অপ্রিয় আশালতা পর্ব ২

0
1311

#অপ্রিয়_আশালতা (০২)
আশালতাকে ব্যাগপত্র নিয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে দেখে তেলেবেগুনে জ্ব*লে ওঠে তার বড় ভাবি মারজানা।
-আইসা পড়ছস দেখি? তা এইবার কি সারাজীবনের জন্যই চইলে আইছস আশা?
ভাবির ভারী কথা কর্ণগোচর হতেই চোখে পানি চলে আসে আশালতার। এখন যদি আশালতা সকল কিছুই তার ভাবিকে জানিয়ে দেয় তবে যে ক’টা দিন সে এই বাড়িতে থাকতে পারবে তাও হয়ত আর সম্ভব হবেনা। তাই চেপে যায় সে। ফ্যাকাশে মুখে জোরপূর্বক হাসি ফুটিয়ে বলতে আরম্ভ করে,
-এমন কথা বলো না ভাবি। কিছুদিনের জন্য অতিথি হয়ে এসেছি। আবার চলে যাব। আমার জন্য জ্বা*লা পোহাতে হবেনা তোমাদের।
কঠোর সুরে মারজানা বলে,
-তাই যেন হয়। তোগো মা আর মাইয়ারে টানতে টানতেই আমার জীবন গেল বাপু। জ্বা*লা*ই*স না।
ভাবির কথায় প্র*চ*ন্ড ভাবে আ*ঘা*ত প্রাপ্ত হয় আশালতা। তাদের জন্য কি এমন জ্বা*লা পোহাতে হয় মারজানার তা আশেপাশের মানুষজনও খুজে পায়না। সকলের মুখে একটাই কথা ,”মারজানা ভাগ্য করে এমন শাশুড়ি আর ননদ পেয়েছে।“
ঘরের মধ্য হতে অ*সু*স্থ শরীরে কাঁ*প*তে কাঁ*প*তে বাইরে বেরিয়ে আসে আশালতার বৃ*দ্ধ মা হাফসা বেগম।
-ও বউমা কার সাথে এত কথা কও? কেডা আইছে? (হাফসা বেগম)
র*ম্য সুরে জবাব দেয় মারজানা,
-আপনার মাইয়া আইছে আম্মা। বেড়াইতে!
এই অসময়ে কাউকে কিছু না জানিয়েই আশালতা বাড়িতে আসাতে বেশ চি*ন্তি*ত হন হাফসা বেগম। কেননা তিনি মেয়ের শশুড়বাড়ির পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুটা হলেও অবগত। ভেতরে ভেতরে শ*ঙ্কি*ত হাফসা বেগম। সকল চিন্তা ভাবনাকে আপাতত চা*পা দিয়েই মেয়েকে নিয়ে নিজের রুমে চলে যান।
ঘরে প্রবেশ করেই টেবিলের ওপর ব্যাগপত্র রেখে মাথার ওপরের টিনের চালের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে আশালতা। আদরের মেয়ের ম*লি*ন মুখখানা দুহাতের মাঝে নিয়ে হাফসা বেগম ক*রু*ণ সুরে বলেন,
-ভালো আছিসতো মা?
মুচকি হেসে আশালতা উত্তর দেয়,
-হুম বেশ আছি মা।
“হুম বেশ আছি মা” এই কথাটির পেছনে ঠিক কতটা যন্ত্রণা লুকিয়ে থাকতে পারে তা একজন মা ছাড়া হয়তো কেউই উপলব্ধি করতে পারেনা। হাফসা বেগমের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। মেয়েকে এই মুহূর্তে সরাসরি কিছু জিজ্ঞাসা করতেও বিবেকে বাধছে তার।
-আম্মা কিছু খে*তে দিবা মা? অনেক ক্ষু*ধা লাগছে। (আশালতা)
টলমল চোখে হাফসা বেগম অচল শরীর নিয়ে বলা চলে এক প্রকার ছু*ট লাগান মেয়ের ক্ষু*ধা নি*বা*র*ণে*র উৎস খুজতে। এই সময়ে ভাতের হাড়ি ,তরকারির গামলা সবই থাকে শূ*ণ্য। তবুও হাফসা বেগম মনে কিঞ্চিত আশার আলো ফু*টি*য়ে। তরকারির গা*ম*লা ফা*কা ভাতের হাড়িতে অল্পকিছু ভ্যা*প*সা*নো ভাত পড়ে রয়েছে। প্লেট নিয়ে তাতে ভাতগুলো বে*ড়ে নিয়ে তাতে একটু পানি দিয়ে কা*চা মরিচ,পো*ড়া শুকনো মরিচ আর লবণ দিয়ে কচলে মে*খে নিয়ে নিজের রুমে যান হাফসা বেগম।
ক্ষু*ধার তে*জ বেশি থাকায় মিনিট চারেকের মাঝেই সম্পূর্ণ ভাত খে*য়ে নেয় আশালতা। মেয়ের দিকে অবাক দৃষ্টিতে সেই হতে চেয়ে আছে হাফসা বেগম। নিজের হাসি-খুশি মেয়েটাকে আজ তার চিনতে খুব ক*ষ্ট হচ্ছে।
রাতের দিকে আশা ব্যাগ থেকে ফোনটা নিয়ে কয়েক বার সাদের ফোন নাম্বারে কল দেয়ার চেষ্টা করে ব্য*র্থ। চোখ উ*প*চে নো*না জলের আগমন ঘটে। এরই মাঝে আশালতার বড় ভাইয়ের ডাক পড়ে খাওয়ার ঘরে যাওয়ার জন্য। একটু আগেই বাড়ি ফিরেছেন আশরাফ মোল্লা। নিরব কা*ন্না বু*কে চে*পে নিয়ে চোখ মুছে আশালতা খা*ও*য়া*র ঘরের দিকে ছু*টে যায়।
আশালতা খা*ও*য়া*র ঘরে প্রবেশ করতেই দেখতে পায় তার বড় ভাই হাসি হাসি মুখ করে দরজার দিকেই তাকিয়ে আছে বোনের আগমনের অপেক্ষায়।
-আশা ভেতরে আয়। তোর ভাবি সন্ধ্যায় ফোন দিয়ে বলল তুই নাকি শেষ বিকেলে বাড়ি আসছিস। তাই বাজারে গিয়ে তোর প্রিয় ছানা নিয়ে আসছি। নে গ*র* গ*র*ম খা। (আশরাফ মোল্লা)
কিছু মুহূর্তের জন্য মনের মাঝে প্রশান্তি ছেয়ে যায় আশালতার। ভেতরে ভেতরে তেঁ*তে ওঠে মারজানা।
“তা তোর শশুড়বাড়ির সকলে কেমন আছেরে আশা?” ভাইয়ের এমন প্রশ্নে মুখের হাসি বি*লী*ন হয়ে যায় আশার।
-বেশ ভালোই আছে ভাইজান। তুমি এখন তবে রাতের খাবার খে*য়ে নাও। আমি গেলাম ঘুমাতে। (আশালতা)
-কিরে তুই ছানা খে*লিন? আর রাতে ভাত খে*য়ে*ছিস? (আশরাফ)
-ছানা খে*য়ে*ছি তো ভাইজান। এখন বেশি খে*তে মন চাইছেনা সন্ধ্যায় ভাত খে*য়েছিলাম তাই এখনো পেট ভরা।
আর কথা না বাড়ুক তাই আশালতা দ্রুত খা*ও*য়া*র ঘর হতে বের হয়ে যায়। মারজানা আশালতার গ*মন পথের দিকে ভ্রু কু*চ*কে চেয়ে থাকে।


রাত দুটো কি তিনটা বাজে। টিনের চালে বিরতিহীন ভাবে ঝুমঝুম করে বৃষ্টির পানির ফোটা শব্দ তু*লে যাচ্ছে। সাথে পাল্লা দিয়ে বু*ক ফা*টা কা*ন্না*রা চোখের কোণায় এসে জমা হয়ে টুপটাপ করে বেয়ে পড়ছে আশালতার ম*সৃ*ণ গাল হতে। পাশেই ঘুমের ভা*ন ধরে মেয়ের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন হাফসা বেগম। মেয়ের কা*ন্না*য় হে*চ*কি ওঠার শব্দ কর্ণগোচর হতেই হু*ড়*মু*ড় করে উঠে বসেন তিনি। ফিসফিস করে বলতে আরম্ভ করেন,
-এ আশা? মা ওঠ্তো। কি হইছে আমাকে বল।
উঠে বসেই নিজেকে সামলাতে না পেরে ‘মা’ হা*উ*মা*উ করে কেঁদে ওঠে আশালতা। হাফসা বেগম মুখ হতে ‘শশশ’ উচ্চারণ করে মেয়েকে বু*কে চে*পে ধরে বলে ওঠেন,
-চু*প কর মা চু*প কর। তোর ভাবি শুনলে আর রক্ষা নাই। কি হইছে আমারে খুইলে বল?
শান্ত হয়ে যায় আশালতা। পিটপিট করে মাকে বলে ওঠে,
-মাগো তোমার মেয়ের কপালটা যে সারা জীবনের জন্যই চ*র*ম দুঃখে আবৃত হয়ে গেল মা। এই দুঃ*খি*নী কোনোদিনও কি ছি*টে-ফোটা সুখ পাবেনা মা? কেন সাদ আমার সাথে এমন করল মা? এই য*ন্ত্র*ণা যে আর স*হ্য হচ্ছেনা। সাদ কিভাবে পারবে আমাকে ডিভোর্স দিতে? আমার গ*র্ভে যে ওর সন্তান তাও ওকে আমি বলতে পারিনি মা। দেশ থেকে যাওয়ার কিছুদিন বাদেই জানতে পারি আমাদের ঘর আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। একটা মাস আমার সাথে ঠিকঠাক কথাই বলেনি। তার এতই ব্যস্ততার অ*জু*হা*ত ছিল যে আমাদের অনাগত সন্তানের সুখবরটাও তাকে দিতে পারিনি আমি। শশুড়বাড়ির কাউকেও জানাতে পারিনি আমি তার আগেই ঘা*ড় ধা*ক্কা দিয়ে বের করে দিল আমাকে। কেন আমি সবার এত অপ্রিয় মা?
বু*ক কে*পে ওঠে হাফসা বেগমের। আস্তে আস্তে কাঁ*পা কন্ঠে বলেন,
-কি হইছে মা খুইলা বলতো?
একে একে সবকিছু খুলে বলে আশালতা। হাফসা বেগম স্তম্ভিত হয়ে যান মেয়ের করুণ পরিস্থিতির কথা শুনে। চোখের কোণ হতে টপটপ করে নোনা জল বেয়ে পড়ে। এই মেয়ে কিনা সামানু একটু কে*টে গেলেও তাই মায়ের কাছে এসে কা*ন্না করত। সে মেয়ে কিনা বু*কে*র মাঝে পাহাড়সম য*ন্ত্র*ণা নিয়ে সেই সন্ধ্যা হতে তার সামনে নিজেকে স্বাভাবিক করে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছে?
-কা*ন*দি*স না মা। আমি কালকে সকালেই সাদরে কল দিয়ে বুঝাবো। তুই শা*ন্ত হ এখন। (হাফসা বেগম)
-কাকে বুঝাবা তুমি? বুঝিয়ে কি আদৌ কোনো লাভ হবে মা? যে মানুষটা আমাকে কখনো ভালোবাসেনি। সেই মানষটাকে বুঝিয়ে কোনো লাভ আছে? সে আমার থেকে দূরে যেতে চায় মা। অন্য কাউকে ভালোবাসে সে। লাভ নেই কিছু করে। তাকে নিজের মতো করে ভালো থাকতে দাও মা। তিন বছর তো অনেক স*হ্য করেছে সে। সুখে থাকুক সে।
ডু*ক*রে কেঁ*দে ওঠে আশালতা। মেয়ের কথার সারমর্ম বেশ ভালো ভাবেই বুঝে ফেলেন হাফসা বেগম। মেয়ের মুখখানা আদরমাখা হাতে আগলে ধরে বলেন,
-মা নিজেকে এখন ধৈ*র্য্য*শীল করা দরকার। সৃষ্টিকর্তা যে ধৈ*র্য্য*শীলদের অনেক পছন্দ করেন মা। তোর আব্বা কি বলতো মনে আছে তোর? প্রত্যেক মানুষের জন্যই সুখ বরাদ্দ থাকে। অনেক চ*ড়া*ই উ*ত*রাই পার হয়ে তবেই আমরা সেই সুখ লাভ করতে পারি। নিজেরে শক্ত কর মা। এটুকু তোর ভাগ্যে লেখা ছিল। এখন যে অনেক সং*গ্রা*ম বাকি মা। তোর অনাগত সন্তানের জন্যও যে অনেক সং*গ্রা*ম করতে হবে। নিজেরে এমনভাবে প্রস্তুত কর যেন তোরে দেইখে হাজারটা মাইয়া অনুপ্রেরণা পায়।
মায়ের বলা কথাগুলো অন্তরে গে*থে নেয় আশালতা। “অনেক রাত হয়েছে শুয়ে পড় মা।” বলেই বালিশে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে নেয় আশালতা। হাফসা বেগমও মেয়েকে অনুসরণ করে শুয়ে পড়েন। আস্তে আস্তে কোমল হাতে মেয়ের চু*লে বি*লি কে*টে দিতে থাকেন তিনি। এত বড় শো*ক সেই সামলাতে পারছেনা। তবে তার মেয়ের মনের মাঝে কেমন দ*হ*ন চলছে? ভাবতেই শি*উ*রে ওঠেন হাফসা বেগম।

সকালে আশরাফ মোল্লা স্কুলে চলে যান তখনই মারজানা সুযোগ বুঝে আশালতার শাশুড়িকে কল দিয়ে সব কথা জেনে নেয়। ক্ষু*ব্দ হয়ে ওঠে সে।
চি*ল্লা*চি*ল্লির আওয়াজে ঘর হতে বের হয়ে বারান্দায় চলে আসে হাফসা বেগম ও আশালতা।
-কি হইছে বড় বউ সকাল সকাল এমন গলা ছে*ড়ে চে*চা*মে*চি করছো কেন? (হাফসা লতা)
-এই মহা*রা*ণী যে শশুড় বাড়ি থেকে বি*তা*ড়ি*ত হইয়া আমাগো ঘা*ড়ে আইসা জু*ট*ছে সেই খবর কি রাখেন? আশার হাবভাবে স*ন্দে*হ হওয়াতে ওর শশুড়বাড়ি কল দিছিলাম। সেইখান দিয়ে জানতে পারি আশারে বাইর কইরে দিছে। ওর স্বামী নাকি কিছুদিন বাদেই ডিভোর্স লেটার না কি কয় তাই পাঠাইয়া দেবে। নিজের কপাল পু*ড়া*ই*য়া যে আমাগো ঘা*ড়ে আইসা জু*ট*ছে ওরে এখন টা*ন*বে কেডা? আশরাফের যা কামাই তাতে আমরাই ঠিকঠাক মতন চলতে পারিনা। আবার যদি আরেকটা আইসা জো*টে। এমন চে*হা*রা*র মাইয়ারে নিয়ে যে অমন একখান ছে*ম*রা তিন বছর সংসার করছে তাই কতো! (মারজানা)
বড় ভাবির এমন কথায় হা হয়ে তার দিকে চেয়ে থাকে আশালতা। হাফসা বেগম রীতিমতো রা*গে চো*খ বুজে নিজে শান্ত করবার জন্য।
-বড় ভাবি এইসব কি কও তুমি? মেয়েটার এমনিই যেই বিপদ যাচ্ছে তার ওপর একজন মেয়ে হয়ে কিভাবে তুমি এইসব কও? র চে*হা*রা*র ব*ড়া(ই করো? একটা বয়স হইলে এই চে*হা*রা আর তখন থাকেনা ভাবি। মানুষরে মানুষ হিসেবে গণ্য করতে শেখো।
কথাগুলো বলতে বলতে বারান্দায় এসে দাঁড়ায় আশালতার ছোট ভাইয়ের বউ নিপা।
-একটু বেশি বইলা ফেললি না ছোট? (মারজানা)
-একদম না বড় ভাবি। তোমাদের যদি আশারে দেখতে এতই জ্বা*লা অনুভূত হয় তবে আমিই দেখব আশারে যাও। এইবার দয়া কইরা থামো তুমি। মানুষ জড়ো কইরোনা ভাবি। আশা চোখের পানি মু*ই*ছা আমার সাথে চলতো। (নিপা)
আশাকে নিয়ে নিপা নিজেদের বাড়ির দিকে যায়। আশালতা ভাবে ,”একবার কি সে তার ছোট ভাবির ফোন হতে সাদকে কল দেবে?” পরক্ষণে মনের সাথে যু*দ্ধ করে ইচ্ছাকে মাটি চা*পা দিয়ে দেয় আশালতা। কিছুতেই সে আর সাদকে কল দেবেন। কোনো ভাবেই আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে না সে।
দুপুর গড়াতেই এই খবর চারপাশে ছ*ড়ি*য়ে পড়ে।
“শুনলাম তোর স্বামী নাকি তার আগের প্রেমিকারে বিয়া করবে বলে তোরে ডিভোর্স দিয়া দেব? আহারে তোর জন্য ম্যা*লা ক*ষ্ট হইতেছে আশা। রূপ যদি না থাকে তাইলে কেমনে স্বামীরে আ*চ*লে বা*ই*ধা রাখবি বল?” পাশের বাড়ির চাচীর কথায় ক্ষু*ব্দ হয়ে উঠে আশালতা বলে ওঠে,
-কিভাবে নিজের মেয়ের বয়সি একটা মেয়েকে এভাবে ছোট করতে পারেন চাচী? আপনার নিজের মেয়েরই তো দুই বিয়ে। নিজের মেয়ের ক*ষ্ট বোঝেন। অথচ অন্যের মেয়ের ঘর ভা*ঙ্গা*র ক*ষ্ট টুকু উপলব্ধি করতে পারেন না চাচী? দুঃ*খি*ত আমি এমন কথা বলতে চাইনি কিন্তু আপনার মানসিকতাই আমাকে মুখ খু*ল*তে বাধ্য করল চাচী। আমাকে আমার সৃষ্টিকর্তা বানিয়েছেন অনেক যত্নে। আর আমি জানি আমি সুন্দর। মনের চ*ক্ষু খু*লু*ন চাচী অ*ন্ধ*কা*র পর্দা সরে যাবে। তখন আর গায়ের রং দিয়ে সৌন্দর্য বিচার করতে ইচ্ছে হবেনা।
চলবে…
আফিয়া অন্ত্রীশা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here