অনুভুতির মায়ার খেলা পর্ব ৫

0
506

#অনুভুতির_মায়ার_খেলা_(৫)
#সায়ারা_জাহান_লেখায়।

সিয়ামের এই কাজে হা করে তাকিয়ে আছে সায়ারা। আজ সিয়ামের কি হলো সে সোজা সায়ারার কোলে মাথা রাখলো। সায়ারা এক হাত দিয়ে সিয়ামের মাথা ঠেলে নিচে নামানোর চেষ্টা করতে লাগলো। সিয়াম রে’গে গেলো এমন কাজে সায়ারার। সে উঠে দাঁড়িয়ে সায়ারা কে বিছানার সাথে আ’ট’কে ধরলো। সায়ারার পু’রো মুখ জুরে আ’ত”ঙ্কে”র ছাপ স্পষ্ট । সায়ারা কিছু বলতে পারছে ভ’য়ে তার হাত পা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। কাপছে সায়ারা সেই সাথে সায়ারার ঠো’ট ও কেপে কেপে উঠছে। সিয়ামের যা দেখে নিজেকে সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে। সিয়াম আজ ড্রিংক করে বাসায় ফিরেছে, মা’তা’ল অবস্থায় ও তার সাথে সায়ারা পেরে উঠছে না।

– আমাকে ছে’ড়ে দিন সিয়াম ভাই কি করছেন আপনি।

– তুই বার বার আমাকে ভাই বলে ডাকিস কেনো? আমি তোর ভাই তোর মা আর আমার বাপ পালিয়ে বিয়ে করেছে এটা তো আর নিজের চোখে দেখি নাই তাই আমরা ভাই বোন না।

– সেই হিসেব পড়ে সিয়াম ভাই আপনি আমার খালাতো ভাই লাগেন আগে। এখন সরুন না হয় আমি খালাকে ডাকতে বাধ্য হবো৷
– তুই এরো দে’মা’গ পাস কই হ্যাঁ সুন্দরী দেখে এতো দেমাগ আসে না তাই না। আজ যদি আমি তোর এই দেমাগ ভা”ঙ্গ”তে না পারি তাহলে আমার নাম সিয়াম না।

– আপনাকে দেখে আমার সুস্থ মনে হচ্ছে না আমার ঘর থেকে এক্ষুনি বেরিয়ে যান আপনি।

সায়ারা কথা সিয়াম পাত্তা দিচ্ছে না শধু সায়ারাকে দেখেই যাচ্ছে। ড্রি’ং’ক করার কারনে সিয়াম নিজের মধ্যে নাই। সায়ারার প্রচন্ড ভয় করছে। ভয়ে মানুষের মস্তিষ্ক কাজ করেনা এটা তার প্রমান। সায়ারার এক হাতে ব্যান্ডেজ করা আর সেটা ডান হাত। মেয়ে মানুষ বাম হাত দিয়ে সিয়ামের মতো একজন কে কিভাবে সরাবে তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শেষে না পেরে সে আয়ানা কে ডাক দিলো ।

– আয়ানা আপু খালা কে কোথায় আছেন আমাকে বাঁ”চা”ন।

সিয়াম জলদি উঠে দরজা ভি’ত’র থেকে বন্ধ করে দিলো। সায়ারার থেকে তার ওড়না কে’ড়ে নিয়ে সায়ারার মুখ বে”ধে দিলো। সায়ারার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়তে লাগলো। আজ সত্যিই সায়ারার ভয় করছে এই সিয়াম কে সে মনে মনে আল্লাহ কে ডাকছে তাকে বাঁ’চা’তে৷ আয়ানা আপু আর খালা আমার ডাক শুনে জলদি আমার রুমের দরজার সামনে এসে দরজায় নক করতে লাগলো।

– কি রে সায়ু এইভাবে ডাকলি কেন পিচ্চি দরজা খোল।

আয়ানা আপুর ডাকের সা’রা দিতে গিয়ে শুধু মুখ থেকে অদ্ভুদ আওয়াজ বের হচ্ছে অস্পষ্ট বে’ধে রাখার জন্য৷ আয়ানা এবার চিন্তিত মেয়েটা এভাবে ডাকার পড়ে এখন দরজা খুলছে না কেন।ওর তো দরজা বন্ধ করে ঘুমানোর কথা না। খালা এবার আয়ানা কে বুঝানোর চেষ্টা করলো।

– আয়ানা চিন্তা করিস না মা ও মনে হয় ঘুমের মধ্যে ডেকেছে হাতের ব্যাথায়। দেখছিস না এতো ডাকা ডাকি করছিস ও খুলছে না।

– আমার তো তেমন মনে হচ্ছে না ফুপি মাত্রই ও কে আমি এখানে রেখে ফ্রেশ হতে আমার রুমে গেলাম। আমি আবার আসবো এটাও বলে গেলাম যা তে সে দরজা বন্ধ না করে রাখে সে এমন কেন করবে।

– ভুলে হয়তো করে ফেলছে।

– এই সায়ু দরজা খোল বোন কি হইছে তোর?

আয়ানা দরজায় বা’রি দিয়ে ডাকছে সায়ারা কে কিন্তু সায়ারা কিভাবে খুলবে। সিয়াম যে সায়ারার হাত উলটো করে পিঠের কাছে ধরে রেখেছে। সায়ারার ব্যা”থা যায়গায় ব্যা”থা পাচ্ছে চাপের কারণে অই ক্ষ”ত”স্থা’ন হতে @র”@ক্ত বের হচ্ছে। সিয়াম সায়ারার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে রেখেছে। সায়ারার শ’রী’রে’র এই আলাদা ঘ্রান তার কাছে মা’দ’ক’তার কাজ করে। সায়ারার ঘৃনায় লজ্জায় চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। সায়ারাকে সিয়াম নিজের দিকে ঘুরিয়ে ধীরে ধীরে সায়ারার জামার দিকে হাত বারাচ্ছে। কি হতে যাচ্ছে ভেবেই সায়ারা চোখ খিচে বন্ধ করে আল্লাহ কে ডাকতে লাগলো। সিয়াম সায়ারার জামার ফিত ধরেছে তখন এই কেউ দ’র’জা’য় লা”ত্থি দিয়ে ভা”ঙ্গা’র চেষ্টা করছে। বাসায় ওর মা আর আয়ানা আছে মনে হতেই তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো মেয়ে মানুষ আর কি বা করতে পারবে। সিয়ামের ধারনা কে ভুল প্রমান করে দিয়ে শেষের লা’থি’তে দরজার ছিটকিনি ভে’ঃঙ্গে সেখানে প্রবেশ করলো ডাক্তার অর্ক আয়ানা আর ও সিয়ামের মা। সবাই এমব অবস্থা দেখে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাকশক্তি যেনো সবার লোপ পেয়েছে। আয়ানা তাড়াতাড়ি সিয়ামের থেকে সায়ারা কে ছা’ড়ি’য়ে আয়ানার মুখ থেকে ওড়না খুলে দিলো। ওড়না এবার নিজের সাথে ভালোভাবে পেচিয়ে আয়ানা কে ধরে কেদে দিলো সায়ারা। অর্কের রা/গে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সিয়ামের কলার ধরে সামনে এনে সিয়ামের গা*লে নিজের শ’রী’রে’র সব শ’ক্তি প্রয়োগ করে @চ@র লাগিয়ে দেয়। অর্কের হাতের মা’ই/র সাম্লাতে না পেরে সোজা বিছানায় গিয়ে পরে যায়। সিয়ামের মা ছেলেকে মারায় রে**গে যায়।

– কোন সাহসে তুমি আমার ছেলের গায়ে হা@ত দিলে?

– লজ্জা করে না এতোকিছুর পড়েও ছেলের সাইড নিয়ে কথা বলেন৷ আপনি না একজন মেয়ে তাও কিভাবে একজন মেয়ের সাথে এত খারাপ কাজ করার চেষ্টা করার পড়েও ছেলের হয়ে কথা বলছেন?

– চেষ্টা করছে কিছুতো করে নাই। পুরুষ মানুষ একটু নে**শা টেশা করছে ভুলে হয়ে গেছে তা নিয়া তুমি বারাবাড়ি করার কে? আমার বাড়িরতে এসে সিনক্রিয়েট করছো?

সিয়ামের মায়ের কথায় উপ্সথিত সবাই হতভম্ব হয়ে যায়। একজন মানুষ হিসেবেও সে ব্যার্থ।৷ আয়ানা এবার নিজেকে কান্ট্রোল না করতে পেরে বললো।

– সরি টু সে ফুপ্পি আপনি আপনার ছেলেকে শিক্ষা দিতে ব্যার্থ নাকি এমন ভাবেই শিক্ষা দিয়েছেন।

– মুখ সামলে কথা বলো আয়ানা আমি তোমার ফুপি লাগি আর তোমার বড় ওম

– আমি তো ভালোভাবেই বললাম আপনি আপনার ছেলেকে সামলান।

সিয়াম উঠে এসে অর্কের সামনে দাঁড়িয়ে বললো।
– আমার গায়ে হা@ত তুলে কাজ টি ভালো করলি না তুই। তোর এতো বড় সাহস আমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে আমাকে অপমান?

– তোর ভাগ্য ভালো আমি এখোনো চুপ আছি একবার আমি কথা বলা শুরু করলে পালানোর পথ পাবিনা সিয়াম। আয়ানা তোর লাগেজ নিয়ে আয় আমরা এখুনি বাড়িতে ফিরবো।

অর্কের কথায় সিয়াম আর ওর মা ভাবে অর্কের সাথে আয়ানা কোথায় যাবে।

– তোমার সাথে এতো রাতে আয়ানা কোথায় যাবে?

– সে টা আপনার না জানলেও চলবে আমি আয়ানা কে কোথায় নিয়ে যাবো।

– আমার ভাতিজি কে কোথায় নিয়ে যাবে সে টা আমি জানবো না। তুমি কে ও কে নিয়ে যাওয়ার।

– আমার ছোট বোন কে আমি আমার বাসায় নিয়ে যেতেই পারি তা ও যেকোনো সময় তার কৈফিয়ত তো আমি আপনাকে দিবো না।

অর্কের মুখে বোন শুনে সবাই অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে। এবার খালা শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো.

– তুমি সায়ান?

– হ্যাঁ আমি সায়ান মাহমুদ অর্ক, আয়ানার বড় ভাই আর বা কি কোনো কথা আপনাকে বলত্ব বাধ্য নই।

সায়ানের পরিচয় শুনে সায়ারা শুধু সায়ানের চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে অবাক হয়ে। এটাই তার সেই সায়ান ভাই যার জন্য সে অপেক্ষা করেছিলো৷ এই কি সেই সায়ান হস্পিটালে যা কে দেখে সায়ানের কথা মনে হয়েছিলো। কিন্তু তা কে হসপিটালে থাকাকালীন কেনো বললো না সেই তার সায়ান ভাই৷

..চলবে.?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here