#অস্তিত্ব
#পর্বঃ০৮
#বনলতা
#বোনাস পার্ট
হতে পারি রোদ্দুর,
হতে পারি বৃষ্টি।
হতে পারি রাস্তা, তোমারই জন্যে~
হতে পারি বদনাম,
হতে পারি ডাকনাম,
হতে পারি সত্যি, তোমারই জন্যে
হতে পারি গল্প,
তুমি কাছে টানলে,
হতে পারি জানলা,
এ হাওয়া ও তোমারই কারনে
শুধু তুমি চাও যদি,
সাজাবো আবার নদী,
শুধু তুমি চাও যদি,
সাজাবো আবার নদী
#এসেছি হাজার বারণে…….
#শুধু তোমারই জন্যে
#শুধু তোমারই জন্যে
#শুধু তোমারই জন্যে
#শুধু তোমারই জন্যে………..
কথা দিলো রোদ্দুর,
কথা দিলো বৃষ্টি,
কথা দিলো রাস্তা,
তোমারই জন্যে,
খেলাধুলা সংসার,
আসা যাওয়া বারবার,
রাজি হলো ইচ্ছে তোমারই জন্যে।
হতে পারি গল্প,
তুমি কাছে টানলে,
হতে পারি জানলা,
এ হাওয়া ও তোমারই কারনে।
শুধু তুমি চাও যদি
সাজাবো আবার নদী,
শুধু তুমি চাও যদি
সাজাবো আবার নদী,
#এসেছি হাজার বারণে।
#শুধু তোমারই জন্যে
#শুধু তোমারই জন্যে
#শুধু তোমারই জন্যে
#শুধু তোমারই জন্যে ❤️
আশার চোখে পানি।ওরা এসে বসল আশার কাছে।রোজা আশার চোখের পানি মুছে দিয়ে গালে সামান্য হলুদ ছোয়ালো।
“এই দিনে চোখের পানি ফেলতে নেই আশা। আজ থেকে তোর নতুন জীবনের শুরু। জীবনে কি পেলি কি পাসনি তা ভুলে যা।নতুনত্বের প্রারম্ভকালে চোখে পানি মানায় না।”
রোজার কথায় একটু হাসে আশা।
একে একে সবাই হলুদ ছোয়ালো।ইমরান আশার গালে হলুদ না লাগিয়ে নাকে ছুইয়ে দিলো।মিষ্টি খাওয়াতে গিয়ে নিজেই খেয়ে নিলো।সবাই হেসে উঠল।আশাও হাসছে।ও হাসছে ঠিকই।কিন্তু ওর মনের ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সামনে হাসছে ইমরান। কি নিষ্পাপ সেই হাসি।আশার জন্য সেই হাসি নিষিদ্ধ। একেবারেই নিষিদ্ধ। হায়রে নিয়তি যার জন্য ভেতরে ভেতরে মরে যাচ্ছে আশা তার মনে কি একটু হলেও সেই মরনের আর্তনাদ এতটুকুও পৌঁছাচ্ছে।
নিজের গালে হাত দিয়ে হাতে হলুদ লাগালো আাশা।হলুদ মাখা হাতটা চোখের সামনে ধরে একদৃষ্টিতে চেয়ে থাকলে কতক্ষণ। হঠাৎই তার মনে হলো না এই ছেলেটিকে তার চাই না।এর জন্য সে কাঁদবেনা।কখনোই কাঁদবে না।হাতের হলুদটুকু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলল।সেই ধুয়ে যাওয়া হলুদের সাথে সে বিসর্জন দিলো মায়ার দিকে চেয়ে চমৎকার করে হাসা ওই ছেলেটাকে।
সব ইচ্ছেই কেন পূর্নতা পাবে।হাজারও প্রাপ্তির মাঝে একটু বিষাদময় বিষাক্ত স্মৃতির জন্য অপূর্ণ থাকুক কিছু ইচ্ছে এই হৃদমাজারে।আজ এক নতুন হলুদ প্রভাত।আজ থেকে নতুন জীবনের শুরু। আজ থেকে জীবনে নতুন মানুষের আনাগোনা।এই নতুন দিনেই আশা তার ভালোবাসার অস্তিত্বকে মুছে ফেলল।খুব করে মুছে ফেলল।
ইমরান তার ফোন দিয়ে কিছু ছবি তুলল।ফোনটা পান্জাবীর পকেটে রাখতে রাখতে বলে ওঠে,”বিয়ের পর বড়লোক্স জামাই পেয়ে আমাকে যেন ভুলে যাস না মিসেস বড়লোক্স সুন্দ্রী ম্যাক্স প্রো চাষাভাষা।”
আশা হেসে উঠে। খানিকটা জোরেই হেসে উঠল সে।চোখে চিকচিক করে ওঠে নোনা জল।সেই নোনা জলকে পাত্তা না দিয়ে মনে মনে বলে ওঠে,
“তোমার প্রেমে পরিয়াছে যে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কত কঠিন”
চলবে