অপরাধ,পর্ব: 2
লেখক : Rimon
তাই আমি চলে আসলাম।
হাতে যে টাকা ছিলো তা দিয়ে একটা বাসের টিকিট কিনলাম।
আর মনে মনে ঝুমুর প্রতি রাগ হচ্ছে।
ও যদি আমার প্রপোজ এ রাজি হয়ে যেতো।
তাহলে আর আমার পরিবারের থেকে আলাদা হওয়া লাগতো না।
এখন ওর প্রতি একটা ঘৃণা কাজ করছে।
বাস এসে থেমে গেলো চার দিকে অন্ধকার।
আমি বাস থেকে নেমে হাটা ধরলাম।
কোথায় এসেছি আমি নিজেও বলতে পারিনা।
কিছু দুর যেতেই একটা বিকট শব্দ শুনলাম।
গিয়ে দেখি একটা গাড়ি এক্সছিডেন্ট করেছে।
ভালো করে দেখলাম এটা পুলিশের গাড়ি।
গাড়িতে যারা ছিলো সবাই আহত হয়েছে।
আমি গাড়িটার ভিতর ডুকে অনেক কষ্টে গাড়িটাকে রাস্তায় আনলাম।
তারপর গাড়িটা চালাতে লাগলাম কিছু দূর যেতেই অনেক দোকান দেখলাম সেখানের একজন জিজ্ঞেস করে জানলাম আরেকটু দূরেই একটা হাসপাতাল আছে।
আমি গাড়ি চালিয়ে সেখানে গিয়ে পুলিশ দের এডমিট করালাম।
সারারাত সেখানেই ছিলাম।
সকালে খুব খিদে পেয়েছে।
তাই বাইরে এসে কিছু খেয়ে নিলাম।
পকেট এর টাকাও প্রায় শেষ।
আর দুই তিন দিন এর মতো চলবে।
হাসপাতালে এসে শুনলাম সবাই এখন বিপদ মুক্ত।
বিকালে তিন জনার জ্ঞান ফিরবে আর বাকি দুইজনের রাতে বা সকালে জ্ঞান ফিরবে।
গাড়িতে মোট 5 জন ছিলো।
দেখতে দেখতে বিকাল হয়ে গেলো তিন জনার ই জ্ঞান ফিরলো।
ডাক্তার এসে বললো আমাকে নাকি তারা ডাকছে।
আমি ভিতরে গেলাম।
প্রথম পুলিশ : বাবা তোমাকে কি করে যে ধন্যবাদ দেই বলে বোঝাতে পারব না
আমি : না স্যার আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবেন না।
এটা আমার কর্তব্য ছিলো।
পুলিশ অফিসার : আমাকে স্যার বলতে হবেনা আংকেল বলেই ডেকো।
আমি : আচ্ছা
আংকেল : তা কি করো তুমি।
আমি : কিছুই করিনা একটা কাজ খুজতেছি।
আংকেল : তা তোমার বাবা কি করে।
আমি : আমি এতিম আমার বাবা মা নেই।
{ মিথ্যা বললাম }
আংকেল : তা পড়ালেখা করেছো।
আমি : জী আংকেল। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার পযর্ন্ত পড়া লেখা করেছি।
আংকেল : পুলিশ এর চাকরি করবে।
আমি : হুম। কিন্তু পুলিশ এর চাকরি আমি পাবো।
আংকেল : হুম। পাবে আমি তোমার জন্য সুপারিশ করবো।
আমি : ধন্যবাদ আংকেল।
আংকেল; ধন্যবাদ দিতে হবেনা।
তারপর আংকেল এর সহযোগিতায়।
আমি পুলিশ এর চাকরি পাই।
নতুন চাকরি খুব ভালো ভাবেই পালন করেছি ।
দেখতে দেখতে 5 বছর চলে গেলো।
আজ সকালে
আমি : স্যার আসতে পারি।
স্যার : হুম আসুন।
আমি : স্যার আমাকে ডেকেছেন।
স্যার : হুম। রিমন সাহেব।
আপনাকে বদলি করা হয়েছে।
আমি; কোথায় বদলি করা হয়েছে স্যার।
স্যার : আপনাকে বরিশাল থানায় বদলি করা হয়েছে।
আর 2 দুই দিন পর আপনি সেখানে জয়েন করবেন।
আমি : ওকে স্যার।
তাহলে আমি আমি যাই স্যার।
স্যার : হুম।
তারপর স্যার এর রুম থেকে চলে এলাম।
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো
যেতে যাই নি আর ওই শহরে।
রেডি হয়ে পাড়ি জমালাম সেই চেনা শহরে
বতর্মান
আপনাদের অতিত বলতে বলতে বরিশাল এসে পড়েছি।
ব্যাস থেকে নামলাম তারপর একটা বাসা বাড়া করলাম।
সারাদিন বাসাটা নিজের মতো গুছিয়ে নিলাম।
এখন রাত 8 টা
কেউ কলিং বেল বাজাচ্ছে।
দরজা খুলে দেখি।
একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে।
মেয়েটা : আপনি তাহলে নতুন বাড়াটিয়া।
আমি : হুম। কিন্তু আপনি কে?
মেয়েটা: আমি বাড়ি ওলার মেয়ে।
আমি : ওহ
মেয়েটা : আপনাকে বাবা রাতে খাবার জন্য ডেকেছে।
আমি : সমস্যা নেই বাইরে থেকে খেয়ে আসবো।
মেয়েটা : আজ প্রথম তাই আমাদের বাড়িতে খাবেন।
তারপর নিজে রান্না করে বা বাইরে থেকে খেয়ে আসেন কোনো সমস্যা নেই।
আর এখন খেতে চলুন।
আমি : হুম চলুন।
মেয়েটা : আপনার নামটা তো জানা হলো না।
আমি : জী আমার নাম রিমন। আপনার নাম।
মেয়েটা : নিলা
আমি : খুব সুন্দর নাম আপনার।
নিলা : সেটা আমি জানি আপনাকে বলতে হবেনা।
আমি : আমি আপনি এমন করে কথা বলছেন কেন?। একটু সুন্দর করে কথা বলতে পারেন।
নিলা : তা কি রকম করে কথা বলবো।
ওগো শুনছো। এমন করে বলবো।
আমি : কি আপনাকে এমন করে বলতে বলেছি।
একটু ভালো করে বললেই হবে।
তারপর নিলা বললো
আমি : একটু ভালো করে কথা বললে কি হয়।
নিলা : আপনি কি আমার বয়ফ্রেন্ড যে আপনার সাথে ভালো করে কথা বলতে হবে।
আমি : বয়ফ্রেন্ড না। তবে বন্ধু হতে পারি।
নিলা : না।
আমি : কেন?
নিলা : আমার বয়ফ্রেন্ড মানা করেছে।
আমি : আপনার বয়ফ্রেন্ড আছে।
নিলা : না থাকলে কি। লাইন মারতেন।
আমি : না এমনি জিজ্ঞেস করলাম।
নিলা : আমার বিষয়ে কিছু না জিজ্ঞেস করলেই খুশি হবো।
আমি : আচ্ছা।
তারপর নিলাদের বাড়িতে গেলাম।
নিলার বাবা : তা বাবা তোমার বাড়ি পছন্দ হয়েছে।
আমি : হুম আংকেল। খুব সুন্দর আপনাদের বাড়ি।
আংকেল : তা কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলো।
আমি; আচ্ছা।
তারপর নিলাদের বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া শেষ করে চলে এলাম।
নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়লাম।
পরেরদিন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে থেকে নাস্তা করে নিলাম।
কাল জয়েন করবো তাই আজ একটু ঘুরলাম।
এখন এসেছি।
সেই চিরচেনা পার্কে
অনেক বা বন্ধুদের সাথে এখানে এসেছি।
হঠাৎ চোখ গেলো একটা বেঞ্জ এর দিকে আমার ফ্রেড আশিক একটা মেয়ের সাথে বসে আছে।
মেয়েটা চিনিনা।
আশিক এর বউ হবে হয়তো।
5 বছর চলে গেছে বিয়ে করে নিয়েছে মনে হয়।
[ গল্পের আসল লেখক : Rimon }
হঠাৎ ও আমার দিকে তাকালো কিছুক্ষণ তাকানোর পর।
আমার কাছে এসেই আমাকে মারা শুরু করে দিলো।
আশিক : শালা 5 বছর পর বন্ধুদের কথা মনে পড়লো।
কোথায় গিয়েছিলি তুই। জানিস তোকে কত যায়গা খুজেছি।
তোদের বাড়িতেও গিয়েছি।
কিন্তু তর বাবা বলেছে তুই কোথায় গিয়েছিস তা জানেনা আর তার সাথে তোর কোনো সম্পর্ক নেই।
কি হয়েছিলো যে 5 বছর আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখলি না।
আর তোর বাবা ওই কথা বললো।
আমি : পরে একসময় বলবো।
আশিক : আচ্ছা।
তখনি আশিক এর সাথের মেয়েটা আমাদের কাছে এসে বললো।
মেয়েটি : আপনি কি? রিমন ভাইয়া।
আমি : হুম।
মেয়েটি : আপনার কথা আশিক এর মুখ থেকে অনেক শুনেছি।
আমি : ওও।
আশিক : দোস্ত এই হলো আমার বউ তিসা।
আমি : শালা আমাকে না বলেই বিয়ে করে ফেললি।
আশিক : শালা তোকে বলবো কেমনে।
তুই আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখিস নাই।
আমি; তুই যাই বলিস না কেন?
তর বিয়ে খেতে পারিনি তাই এখন তুই ট্রিট দিবি।
তিসা: চলেন ভাইয়া আজ আপনাকে আমি খাওয়াবো।
আমি : তুই না খাওয়ালে কি হবে দোস্ত ভাবি তো খাওয়াবে।
আশিক : তাতে কি হবে দোস্ত নাম তোর ভাবির হবে কিন্তু বিলতো আমাকেই দিয়ে হবে।
আমি : হুম চল অনেক দিন তোর পকেট ফাকা করিনা।
আজ করবো।
আশিক : কি আর করার চল।
তারপর আশিক ট্রিট দিলো।
অনেক কথা হলো আশিক এর সাথে তারপর আশিক চলে গেলো।
আমি নদীর পারে এলাম।
হঠাৎ আমি যাকে দেখলাম তাকে আমি
এখানে দেখবো আশা করিনি।
চলবে