তিত্বের খোজে part 16

0
701

অস্তিত্বের খোজে
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ১৬

– শুভ্র পরীকে নিয়ে খাটে শুয়ে পড়ে বলল………… কিছু হবে?
“”””””””””””
– কি হবে!(পরী)
“”””””””””””””””””””
– হওয়ারতো অনেক কিছু আছে কিন্তু সময় যে নাই। বাসায় যাইতে হবে।(শুভ্র)
“”””””””””””
– আর একটু থাকিনা!(পরী)
“””””””””””
– শুভ্র একটু মুচকি হেসে বলে তুমি বড়ই আজব মেয়ে পরী। কখন যে কি তোমার মাথায় আসে সেটা তুমিও বুঝতে পারোনা।
“””””””””””””””””
– উমম বুঝে নাও! আমি এরকমই বলে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বুকে কিস করলাম।♥♥♥♥

– এই প্রথম ভালবেসে কিস করলা পরী! আমি কিন্তু গুনে গুনে রাখব এখন থেকে……. কতটা কিস করলে তুমি আমাকে… আমাদের বিয়ের পর থেকে।
“”””””””””””””””””
– গুনো! তোমায় কে নিষেদ করেছে গুনতে বলেই গালে চটাস করে একটা কিস করলাম♥♥♥♥
“””””””””””””’
– এভাবে এত্ত আদর করেনা বাবা….. নিজেকে কন্টোল রাখা দায় হয়ে পড়বে যে…… শেষে স্বামী থেকে বিদ্ধস্ত প্রেমিক♥ হয়ে যাব তখন কিন্তু নিজেই ভয় পেয়ে যাবে!


-এবার শুভ্র উঠে একটা বক্স নিয়ে এসে আমার হাতে দিল।
– গিফট্ পেপারে মুড়ানো বক্সটি ছিল। এটা কি?
“””””””””””””””””
– Surprise………… খুলে দেখ।(শুভ্র)
“””””””””””””””””””
– আমি বক্সটি খুলে দেখলাম একটা লকেট সহকারে মোটা পিটা চেইন। লকেটে SP বড় করে লেখা ,,,,১ জোড়া বালা এবং ১জোড়া চুর,,,,,,,,, ২ টা নাকফুল। একটা স্বর্নের আর একটা ৭ পাথরের ডায়মন্ড নাকফুল।
“”””””””””””””””””””
– শুভ্র আমিতো নাকফুল পড়তে পারবো না…. আমার নাক ছিদ্র করা নেইতো!
“”””””””””””
– পরে সেটা দেখা যাবে। পছন্দ হয়েছে তোমার! আমি এগুলো সম্পর্কে তেমন বুঝিনা। যা মনে হল সেটা নিয়েছি।
“”””””””””””””””
– আমি মিষ্টি একটা হাঁসি দিয়ে বললাম ঝাক্কাস দারুন ঠিক আমার শুভ্র বরের মত দেখতে।


– ওকে চলো উঠে পর। বাসায় যেতে হবে রাত ৯ টা বেজে যাচ্ছে প্রায়।(শুভ্র)
“”””””””
– যাক!(পরী)
“””””””
– ছেলে মানুষি করনা পরী। এখন সাবধানে থাকতে হবে। বাসার কেউ যেন টেরও পায়না। যখন তখন জড়িয়ে ধরবেনা বুঝছো!(শুভ্র)
“””””””””
– হুম বলেই উঠে আগের ড্রেস পরে হোটেল থেকে বের হলাম।(পরী)
“”””””””””
– আমি গাড়িতে উঠে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে আছি আর ও ড্রাইভ করছে।


– গাড়ি একজায়গায় দাড় করিয়ে শুভ্র বলল দেখ আমাদের বিয়ের খাওয়া দাওয়া চলছে।
– আমি দেখলাম একটু দুরে পান্ডেলে অনেক গরীব মানুষদের খাওয়ানো হচ্ছে। আমিতো জাষ্ট অবাক।


-এই ছেলেটা বেশ খরুচে আছে। মন টাও বিশাল।
– একটা ছেলে আসল। শুভ্র ওকে টাকা দিয়ে বলল বাসায় যাচ্ছি। তোমরা এদিকটা দেখ বলেই গাড়ী স্টার্ট করল।



– ১০ টার দিকে বাসায় এলাম। শুভ্র যেগুলো উপহার দিছে ওগুলো সব গাড়ীতেই রাখছি। কারন কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হবে।
“””””””””

– রুমে এসে ফ্রেস হতেই অনিতা আন্টি উফ্ স্যরি আমার শাশুড়ি মা আমাকে এসে বলল কেমন পরীক্ষা হল পরী?
– জ্বী ভাল হয়েছে।
– আজ থেকে নিচে আমাদের সাথে খেও কেমন?
– দিদুন যদি বকা দেয়!
– দেক। একটু মানিয়ে চল মা….. বলেই চলে গেলেন।
– বেশতো ছিলাম আবার বিমলার পেঁচাল শুনতে নিচে যাইতে হবে…….



– নিচে গিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসে পড়েছি সবার আগে। এটা মার বুদ্ধি সেটাই কাজে লাগাচ্ছি।
“”””””””
– দিদুন এসে বলল এই তুমি এখানে?

– হুম! কি কবর দিদুন কবে থেকে আপনার চাঁদ খানা মুখ দেখিনি। তাই দেখতে এলাম। আহা দাদুর পছন্দ আছে বট…… এত বয়স হয়ে গেছে তবুও চেহারার জৌলস কমে নাই আপনার। পাম দিলাম আর কি!
“””””””””””””
– আমার কথা শুনে বিমলা দিদুন মনে হয় একটু আকাশে উড়ল খুশিতে। তারপর বসে পড়ল। আর কিছু বলল না।
– যাক বুদ্ধিটা কাজে লেগেছে। ইশ্ আগে যদি জানতাম তাহলে বুড়িটাকে কবেই পটে নিতাম।



– সবাই খেতে এসে আমাকে দেখে তো অবাক। খুঁশি ও হয়েছে। অর্পিতা আমার পাশে বসতেই নিতাই দাদু বলল ডার্লিং তুই আমার বাম পাশে বস। তোদের ২ জনের পাশে বসলে নিজেকে যুবক যুবক লাগে। দাদুর কথা শুনে দিদুন ক্ষেপে গিয়ে বলল ঐ যে শুরু হলো?
“”””””



– কেন তোমার হিংসা হয়! হিংসুটে মহিলা কোথাকার বলেই হাসতে লাগল।
– কৌশিক দা এসে বলল আমাদের দিদুন কিসে কম বলেই ওনার পাশে বসল।
-শুভ্র এসে আমাকে দেখে ইশারা করে বলল এখানে তুমি?
– আমি চোখ নাচিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম শুধু।
– খুব মজা করে সবার সাথে খাবার খেয়ে রুমে এসে প্রশ্নের বিফ question মিলাইতে লাগলাম।



– রাত ১২ টা বাজে তাই উঠে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতেই শুভ্রর কল। শুরু হল ওর দুষ্টমি…….
– হ্যালো!(পরী)
“”””””””””””””””
– পরী ছাদে আসো…….(শুভ্র)
“””””””””””””””
– ঘুমাব…… যেতে পারব না। তুমি ছাদে কেন?(পরী)
“”””””””””””
– একটা চাঁদ দেখে মন ভরছেনা আর একটা চাঁদ দেখতে মন চাচ্ছে।(শুভ্র)
“”””””””””””””””””
– চাক! আমি যেতে পারবনা বলেই কল কেটে দিলাম।(পরী)
“”””””””””””””””””
– শুভ্র দাড়িয়ে সিগারেট টানছে। আধা ঘন্টা হয়ে গেল তবুও পরী আসল না। হয়ত ঘুমিয়ে পড়েছে। শুভ্র আর একটা সিগারেট ধরাতেই পরী এসে খপ করে সিগারেট টান দিয়ে হাতে নিয়ে বলল এটাতে কি মজা পাও। ছাড়তে পারোনা?



– পরী ওটা তোমার আগে আমার জিবনে এসেছে তাই ওকে যদি ছেড়ে দেই তাহলে তো তোমাকেও ছেড়ে দিব তাই না!(শুভ্র)
“””””””””””””””””
– জ্বী না। খারাপ জিনিসের কোন সময় লাগেনা। তাছাড়া এই নিশার থেকে কিন্তু বউয়ের ঠোটের ♥নেশা অনেক জোস….তুমি জানো সেটা?(পরী)
“”””””””””
– কিভাবে জানব বল বউতো আজ অবদি ঠোটে কিসই করল না। তাহলে! বলেই সিগারেট টা আমার হাত থেকে নিয়ে আবার খেতে লাগল।
“””””””
– শুভ্র ফেলে দাও বলছি বলেই আবার টান দিতেই সিগারেটের ছ্যাকা আমার হাতে লাগতেই আমি হাত সরিয়ে নিলাম।
“””””””””””””””””””
– লাগল তো ছ্যাকা….. আবার যদি মৃদুলের সাথে কথা বল তাহলে আমি নিজে ছ্যাকা দিব এর থেকে গভীরভাবে বুঝছো! বলেই পরীকে কাছে টেনে নিল♥


– শুভ্রর কাছে আসতেই পুরো শরীরে কাঁপুনি দিয়ে উঠল আমার। বুকে তখন কেমন জানি ধক ধক করছিল। ও আমার বুকে মাথা রেখে বলল পরী তুমি ভয় পাচ্ছো আমাকে?
“””””””””””””””
– না তো!(পরী)
“”””””””””‘””””””
– তাহলে এক কাঁপছো কেন এভাবে আর এত ধাড়কান কেন হুম……(শুভ্র)

– জানিনা……(পরী)
“”””””””””””””””
– ওকে জানতে হবে না চল নিচে অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমাবে। (শুভ্র)
“”””””””””
– না ঘুমাব না বলেই অন্য দিকে মুখ করে দাড়িয়ে রইলাম।
“””””””
– শুভ্র এসে একহাত আমার পেটে আর এক হাত ঘাড়ে রেখে বলল পরী তোমার মতলব কি বলতো?
“””””””””””””
– কিছুনা…….
“”””””””””
-কিছুতো অবশ্যই।
“”””””””
– না কিছু না চল ঘুমাব বলেই ওকে নিয়ে নিচে নেমে আসলাম। বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়ছে তাই কোন সমস্যা নেই ২ জন এক সাথে থাকাতে।



– আমি আমার রুমে এসে ফ্রেস হয়ে লাইট অফ করে কেবল ঘুমাতে যাব অমনি দরজা ভেদ করে শুভ্র আমার রুমে এসে ঢুকল।
“””
– আমিতো অবাক।
“”””
– দরজার ছিটকি দিয়ে খাটে এসে শুয়ে পড়ল ও……
“”””””””
– শুভ্র কি হচ্ছে। পাগলামো কেন করছ?
“”””
– কখনও দেখেছো ফুল সজ্জা রাতে বউকে রেখে বর অন্য রুমে শুইছে। তাই বউকে আদর করতে এলাম।

– আদর!

– কেন আদর বোঝনা। আসো বুঝিয়ে দিচ্ছি।

– লাগবেনা তুমি যাও তো কাল সকালে তোমার অফিস আছে।

– তুমি জানো পরী আমি কত রাত জেগে থেকে কাঁদছি! রাতে ১ ঘন্টাও ঘুমাতাম না। আবার সকালে অফিসে যেতে হত। তাই অভ্যাস হয়ে গেছে না ঘুমানোর।

– ওর কথা শুনে চুপ করে রইলাম।

– পরী!

– উমমম বলো……

– আজ তুমি বাঁকি রাত জেগে থাকবে আর আমি ঘুমাব শান্তি করে। এটাই তোমার শাস্তি আমাকে প্রতি রাত জেগে রাখার জন্য। আমার চিন্তা নেই। সকালে সবাই জেগে ওঠার আগে আমায় ডাক দিয়ে ওঠাবা। এটা তোমার দায়িত্ব রইল বলেই আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ল।

– জ্বী হুকুম আমার মিষ্টি বরটা বলেই ওর কপালে কিস করলাম।♥♥♥♥
“”

– আমি ওর মাথায় হাত বুলাতেই ও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গেল।
– বাকি রাতটা জেগে থাকলাম। যে আমার জন্য এত কষ্ট করেছে রাতের পর রাত জেগেছে তার জন্য এটা কোন কষ্টই না।


– ফযরের আযানের একটু পরে ওকে ডাকলাম। ও বাধ্য ছেলের মত উঠে গিয়ে ওর রুমে আবার শুয়ে পড়ল। আমি এলার্ম দিয়ে ওর গায়ে কাপড় দিয়ে লাইট অফ করে দিয়ে ওর কপালে একটা কিস ♥করে দরজা হালকা লাগিয়ে দিয়ে চলে আসলাম।



– আজকের পর থেকে ওর পছন্দ অ পছন্দ সব খেয়াল রাখার চেষ্টা করি। মৃদুলের সাথে সম্পূর্ন কথা বলা অফ করে দেই। এর মধ্য কয়েকবার কল ও দিয়েছিল কিন্তু রিসিভ করি নাই।



– প্রথম পরীক্ষার পর ৩ দিন ছুটি ছিল তার পর আবার আজ পরীক্ষা। বসে পড়ছিলাম। এমন সময় শুভ্র এসে বলল পরী পড়ছো?
“””
– আমি মুখ তুলে ওর দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে মাথা ঝাকালাম।
“”””””””
– ও এসে বলল পরী গাড়ী নিয়ে যেও। আমি সব বলে দিব ডাইভার কে বলেই আমার হাতে কিছু টাকা দিয়ে বলল ফোন নিয়ে যাবা। পরীক্ষা শেষে একবারের উপর যেন ২ বার কল দিতে না হয়।
“””

– আমি গাড়ীতে যাবনা শুভ্র………রিক্সাই যাব। আমার গাড়ী ভাল লাগে না……..

– ও কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল….. ওকে। আমার কাছে এসে কপালে কিস করে বলল ভাল করে পরীক্ষা দিও। এর মধ্য ১ বার কল দিব বুঝছো! কল রিসিভ করতে যেন মিস হয়না… বলেই চলে গেল।(শুভ্র)




– আমি আবার পড়ার প্রতি মনযোগ দিলাম। ১২ টার দিকে একবার শুভ্র কল দিল ওর সাথে কথা বলে হালকা খাবার খেয়ে মাকে বলে বের হলাম বাসা থেকে।


– এক্সাম হলে এসে দেখি বিদ্যুৎ আমাকে দেখে মুচকি হাসি দিয়ে বলল কিরে পরী কত টাকার বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করিস প্রতিদিন!…….. আমি এর থেকেও বেশি দিব।……… আসবি আমার কাছ……….! বিশ্বাস কর খুব আদর দিব জিবনেও ভুলতে পারবিনা।



– কি বলিস মাথা ঠিক আছে তোর। (পরী)
“””””””
– আমার মাথা ঠিকই আছে গত পরীক্ষায় অত দামী কারে বৃষ্টির মধ্য চড়ে কই গেলি! কি ভাবছিস আমি বুঝিনা সব? বেহায়া মেয়ে কোথাকার।


– আমি চুপ করে থাকলাম কিছু আর বললাম না। কারন ও চটে আছে যেকোনো সময় এখানে সিনক্রিয়েট করতে পারে।


– পরীক্ষার শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে স্যার এসে খাতা দিল।


-সব ফরমালিটি পূরন করতেই question দিল। হুম আজও ভালই হইছে প্রশ্ন গুলো বলেই লিখতে শুরু করলাম। ১ ঘন্টা যাওয়ার একটু পর হঠাৎ একটি স্যার এসে আমাকে দাড়াতে বলল। আমি বললাম স্যার any problem…..

-এই মেয়ে উঠতে বলেছি তুমি উঠবা এত কথা বল কেন?
“”””
– আমি উঠে দাড়াতেই আমার পিছনে বেঞ্চি থেকে ২ টা নকল বের করে বলল এটা কি?
“”””””””
– আমি নকলগুলো দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কারন আমি নকল করিনি তাহলে আসল কোথা থেকে।

পুরো রুমের student রা আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমি লজ্জায় বললাম স্যার আমার এটা নয়।
“””””””””
– এই মেয়ে তোমার কাছ থেকে পাওয়া গেছে আর বলছো এগুলো তোমার না!
“””””””””””
– আমি পিছন দিকে তাকিয়ে দেখি আবিদা মুচকি মুচকি হেসেই যাচ্ছে। আমার আর বুঝার বাকি রইল না এটা এদের কাজ। আমি রেগে বললাম স্যার আমি নকল করিনি।


– এতে স্যার আরও রেগে গিয়ে বলল……… স্যারকে রাগ দেখাও! একটা… জাষ্ট একটা সিগনেচার তোমার লাইফ বরবাদ বুঝছো।


– স্যার আমি নকল করিনি বলছি তো বলেই কাঁদতে লাগলাম।


– স্যার এবার আমার খাতা নিয়ে সোজা চলে গেল এবং নকল সহ আমার খাতা স্টেপলার করে বলল একে আজ বহিষ্কার করেই ছাড়ব।

– বুঝলাম সব বিদ্যুৎ এর কাজ। আজ আমি ফাঁদে ধরা পড়ছি আর রক্ষা নাই। পুরো রুমে নোটিশ চলে আসল একটা ছাত্রী বিহিষ্কারের খবর।


– আমি কাঁদতে কাঁদতে বাহিরে এসে দাড়িয়ে রইলাম। প্রচুর ঘাবড়ে গিয়ে আমার হাত পা কাঁপছে। শুভ্রর কথা মনে পড়তেই…… চট করে শুভ্রর কাছে কল দিয়েই কাঁদতে লাগলাম।

– পরী! তোমার না হলে থাকার কথা…. তুমি এই সময় কল কেন দিছ! আর কাঁদছো কেন?
“””””””””””””””””””””
– আমাকে বহিষ্কার করেছে শুভ্র…… বলেই কাঁদতে লাগলাম।
“”””””””””””””””
– এই তুমি কপি টপি করতে যাওনি তো। তাহলে বাসায় চলে আস। পরীক্ষার চিন্তা বাদ দাও। পড়াশুনা না করে কপি করে সব শেষ করে দিয়ে এখন আমায় কল দিচ্ছো? বাসায় ব্যাক কর……..
“”””””””'””””””””
– না শুভ্র আমি কিছু করিনি……….. ওরা প্লান করে সব করেছে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম। আমার শিক্ষাজিবনের লাইফ শেষ।
“””””””””
– What! ওকে কেঁদনা আমি আসছি জাষ্ট ওয়েট কর বলেই কল কেটে দিয়ে শুভ্র অফিস থেকে বের হল।

“””””””
– এক্সাম হলে তো থমথমে একটা ভাব চলছে।

– একটা স্যার এসে বলল এখানে নাকি একটা উদ্ধর্তন কর্মকর্তার ওয়াইফ এক্সাম দিচ্ছে। তোমাদের মধ্য কেউ কি ওনার স্ত্রী এখানে আছো? ওরা জানেনা সেটা পরীই ছিল।




– শুভ্র ২০ মিনিটের মধ্য ভার্সিটিতে চলে আসল। ওর গাড়ী দেখেই গেটের দাড়োয়ান খুলে দেয় গেট। কারন এটা সরকারী গাড়ি ছিল কোন উদ্ধর্তন কর্মকর্তার।


– শুভ্র পরীকে কল দিয়ে বলল কই তুমি?
“””””””””””
– পরী বলল আমি এখানে বলেই শুভ্রর কাছে যায়।
“””””””””””””
– কি হয়েছে বলতো!
“”””””””””””””‘
– শুভ্র…..! বলেই সব খুলে বলল পরী। সাথে আবিদার কথাও বলল এবং কাঁদতে লাগল।

“””””””””

– এই একদম সিনক্রিয়েট করবেনা এখানে। চল কোন রুমে তোমার সিট পড়েছে।

“”””””””””””””
– পরীর সাথে শুভ্র এক্সাম হলে যাওয়ার সময় জেলাপ্রশাসককে কল করে ভার্সিটিতে জলদি আসতে বলল।

– হলে সরাসরি পরীকে ঢুকতেই একটা স্যার বলল এই মেয়ে তুমি আবার এখানে এসেছো!

– শুভ্র এসে বলল একে কে বহিষ্কার করেছে?

– একটা স্যার গর্ব করে এসে বলে আমি করেছি। সব প্রমান সহই ওকে বহিষ্কার করেছি। আপনি কে………..আপনাকে কি এর জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে?
“”””””””””””
– সেটাতো দিতেই হবে………. একজন এত্ত অনুরোধ করে বলেছে যে….. সে কপি করে নি তাকে আরও সার্চ করতে পারতেন! সেটা না করে নিজের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বহিষ্কার করেন কিভাবে?
“””””””””””
– ঐ মিয়া তোমাকে সেটার জবাব দিতে আমি বাধ্য নয়।
“”””””””””””
– এমন সময় শুভ্রর ফোনে কল আসল। ভার্সিটিতে জেলাপ্রশাসক এসে শুভ্রকে কল দিলে ওনাকে এক্সাম হলে আসতে বলে শুভ্র।
“”””””””””””””
– ভার্সিটিতে জেলাপ্রশাসক এর আসার খবরটা প্রিন্সিপাল এর কানে যেতেই উনিও। এক্সাম হলে চলে আসেন। চোখমুখে গভীর চিন্তার ছাপ।
“””””””””””””””
– জেলাপ্রশাসক এসে বলল Sir any problem?

– শুভ্র বলল শুধু problem! মহা প্রবলেম শফিক( জেলাপ্রশাসকেরর নাম)

– কি হয়েছে sir…..!

– শুভ্র সব খুলে বলল। সবাই তো অবাক হয়ে গেল শুভ্রর পরিচয় পেয়ে।

– Sir! আপনি সম্মানীয় ব্যাক্তি আপনার অপমান আমি করতে চাইনা কিন্তু আপনি কিসের জন্য যাচাই বাচাই না করে এই কাজ করলেন বলে শুভ্র টেবিলে একটা থাবা দিল।

– যদি আমার wife copy করত তাহলে আমি শুভ্র নিজেই ওকে ২ টা চড় মেরে বাসায় নিয়ে যেতাম এবং শাসন করতাম কিন্তু আপনিতো মহা অপরাধ করে ফেলেছেন। যাচাই না করে….

– Principle বলল…… sir prove সহ ওকে ধরেছে সে ক্ষেত্রে কি করবেন!

– কিসের prove আর কতটুকু prove তা আজ দেখিয়েই আপনাদের ছাড়ব………।

-এবার শুভ্র পরীর হাত ধরে বলল আবিদা কে?

– পরী হাত দিয়ে আবিদাকে দেখিয়ে দিল।

– এতক্ষন সব কান্ড দেখে আবিদা এমনি ভয় পেয়ে গেছে তার মধ্য সরাসরি শুভ্রকে ওর কাছে আসতে দেখে বেচারী ভয়ে ও কাঠ হয়ে গেল।

– এই মেয়ে সব সত্য বল তানাহলে এমন হাল করব সারা জিবন পরীক্ষার হল দেখতেও পারবেনা।

– Sir আমি কিছু জানি বলে আবিদা উঠে দাড়াল।

– Principle এসে বলল দেখুন Sir আপনার wife কে প্রমান সহ বহিষ্কার করা হয়েছে তাই অন্যর পরীক্ষা দেওয়া নষ্ট করতে পারেন না।

– এবার শুভ্র বলল আমি আমার Wife কে ভাল করে চিনি। ওর নিজের সার্থে কোনদিন মিথ্যা বলবেনা। তাই কোন মহিলাকে ডাকুন এই মেয়েটাকে সার্চ করার জন্য।

– Principle নির্বাহী মাজিস্ট্রেট এর দিকে তাকাতেই উনি ইশারা করে বলল sir যা বলছেন তাই করেন।

– একটা মহিলা এসে আবিদাকে সার্চ করতেই অনেক গুলো নকলে পুরো পেজ পাওয়া গেল।

– শুভ্র বলল পরীর খাতা নিয়ে আসুন। একজন একটু পর খাতা এনে দিলে সব মিলিয়ে দেখে ওগুলো আবিদার সব।

– এবার কি বলবেন আপনারা?

– আবিদা কান্নায় ভেঙ্গে পরে বিদ্যুৎ সহ ঐ স্যারের নাম বলে যাদের সহযোগীতায় ও কাজ গুলো করেছে। Sir আমায় ক্ষমা করে দেন। আমার লাইফ শেষ হয়ে যাবে।

– Shut up….. বলে শুভ্র জোড়ে একটা ধমক দেয় আবিদাকে।
আপনি একজন মেয়ে হয়ে আর একটা মেয়েকে বরবাদ করার প্লান করছেন তখন একবারও আপনার মনে হলনা মেয়েটির কি হতে পারে? তাও আপনি তার বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলেন।

– Sir সব বিদ্যুৎ এর প্লান বলে আবিদা কেঁদে উঠল।




– শুভ্র কথা গুলো শুনে এতটা রেগে যায় যে হল ভর্তি ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, মাজিস্ট্রেট সহ সকলের সামনে পরীকে কষিয়ে ২ টা চড় মেরে বলে এই তোমার বন্ধু! এদের সাথে রাস্তার মধ্য হৈ হুল্লোড় কর! রেস্টুরেন্টে যাও! এতটা রুচি তোমার কম যে এদের মত অমানুষদের সাথে বন্ধু কর?


– শুভ্রর এই কাজ দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়। যে তার নিজের স্ত্রীকে ছাড় দেয় না সে তাদের এবার কিভাবে ছাড় দিবে?
চলবে——

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here