অবেলায়_তুমি পর্ব ১৮

0
491

#অবেলায়_তুমি (পর্ব-১৮)
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ

আকাশ আর তনু সাড়ে তিনটা নাগাদ দু’জনে মিলে বিয়ের শপিংয়ের জন্য বেরিয়ে পড়ে। তনুর গাড়ি করেই দু’জনে শপিংয়ের জন্য যাচ্ছে। আকাশ তনুর পাশের সিটে বসে আছে। আর তনু গাড়ি ড্রাইভ করছে৷ কিছুক্ষণ পর তনু একটা নামি-দামি শপিংমলের সামনে গিয়ে গাড়ি থামায়। আকাশের ভিতরে খচমচ করছে শপিংমল দেখা মাত্রই। কারণ শপিং নিয়ে আকাশের ও কিছু পরিকল্পনা আছে। যদি কোনো কারণ বশত জিনিসপত্রের দাম বেশি হয়, তাহলে আকাশ কুলিয়ে উঠতে পারবে না। এছাড়া সচারাচর শপিংমল গুলোতে জিনিসপত্রের দাম একটু বেশিই হয়। ভয় হচ্ছে আকাশের। তবে সেটা তনুর সামনে প্রকাশ না করে তনুর সাথে শপিংমলের ভিতরে চলে যায়। তনু আকাশের হাত ধরে আকাশকে শপিংমলের ভিতরে নিয়ে যায়। আকাশ ভিতরে ভিতরে প্রচন্ড নার্ভাস। তবে তনুকে সেটা কোনো ভাবেই বুঝতে দিচ্ছে না সে। তনু শপিংমলে ঢোকার পর একটা দোকানে গিয়ে আকাশের জন্য বেশ নামি-দামি ব্রান্ডের একটা খয়েরী রঙের শার্ট পছন্দ করে। আকাশ কিছুই বলছে না। চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে৷ তনু শার্টটা নিয়ে আকাশের শরীরের সাথে মাপ দিয়ে আকাশকে বলে,

–‘সাইজ তো একদম ঠিক ঠাক লাগছে। তবুও আকাশ তুমি একটু ট্রায়াল রুমে গিয়ে শার্ট টা গায়ে দিয়ে দেখে আসো তো সব কিছু বরাবর আছে কিনা।’

–‘আচ্ছা।’

আকাশ শার্টটা নিয়ে ট্রায়াল রুমে চলে যায় শার্টের ট্রায়াল দিতে। কিছুক্ষণ পর ট্রায়াল রুম থেকে ফিরে এসে তনুকে বলে,

–‘হ্যাঁ তনু সব ঠিক ঠাক আছে।’

–‘যাক তাহলে আমার মেজারমেন্ট একদম ঠিক ঠাক ছিল। আচ্ছা এবার তুমি নিজে আরো কিছু শার্ট আর প্যান্ট পছন্দ করো।’

–‘কেনো এতো গুলো শার্ট আর প্যান্ট দিয়ে কি করবো? আমি আর একটা প্যান্ট নিলেই আমার হয়ে যাবে।’

–‘এই যে কথা কম বলে আমি যেটা বলি সেটা শুনো। কারণ আগামীতে জামাকাপড় গুলো লাগবে। এক সুট জামাকাপড় দিয়ে আর কয়দিন চলবে। যাও গিয়ে আরো কয়েকটা শার্ট দেখো। সেই সঙ্গে প্যান্ট ও।’

–‘আচ্ছা।’

বেচারা আকাশ আর কোনো কথা বলে না। তনুর কথা মতন বাধ্য হয়ে আরো দুইটা শার্ট আর দুইটা প্যান্ট পছন্দ করে নেয়। আকাশ বাকি জিনিস গুলো পছন্দ করতে করতে তনু আকাশের জন্য পছন্দ করে একটা পাঞ্জাবি কিনে ফেলে। আকাশের কেনাকাটা কমপ্লিট। এবার তনুর কেনার পালা। তনু আর আকাশ যেই দোকানে কেনা কাটার জন্য ঢুকেছে তাঁদের দু’টো দোকান। একটা লেডিস আরেক জেন্টস। দু’টো দোকান এই সামনা-সামনি। এক দোকান থেকে আরেক দোকানের সব কিছু দেখা যায়। তনু দোকানদারকে আকাশের জিনিসপত্র গুলো প্যাকিং করতে বলে আকাশকে নিয়ে সামনের দোকান টাতে চলে যায় নিজের জন্য কেনাকাটা করতে। সামনের দোকানে গিয়ে বহু ঘাটাঘাটি করে তনু নিজের জন্য শুধু একটা ড্রেস পছন্দ করে। দোকানদার ড্রেসটা তনুকে প্যাক করে দেয়। আর সঙ্গে একটা রিসিট দিয়ে বলে,

–‘ম্যাডাম বড় ভাইয়ার দোকান থেকে কিছু কেনা কাটা করেছেন দেখলাম। আপনি এই ড্রেসটার টাকা এক সাথে বড় ভাইয়ার কাছেই দিয়ে দিয়েন।’

–‘জ্বি ঠিক আছে। এই আকাশ চলো।’

তনু শুধু একটা ড্রেস কেনায় আকাশের জিনিসটা ভালো লাগে না। তনুকে আপত্তি জানিয়ে বলে,

–‘এই তনু এটা কি হলো? তুমি আমাকে এক গাদা কিনে দিয়ে নিজের জন্য শুধু একটা ড্রেস কিনলে মাত্র?’

–‘আরে সমস্যা নেই। আমার বাসায় অনেক জামাকাপড় রয়েছে নতুন নতুন। তাই একটা ড্রেস কিনেছি।’

–‘না এটা তো হতে পারে না। এই যে দোকানদার ভাইয়া আপনি ঐ শাড়িটা দেখান তো।’

–‘আরে আকাশ লাগবে না।’

–‘একদম চুপ থাকো। আমার বেশ পছন্দ হয়েছে ঐ শাড়িটা। আমি কিছুক্ষণ ধরেই ভাবছিলাম শাড়িটা তোমাকে নিতে বলবো। দোকানদার ভাইয়া আপনি শাড়িটা দেখান।’

–‘জ্বি ভাইয়া দেখাচ্ছি।’

দোকানদার আকাশের কথা মতন শাড়িটা নামিয়ে দেখায়। আকাশ শাড়িটা নিয়ে তনুর গায়ে কেমন মানাবে সেটা চেক করে। শাড়িটা বেশ মানিয়েছে তনুকে। আকাশ কোনো কিছু না ভেবে শাড়িটা নিয়ে নেয়। বাজেটের কথা আপাতত আকাশ মাথা থেকে সরিয়ে ফেলে৷ আগের নেওয়ার আছে নিয়েছে। পরে যা হবে সেটা না হয় পরেই দেখা যাবে। আকাশের পছন্দ করা শাড়িটা দোকানদার আলাদা ভাবে প্যাক করে দিয়ে আবারো একটা রিসিট দেয়। শাড়ি আর জামাটা নিয়ে তনু আর আকাশ আগের দোকানে চলে আসে। আগের দোকানদার সমস্ত কাপড়-চোপড়ের হিসাব করে তনু আর আকাশকে জানায় ইনটোটাল সব মিলে বাইশ হাজার তিনশ টাকা এসেছে। দোকানদারের কথা শুনে আকাশের চোখ মুখ কালো হয়ে যায়। কারণ তার বাজেট ছিল বিশ হাজার টাকা। কিন্তু সেটা ছাড়িয়ে গেছে। কোনো কিছু না ভেবেই দোকানদারকে বলে,

–‘ভাইয়া আমার এতো গুলো শার্ট প্যান্টের দরকার নেই। বাসায় এমনিতেও আমার কয়েক জোড়া নতুন শার্ট আর প্যান্ট রয়েছে। আমার সেগুলাই এখনো পড়া হয়নি। আপনি আমার একটা শার্ট আর একটা প্যান্ট কমিয়ে রাখুন। তারপর দেখুন কতো আসছে বিল।’

–‘আরে ভাইয়া পছন্দ করে যেহেতু নিয়েছেন কমিয়ে না রাখাটাই ভালো। আর আমি ডিসকাউন্ট ছাড়া আপনাকে বলেছি। তবে ডিসকাউন্ট সহ আপনার বিল হচ্ছে উনিশ হাজার পাঁচশ টাকা।’

আকাশের মন খুশি হয়ে যায় দোকানাদের কথা শুনে। চোখে-মুখে খুশি নিয়ে দোকানদারকে বলে,

–‘ঠিক আছে ভাইয়া তাহলে সব গুলোই দিন।’

দোকানদার আকাশের কথা মতন সব গুলো জিনিস আকাশদেরকে দিয়ে সব কিছুর একটা ক্যাশ মেমো দেয়। আকাশ ক্যাশ মেমো আর সব কিছু বুঝে নিয়ে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে তার মধ্যে থাকা বিশ হাজার টাকা বের করে এগিয়ে দেয়। তনু পুরো আশ্চর্য হয়ে যায় আকাশের আচরণে। শপিংয়ের টাকা আকাশ দিচ্ছে সেটা তনু বিশ্বাস এই করতে পারছে না। সব কিছু কেমন যেনো লাগছে তনুর। আকাশ দেকানদারকে টাকাটা দেওয়ার আগেই তনু আকাশকে থামিয়ে দিয়ে আশ্চর্য হয়ে বলে,

–‘এই তুমি এটা কি করছো? আর এতো টাকা কোথায় পেয়েছো তুমি?’

–‘আরেহ কিছুই না। প্রিয় মানুষের জন্য নিজের সাধ্য মতন কিছু করার চেষ্টা করছি। আর টাকাটা কোথায় পেয়েছি সেটা না হয় পরে এক সময় বলবো। এখন আগে বিলটা দিয়ে নেই।

–‘না তুমি বিল দিবে না। টাকাটা তুমহ নিজের কাছে রাখো। আমি বিল দিচ্ছি।’

–‘তনু এভাবে আমাকে আঁটকেও না। আমারো কিছু দায়দায়িত্ব আছে। যেই মানুষ টাকে আমি ভালোবাসি, তার জন্য অল্প সংখ্যক টাকা খরচ করতে না পারলে কি ভাবে কি। তুমি পরে কখনো দিও। এবার টাকাটা আমি দিচ্ছি।’

আকাশের জোড়াজুড়ির কাছে তনু হার মানে। আকাশ সমস্ত বিল পরিশোধ করে তনুকে নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে আসে। তনুও কম নয়। দোকানটা থেকে বের হওয়ার পর আকাশকে একটা জুতার দোকানে নিয়ে গিয়ে ভালো মানের এক জোড়া জুতা কিনে দেয়। আর জুতার টাকাটা তনু নিজেই দেয়। অবশ্য আকাশ এখানে কোনো জোড়াজুড়ি করে না। কারণ আকাশের পকেটে আর বেশি টাকা নেই। সে চাইলেও জোড়াজুড়ি করে বিল দিতে পারবে না। সেজন্য নিরব হয়েই থাকে। জুতা কেনার পর তনু আকাশকে নিয়ে শপিংমলের ভিতরে থাকা একটু রেস্টুরেন্টে যায়। এরপর দু’জনে কিছু খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরে আসে। দেখতে দেখতে বৃহস্পতিবার চলে আসে। বৃহস্পতিবার দিন সকাল বেলায় আকাশ তনুর পছন্দ করে দেওয়া খয়েরী রঙের শার্ট আর প্যান্ট পড়ে ভালো ভাবে রেডি হয়ে নেয় অফিসে যাওয়ার জন্য। আজ সকল মানুষ জানতে পাবে তনু আকাশের স্ত্রীর। খুশিতে আত্মহারা আকাশ। রেডি হয়ে অফিসে যাওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে তনুকে ফোন করে আকাশ। তনুও রেডি হচ্ছিল। আকাশের ফোন পেয়ে রেডি হওয়া থামিয়ে ফোন রিসিভ করে। তনু ফোন রিসিভ করার পর আকাশ তনুকে বলে,

–‘তনু আমার পছন্দ করে কিনে দেওয়া শাড়িটা পড়ে এসো কিন্তু।’

–‘আরে আমি ওটাই পড়ছিলাম।’

–‘হুম ঠিক আছে তাহলে। আর শুনো জলদি চলে এসো। আমি কিছু সময়ের মধ্যেই রওয়ানা হচ্ছি।’

–‘আচ্ছা ঠিক আছে। এবার ফোন রাখলাম। আমিও রেডি হয়ে জলদি চলে আসবো।’

–‘আচ্ছা।’

আকাশ ফোন রেখে দিয়ে প্রথমে মা’য়ের কাছে গিয়ে মা’য়ের পা ধরে সালাম করে। এরপর বাসা থেকে বেরিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে অফিসে চলে যায়। অফিসে বেশ জোরদার আয়োজন চলছে। অফিসের ছাদে রান্নাবান্না হচ্ছে। নিচে সবাই ডেকোরেশন করছে। তবে কেউ জানে না আয়োজন টা কি উপলক্ষে। তনু সবার জন্য বিষয়টা সারপ্রাইজ রেখেছে। আজ দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর তনু সবাইকে সারপ্রাইজটা দিবে। আই মিন আয়োজনের উদ্দেশ্যটা বলবে। আর সেই সঙ্গে আকাশকেও নতুন ভাবে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে। তবে ম্যানেজার খালেক সাহেব কিছুটা আন্দাজ করতে পারে কি কারণে এই আয়োজন৷ কিন্তু ম্যানেজার এবারো বিষয়টা কারোর সাথে শেয়ার করে না। কারণ দুপুরের পর তো সবাই এমনিতেই আয়োজনের আসল উদ্দেশ্যটা জানতে পারবে। তাই চুপচাপ সবার সাথে মিলে কাজকর্ম করতে থাকে। অফিসটা সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করছে সবাই মিলে। আকাশ অফিসে পৌঁছানোর পর সে নিজেও সবার সাথে কাজে যোগদান করে। তবে ম্যানেজার আকাশকে বারণ করে না করার জন্য। আর বলে সবটা উনারাই সামলে নিবে। আকাশ বুঝে যায় ম্যানেজার কেন বারণ করেছে। মুখের কোণে হাসি টেনে বলে,

–‘খালেক সাহেব সমস্যা নেই। কাজ করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আর তাছাড়া আমি কাজ করলে কোনো জাত পাত নষ্ট হবে না।’

ম্যানেজার খালেক সাহেব আকাশকে আর কিছু বলে না। আকাশ সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর তনু সেজেগুজে আকাশের পছন্দ করা শাড়িটা পড়ে অফিসে আসে। সবাই তনুকে দেখে অবাক। কারণ এই প্রথমবার তনু শাড়ি পড়ে অফিসে এসেছে। সবার মনে একই প্রশ্ন জাগে তনু শাড়ি পড়ায়।
কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না। কারণ যতোই হোক তনু সবার বস। আর তারা তাঁদের কর্মচারী। তাই সবাই চুপচাপ করে থাকে। তনু অফিসে এসে নিজের কেবিনে চলে যায়। দেখতে দেখতে একটার আজান হয়। বাবুর্চিদের রান্নার কাজ শেষ। তনুও কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে। খাওয়া-দাওয়ার পালা শুরু হয়। এমন সময় সোহান অফিসে আসে। সোহানকে দেখা মাত্রই আকাশের রাগ উঠে যায়। আকাশ তনুর কাছে গিয়ে বলে,

–‘ঐ বদ’মাইশ টা এখানে কি করছে?’

–‘আকাশ আমিই ওকে দাওয়াত করেছি।’

–‘মানে কি! সে এতোকিছু করলো। আর তুমিই তাঁকে দাওয়াত করেছো ঘটনাটা বুঝলাম না!’

–‘আকাশ চাপ নিও না। আমি ওকে দাওয়াত করেছি শুধুমাত্র দেখানোর জন্য। আমি আজকে সকলের সামনে তোমাকে নিজের স্বামী বলে পরিচয় দিব। আর সোহান সেটা দেখে দেখে জ্বলবে।’

–‘তনু এমনটা করা কি বেশি প্রয়োজন ছিল?’

–‘হুম ছিল। কারণ সে শয়তানি করতে চেয়েছিল তোমার আর আমার সাথে। তাই তাকে ইনভাইট করেছি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। যাতে করে আমাদের সমস্ত কিছু দেখে তার ভিতরে হিংসায় জ্বলতে থাকে।’

–‘যাক যা ইচ্ছে করেছো। তবে দেখো কোনো ঝামেলা যেনো সে না করে।’

–‘আরেহ আজকে আর কোনো ঝামেলা করতে পারবে না। কারণ অফিসের এতোগুলো কর্মচারী রয়েছে। তার উপরে তুমি তো রয়েছোই। আশা করি তার আর সাহস হবে না কিছু করার।’

আকাশ আর কিছু বলে না। তবে মনে মনে সোহানকে নিয়ে সে একটু দোটানায় ভুগছে। কারণ শয়তান বলতেই সুযোগ পেলে সে মানুষের ঘাড়ে চে’পে বসবে। কখন কোন দিকে কি করে তার কোনো ঠিক নেই।একদিকে সোহানকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। অপরদিকে আর কিছুক্ষণ পর সবার সামনে তনু তাঁকে নিজের স্বামী বলে পরিচয় করিয়ে দিবে সেই খুশি। সকলের খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়। তনু সকলের খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর আজকের আয়োজনের উদ্দেশ্য কি সেটা বলার জন্য সবাইকে একসঙ্গে করে বলে,

–‘কি কারণে আজকের এই আয়োজন সেটা একটু পরেই বলছি। আগে ছোট্ট একটা কাজ সেরে নেই।

তনু সবাইকে অপেক্ষায় রেখে আকাশের কাছে যায়। আকাশ এক সাইডে করে তনুর থেকে দুই-তিন হাত দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছিল। তনু আকাশের কাছে গিয়ে হুট করে তার পছন্দ করে দেওয়া আকাশের শার্টের কলারে সে নিজেই খপ করে চে’পে ধরে। এরপর আকাশের শার্ট ধরে তাঁকে সবার সামনে টেনে এনে লাগাতার কোষে কয়েকটা থা’প্পড় মা’রে। আকাশ তনুর আচরণে পুরো আশ্চর্য হয়ে যায়। হুট করেই পরিস্থিতির এমন পরিবর্তন দেখে আকাশ হতভম্ব হয়ে তনুর দিকে তাকিয়ে আছে…..

চলবে….

(ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।)

গল্পটা শেষের পথে। আর এক-দুই পর্বের মধ্যেই গল্পের সমাপ্তি ঘটবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here