#অশান্ত_বসন্ত।
(৩৫ পর্ব)
#জয়া_চক্রবর্তী।
*****************
আগামীকাল শিখার বিয়ে।এদিকে ইচ্ছে না থাকলেও বহ্নি আর পল্লবকে অফিসে যেতে হয়েছে।অতএব বিয়েবাড়ির সব ভার আপাতত সীমার কাঁধে।
সীমা ফোন করে অঞ্জনাকে সকালবেলাতেই ডেকে এনেছে। তারপর রান্নার মাসিকে অন্য কাজে লাগিয়ে দিয়ে দুই বন্ধু মিলে বেশ কয়েক পদ রান্না করেছে।
আসলে সীমার ইচ্ছে দুপুরে শিখাকে লাল টুকটুকে শাড়ি পরিয়ে আইবুড়ো ভাত খাওয়াবে।
সেই অনুযায়ী স্নান সেরে আসার পর সীমা নিজেই ঘরোয়া ভাবে শিখাকে লাল শাড়িটা পরিয়ে দিলো। শিখার ভিজে চুল ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে সুন্দর করে খোঁপা বেঁধে দিলো।তারপর শিখার ভাষা ভাষা চোখে কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক পরিয়ে দিয়ে নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেলো।লাবন্য যেন টপকে পরছে শিখার গা দিয়ে।
খেতে বসে শিখার চোখ দিয়ে জল পরছিলো মায়ের কথা মনে করে। সেটা খেয়াল করে সীমা হাতের শাঁখটা অঞ্জনার হাতে দিয়ে শিখার পাশে বসলো।মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,’মা কিন্তু দূর থেকে সব দেখছে।শিখার চোখে জল দেখলে মা কষ্ট পাবে যে’।
সীমার কথায় কাজ হলো,শিখা চোখের জল মুছে নিয়ে খাওয়া শুরু করলো । ঠিক তখনই কলিংবেলের আওয়াজ।অঞ্জনা গিয়ে দরজা খুলতেই একজন মহিলা আর একজন সৌম্য দর্শন পুরুষ ফ্ল্যাটের ভিতরে প্রবেশ করলো। মহিলাটিকে দেখে মুহুর্তের মধ্যে শিখার মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।
শিখা সীমার দিকে তাকিয়ে কেটে কেটে বললো,’কাকিমা আমার শেফালী মাসী এসেছে দেখো’। সীমা বললো,’আচ্ছা আপনিই ওদের শেফালী মাসী?আপনার কথা বহ্নির মুখে অনেক শুনেছি’,।
তারপর অর্নবের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,’আপনি কি শিখা, বহ্নির বাবা?’,অর্নবের এদিকে চোখ সরছেই না শিখার দিক থেকে।হাঁ করে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে শিখার দিকে।বিশ্বাস হচ্ছেনা এটা তার সেই লালা ঝরা মেয়ে!কোনোরকমে মাথা নাড়িয়ে জানালো যে উনিই শিখা আর বহ্নির বাবা।
শিখা কিন্তু ওর বাবার দিকে একবারও ঘুরে তাকাচ্ছেনা। তবে শেফালী মাসীকে পেয়ে দারুণ খুশি।খাওয়ার পর শেফালীমাসীকে নিজের আঁকা ক্যানভাস গুলো দেখাতে শুরু করলো।
সীমা দেখলো, শিখার বাবাও দূর থেকে দারুণ আগ্রহ নিয়ে মুদ্ধ চোখে সেদিকেই তাকিয়ে আছে।
সীমা আর অঞ্জনা মিলে এবার টেবিল গুছিয়ে অর্নব আর শেফালীকে খেতে ডাকলো।তবে অবেলায় আর কিছু খেতে চাইলোনা অর্নব।কিন্তু সীমা আর অঞ্জনার আন্তরিকতাকে অবহেলা করতে না পেরে অবশেষে খেতে বসতে হলো অর্নবকে।
অর্নব ভাতটা নাড়াচাড়া করতে করতে বললো,’আমি বাবা হয়ে যেটা পারিনি,আমার ডল সেই অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছে।আমি ভাবতেই পারিনি শিখা কখনো সুস্থ হতে পারে। যদিও ডাক্তার বলেছিলো পাঁচ বছর বয়েসের পরে অপারেশন করাতে,আমি সেটাও করিনি’।
একটু চুপ করে থেকে বললো,’ভেবেছিলাম ওই মেয়ে সুস্থ হবেনা। এবার বুঝতে পেরেছি কি প্রচন্ড ভুল হয়ে গেছে আমার,এই ভুলের সত্যিই কোনো ক্ষমা নেই’।
তারপর চোখের জল মুছে নিয়ে বললো,’কি জানেন আমার জীবনটাই ভুলে ভরা।আমার পাপের শেষ নেই।সেজন্যই ভগবান আমাকে একা করে দিলো,নামেই আমি দুই সন্তানের বাবা।অথচ বাবা ডাক শোনার জন্য কান মুখিয়ে থাকে,কেউ ডাকেনা’।
সীমা অঞ্জনা দুজনেই বলবার ভাষা পায়না।
এরমধ্যেই পার্লার থেকে একটি মেয়ে এসে শিখাকে ফেসিয়াল করে হাতে মেহেন্দি পরিয়ে গেলো।
পিউ আর সৃঞ্জয় আমেরিকা থেকে ভিডিও কল করে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলছিলো ওদের সাথে। আসলে শিখার বিয়ের জন্য পিউয়ের মন ও এখানে পরে। ভিডিও কলের মাধ্যমে শিখার বাবার সাথে ও পরিচয় করিয়ে দিলো সীমা।
অঞ্জনা আর সীমা দুজনেই নিজেদের ছেলে মেয়েকে একসাথে খুশি দেখে নিশ্চিন্ত হয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।
কথা বলার ফাঁকে পিউ ওর বাবার খোঁজ করছিলো।
সীমা পিউকে জানায় যে পিউ আর সৃঞ্জয় চলে যাওয়ার পর ওদের বাবার মন আর বসেনি ব্যাঙ্গালোরে। তাই তিনি কলকাতায় ফিরে গেছেন।
শুধু জানায়না যে অসীম কী ভয়ংকর রকম রাগ দেখিয়ে ফিরে গেছে কলকাতায়।
আসলে বহ্নি আর পল্লবের ব্যাপারটা আন্দাজ করবার পর থেকে অসীমের রাগের পারদটা এমনিতেই চড়েছিলো।
পিউরা আমেরিকা যাওয়ার পরের দিনই সেই নিয়েই সীমার সাথে কথা বলছিলো অসীম।সীমাকে বলছিলো পল্লবকে জানিয়ে দিতে যে বহ্নিরা অব্রাহ্মণ, তাই ওদের বিয়েতে মত দেওয়ার প্রশ্নই নেই।
অসীমের কথা কানে যেতেই পাশের ঘর থেকে পল্লব বেরিয়ে আসে।আগ বাড়িয়ে জানায় যে ওরা বিয়ে না করেই একসাথে জীবন কাটাবে,তাতে কারো কোনো আপত্তি থাকলে সেটা যেন নিজের কাছেই রাখে।তাছাড়া ভবিষ্যতে বহ্নির ইচ্ছে হলে ওরা বিয়েটাও করতে পারে।
ব্যাস এতে আগুনে ঘি দেওয়ার মতোই অবস্থা হলো।অসীমের আজন্ম সংস্কারাচ্ছন্ন মন বিদ্রোহ করে বসলো। অসীম তখনই জানিয়ে দিলো সমাজে থেকে এমন গর্হিত কাজ কিছুতেই মেনে নেবে না।
বিয়ে না করে একসাথে থাকলে যেমন ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করবে, তেমনি ওই অব্রাহ্মণ মেয়েকে বিয়ে করলেও ত্যাজ্য পুত্র করবে পল্লবকে।
পল্লব বলে উঠেছিল, করে দাও।আমি কি বারন করেছি নাকি তোমায় ত্যাজ্য পুত্র করতে?’
এরপর বাপ ছেলের মধ্যে রীতিমতো কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়, সীমা থামাতে যাওয়ায় সীমাকেও যাচ্ছেতাই রকম অপমান করে অসীম।এবং অবশেষে সীমাকে না নিয়ে সেই দিনই কলকাতায় প্রস্থান।
সীমার কথাটা মনে হতেই এক চিলতে হাসি খেলে গেলো মুখে।অসীম ভেবেছে দারুন জব্দ করেছে সীমাকে!অথচ সীমা যে সব মিটলে সত্যি সত্যিই সবাইকে ছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাবে সেটা কি অসীম স্বপ্নেও ভাবতে পেরেছে!
অফিস থেকে বেরিয়েই দেখলো পল্লবের গাড়ি।পল্লব মেসেজ করে সাড়ে চারটার মধ্যে বেরিয়ে আসতে বলেছিলো বহ্নিকে। গাড়িতে উঠতেই পল্লব একগাল হেসে স্প্রাইট ধরিয়ে দেয় বহ্নির হাতে।পল্লবের এই কেয়ারিং ব্যাপারটা দারুন উপভোগ করে বহ্নি।
স্প্রাইটে চুমুক দিয়ে বহ্নি বলে উঠলো,’জানো পল্লব আমার পড়া বেশিরভাগ গল্প উপন্যাসে নানা ঘাত প্রতিঘাত,উত্থান পতনের শেষে নায়ক নায়িকার বিয়ে হয়ে যেতো,যাকে বলে মধুরেণসমাপয়েৎ’।
বহ্নির কথায় পল্লব হেসে বলে,’আরে আমি নিজেও গল্প পড়ার সময় মনে মনে এই সমাপ্তিই চাইতাম। মনে হতো দুটো ভালোবাসার মানুষের মধ্যে অবশ্যই বিয়ে হওয়া উচিত ‘।
বহ্নি বললো,’কিন্তু বিয়ের পরের ঘটনা নিয়ে আমরা কেউই চিন্তা করিনা,বিয়ের পরেই আসল সমস্যা শুরু হয়’।
পল্লব বললো,’দেখো বহ্নি জীবন থাকলে সমস্যা থাকবে।কারন সমস্যা অনন্ত,সবার জীবনেই সমস্যা আসে,ভাঙাগড়া হয়,বদল আসে।কোনো বদল যন্ত্রণা এনে দেয় বা কোনো বদল সুখ।তাবলে ভবিষ্যতের উজ্জ্বল সুন্দর ছবি কালি ধেবড়ে যাচ্ছেতাই করার কি মানে আছে কোনো?’
বহ্নি বললো,’ভয় করছে যে ভীষণ আমার।কালকে দিদিয়ার বিয়ে,অথচ আমায় দেখো! সময় যত এগিয়ে আসছে ভয় ততোই চেপে বসছে আমার মাথায়,মনে হচ্ছে বিয়েটা কেন্সেল করে দিই’।
পল্লব হেসে বললো,’কি ছেলেমানুষী হচ্ছে বহ্নি!শিখাকে নিজের মতো করে বাঁচতে দাও ।নির্বোধ হয়োনা।আর এতো নেগেটিভ চিন্তা কেন তোমার মাথায়?’
একটু থেমে বললো,’আচ্ছা বহ্নি একটা সত্যি কথা বলবে?আমি কিন্তু সত্যিটা জানতে চাই’,বহ্নি বললো,’কখনো কি মিথ্যে বলেছি তোমায়,কথা দিচ্ছি এতোদিন যখন মিথ্যে বলিনি,তখন আগেও বলবোনা’।
পল্লব বহ্নির দিকে না তাকিয়েই জিজ্ঞেস করলো,’ভালোবাসো আমায়??’,বহ্নি হেসে বললো,কেন তোমার সন্দেহ আছে?’পল্লব বললো,’আমায় প্রশ্ন না করে উওরটা দাও।ভালোবাসো আমায়?’বহ্নি পল্লবের কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বললো,’ভালোবাসি ভালোবাসি ভীষণ রকম ভালোবাসি’।
.পল্লব হেসে বললো,’বিশ্বাস করলাম।এবার বলো তোমার কি মনে হয় আমায় বিয়ে করলে আমি তোমায় ঠকাতে পারি?’,পল্লবের প্রশ্নে বহ্নি বললো,’না আমার মনে হয়না তুমি ঠকাবে আমায়,কিন্তু ভেবে দেখো আমার মাও তো সেই বিশ্বাসের উপর ভর করেই বাবার হাত ধরেছিলো,তারপর কি হলো!’
বহ্নির কথার উওর না দিয়ে পল্লব বললো,’ আমি কিন্তু চোখ বুজলে এখনো সেই দুবেনী করা সাদা খোলের উপর কমলা পাড়ের শাড়ি পরা সেই অসাধারণ সুন্দরী মেয়েটাকে ব্যাগ কাঁধে একমনে হেঁটে যেতে দেখি কাঁথির রাস্তা ধরে’।
বহ্নি বললো, ‘হুম জানিতো সেটা।তুমি একা একাই সেই তখন থেকে প্রেম বৃক্ষে জল সিঞ্চন করে যাচ্ছো কোনো রকম আশা ছাড়াই।আমি তো ভাবতেই পারিনা এতো ভালোবাসা ও যায় কাউকে।তোমার বলা না বলা প্রতিটি শব্দই আমার আঙ্গুল ছুঁয়ে বলে যায় ভালোবাসি’।
পল্লব হেসে বলে,’তারপরেও আমার থেকে বিয়ের অধিকারটাও কেড়ে নিয়েছো,আচ্ছা তোমার কষ্ট হয়না আমাকে কষ্ট দিতে? ‘।
বহ্নি বলে,’ মাঝেমধ্যে মনে হয় কেন আমার জন্য তোমার মনের কোনে স্বযত্নে লালিত বিয়ের স্বপ্নটা ভঙ্গ হবে! তুমি তো চাইলেই যে কেউ তোমার জীবন সঙ্গিনী হতে চাইবে’।
পল্লব বললো,’আমি তো যে কাউকে চাইনা, শুধু তুমি চাইলে তবেই আমাদের সম্পর্ককে বিয়ের স্বীকৃতি দেবো।থাক আমার চাওয়া নিয়ে বা স্বপ্ন নিয়ে অতো ভেবোনা।আমি শুধু চাই আমরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সারাজীবন পাশে চলবো’।
একটু থেমে গিয়ে আবার বলে,’তোমাকে হারাবার কথা আমি যে ভাবতে পারিনা বহ্নি।তোমার জন্য নিজেকে ভেঙে গড়েছি বহুবার।কিন্তু তোমাকে মন থেকে সরাবার কথা ভাবতে পারিনি।এটা সত্যি প্রথম দিকে বিয়ের জন্যই তোমার পিছনে ধাওয়া করছিলাম।মনে হয়েছিলো বিয়ে করলে একেই বৌ করবো’।
বহ্নি বললো,’তুমি বলেছিলে আমায়।তবে বিয়ের প্রতি আমার বিরূপ মনোভাবের কারনটা জেনে তুমি আর জোর করোনি’।
পল্লব বলে,’ ভেবেছিলাম আমার ভালোবাসায় তোমার বিয়ের প্রতি ভয়টা কেটে যাবে।কিন্তু মনে হয় আমি তোমার মনে সেই ভালোবাসা আর বিশ্বাসের জায়গাটা করতেই পারিনি যেখানে তুমি নির্দ্বিধায় আমার হাত ধরতে চাইবে’।
বহ্নি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হঠাৎই বলে উঠলো,’গাড়িটা শিগগিরই থামাও সাইড করে ‘।পল্লব বললো,’ কেন হঠাৎ গাড়ি থামাতে বলছো কেন! কি হলো আবার?কিছু কি নিতে হবে মার্কেট থেকে?’।
বহ্নি গম্ভীর স্বরে বললো,আরে থামাও না গাড়িটা,এতো প্রশ্ন কিসের? একবার থামাতে বলেছি যখন থামাবে’।
পল্লব অবাক হয়ে বহ্নির দিকে তাকালো।সাধারণত এই স্বরে বহ্নি কথা বলেনা পল্লবের সাথে।
পল্লব একটু এগিয়ে সাইড করে গাড়ি থামায়।গাড়ি থামানোর সাথে সাথে বহ্নি নেমে যায় গাড়ির থেকে।পল্লবকেও নামতে বলে।
না এবার আর কোনো প্রশ্ন করে না পল্লব।জিজ্ঞাসু মুখে চুপচাপ গাড়ি থেকে নেমে বাইরে এসে দাঁড়ায়।
বহ্নি হঠাৎই এক হাঁটু গেড়ে বসে পল্লবের দিকে হাত বাড়িয়ে নাটকীয় ভাবে বলে উঠলো,’উইল ইউ ম্যারি মি ? ‘
ঘটনার আকস্মিকতায় পল্লব কিছু বুঝতে পারেনা।ফ্যালফ্যাল করে বহ্নির দিকে তাকিয়ে থাকে।বহ্নি আবারো বলে,’উইল ইউ ম্যারি মি ? ‘
এবার পল্লব বহ্নির হাতটা ধরে।উচ্ছ্বাস যেন ফেটে পড়ছে পল্লবের চোখে মুখে। তাও বলে,’সত্যি বিয়ে করবে আমায়?মানে সত্যিই কি বিয়ে করতে চাইছো?নাকি মজা করছো আমার ইমোশনের সাথে?’
বহ্নি হেসে বলে,’ ইয়েস ওর নো কিছু তো বলো,আমার হাঁটুতো ব্যথা হয়ে গেলো’।
পল্লব তাড়াতাড়ি বহ্নিকে ,’ ইয়েস-ইয়েস-ইয়েস ‘বলে উঠিয়ে নিয়ে জড়িয়ে ধরে বুকে।
বহ্নি বলে,’কালকে দিদিয়ার মন্ডপেই বিয়ে করতে হবে কিন্তু। তবে আমি ওই ভারি বেনারসি পরে জমকালো সেজে বিয়ে বসতে পারবোনা’।
পল্লব আরো নিবিড়ভাবে বহ্নিকে বুকের মধ্যে চেপে ধরে বলে,’জিনস টপ পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই।শুধু একটাই শর্ত বিয়ের কনে তোমাকেই হতে হবে’।
(চলবে)