#অতঃপর_তুমি
#পর্ব-৪১
Writer: ইশরাত জাহান সুপ্তি
৫১.
রাত আটটা ছাপ্পান্নো।বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে আছি আমি।আর ঘরের এ মাথা থেকে ও মাথায় চিন্তিত মুখে পায়চারি করে চলেছে অভ্র।তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে কপালে হাত দিয়ে একটি জোরে নিঃশ্বাস ছাড়লাম।বললাম,
‘হয়েছে?’
‘অরু,এখন কিন্তু হেলাফেলা করার সময় না।এখন খুব রিস্কি একটা সময়।বিছানা ছেড়ে আমায় ছাড়া এক পাও নড়বে না।কোথাও যেতে হলে আমায় বলবে আমি ধরে নিয়ে যাবো।বুঝেছো?’
‘অনেক বুঝেছি।এবার আপনি এখানে বসুন।’
উনি চিন্তিত মুখ নিয়েই আমার পাশে বসে পড়লেন।উনার কপালের ঘাম আমার ওড়না দিয়ে মুছে দিয়ে বললাম,
‘ইশ!কি অবস্থা করেছেন নিজের।আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে প্রেগন্যান্ট আমি না আপনি।’
হুট করে পেটের ভেতর ব্যাথা করে উঠলো।আমি ‘আহ!’ করে উঠলাম।অভ্র উদ্বিগ্ন মুখে বলে উঠলো,
‘কি হলো লেবার পেইন উঠেছে?হাসপাতালে নিয়ে যাবো?’
‘আপনার মাথা!বাবু পেটে কিক মেরেছে।আমার কথা যে সত্যি তাই বুঝাতে চাইছে।বাবুও বুঝতে পেরেছে তার বাবা শুধু শুধু টেনশনে মরছে।’
উনি খুশি হয়ে আমার পেটে হাত রেখে তার গাল লাগিয়ে বললেন,
‘আমার বাবাটা!বাবার গালে আরেকটা কিক মারো তো।’
উনার কান্ড দেখে আমি হাসতে লাগলাম।বাবু পেটে আবারো কিক মারলো।অভ্র খুশি হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো।
‘অরু,আমাদের বাবু কি বড় হয়ে ফুটবলার হবে নাকি!কি জোরে কিক মারে দেখেছো?’
আমি হেঁসে পেটের দিকে তাকিয়ে বললাম,
‘তোর বাবা আমাকেই সবসময় ভীতু বলে অথচ নিজেই বড্ড ভীতু।আরো কয়েকটা কিক মেরে তার ভয়টাকে ভাগিয়ে দাও তো সোনা।’
‘এই তুমি কি শিখাচ্ছো আমার বাবু কে?বাবু,আম্মুর কথায় একদম কান দিবে না।বাবা অনেক সাহসী।ভীতুর ডিম তো তোমার আম্মু।’
তারপর আমার পেটের কাছে ঝুঁকে তিনি ফিসফিস করে বললেন,
‘জানো,এখনো ভূতের ভয় পায়।’
আমি মুখ ফুলিয়ে বললাম,
‘এই বলা হচ্ছে আমার নামে!যান আপনার সাথে আমি আর কথা বলবো না।’
উনি কানে হাত দিয়ে বললেন,
‘আচ্ছা আচ্ছা স্যরি।’
‘এখন যদি ফ্রিজ থেকে এক বাটি আইসক্রিম এনে খাওয়ান তবে কথা বলার ব্যাপারটা পুনরায় ভেবে দেখতে পারি।’
‘ওকে ফাইন।’
উনি আমার পেটে একটি চুমু দিয়ে ফিসফিস করে বললেন,
‘তোমার মাকে এখন রাগানো ঠিক হবে না।একবার বাইরে বের হয়ে আসো জুনিয়র তারপর আমরা দুজন মিলে আম্মুকে ক্ষ্যাপাবো।আম্মুর এমন আরো অনেক অদ্ভুত দিক আছে।’
আমি মুচকি হেঁসে তার কান্ড দেখতে লাগলাম।উনি বললেন,
‘আমি যতক্ষণ না আসি নিচে কিন্তু নামবে না।’
আমি হেঁসে বললাম,
‘আচ্ছা।’
‘আমি যাবো আর আসবো।নামবে না কিন্তু নিচে।’
‘আচ্ছা বাবা!নামবো না।’
উনি আমার কপালে একটি চুমু দিয়ে চলে গেলেন।বাইরে হুট করেই প্রচন্ড হাওয়া বইতে লাগলো।মনে হচ্ছে ঝড় হবে।জানালার খোলা কপাট জোড়া বারবার একটির সাথে আরেকটি বাড়ি খাচ্ছে।প্রবল বাতাসে ঘরে থাকা আধো পানির ছিপি খোলা বোতলটা টি টেবিল থেকে পড়ে গেলো।সেই অল্প পানি মেঝেতে পড়তেই যেনো অনেক হয়ে গেলো।সোফার উপরে থাকা ফোনটা কতক্ষণ ধরে বেঁজে চলেছে।উনার আসতে এতো দেরি লাগছে কেনো কে জানে!আস্তে আস্তে বিছানা থেকে পা নামিয়ে আমি এগিয়ে গেলাম।এতো রাতে ফোন করেছে হয়তো কোনো জরুরী কল হবে।সোফা থেকে ফোনটা হাতে নিতেই অভ্র নিচ থেকে চেঁচিয়ে উঠলো,
‘অরু আমি আসছি।তুমি কিন্তু নিচে নেমো না।’
আমি দরজার দিকে তাকিয়েই মৃদু হেঁসে ফোনটা কানে ধরে সামনে এক কদম এগোতেই হঠাৎ সেই পানিতে আমার পা পিছলে গেলো।সোফায় হাত দিয়ে আমি ঠেকাতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না।তার আগেই মেঝেতে পিঠ ঠেকে পড়ে গেলাম।সোফায় হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টায় বেশি জোরে পড়ে যাই নি।কিন্তু এতোটুকুতেই যেনো ভেতরে কোনো বিরাট পরিবর্তন হয়ে গেলো।হঠাৎ ঢেউয়ের মতো পেটে একটি ব্যাথা উঠে থেমে গেলো।ব্যাপারটা এতো দ্রুত ঘটে গেলো যে কোনো চিৎকারও আমার মুখ দিয়ে বের হলো না।হঠাৎ ই একটি হিমশীতল স্রোত আমার শিরদাঁড়া বেঁয়ে নেয়ে গেলো।পেটে হাত দিয়ে একটি অজানা আশঙ্কায় আমার মাথা ঘুরে উঠলো।চোখ ঝাপসা হয়ে এলো।সেই ঝাপসা চোখেই শুধু দেখতে পেলাম অভ্র চিৎকার করে দৌঁড়ে আমার দিকেই আসছে।হাত থেকে আইসক্রিমের বাটি নিচে পড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।তার চোখ টলমল করছে।
বন্ধ চোখ খুলতেই নাকে ফিনাইলের কটু ঘ্রাণ ভেসে এলো।আশেপাশে বিভিন্ন চিকিৎসার যন্ত্রপাতি।বাইরে থেকে বজ্রপাতের ভয়ংকর শব্দ আসছে।আমি শুয়ে আছি একটি ছোট্ট সাদা বিছানায়।আমার বুঝতে আর বাকি রইলো না আমি হাসপাতালে আছি।একটা হাত পেটে নিয়ে দেখলাম পেটটা এখনো উঁচু অথচ নিথর হয়ে পড়ে আছে।ভেতর থেকে কোনো নড়াচড়ার আভাস পাচ্ছি না।উদ্বিগ্ন হাত পেটে বুলিয়ে আমি অস্থির হয়ে ভাবতে লাগলাম একটু আগেও তো কেমন অন্য রকম ছিলো।একটু পরপরই বাবু কিক মারছিলো তাহলে এখন এমন নিশ্চুপ হয়ে আছে কেনো?আমার পাশে কেউ নেই।কিছু চেনা স্বরের আওয়াজ দরজার বাইরে থেকেই আসছে।বুঝতে পারলাম তারা বাইরেই আছেন।কাউকে যে ডাকবো কেনো যেনো গলা দিয়ে কোনো আওয়াজই বের করতে পারছি না।উঠে যাওয়ার মতো কোনো শক্তিও নেই।বিছানা বালিশ হাতরে হুতরে হঠাৎ চোখ পড়লো আমার বিছানার পাশের ছোট্ট টেবিলে অভ্র’র মায়ের ফোন।হাত বাড়িয়ে খুব কষ্টে তা নিজের কাছে নিয়ে অভ্র’র কাছে ফোন করলাম।একবার বাঁজলো ধরলো না।দ্বিতীয়বার বাজতেই ফোনটা রিসিভ হয়ে গেলো।কিন্তু অভ্র’র কোনো আওয়াজ শুনলাম না।শুনতে পেলাম রাজিয়া অ্যান্টির গলা।তিনি বলছেন,
‘বাচ্চার কোনো রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছে না।হার্টবিটও কমে গেছে।বাচ্চাকে যদি বাঁচানোর চেষ্টা করি তবে অরুর লাইফের অনেক বড় রিস্ক নিতে হবে।যেকোনো একজনকেই বাঁচানোর চেষ্টা করা যাবে।তবে অরুকে যদি বাঁচাতে চাই তবে ও বেঁচে যাবে।কিন্তু বাচ্চাকে বাঁচাতে চাইলে অরুর লাইফের সাংঘাতিক রিস্ক তো আছেই তার উপর বাচ্চাকে শেষমেশ বাঁচাতে পারবোও কিনা আমরা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারছি না।’
এতটুকু শুনেই আমার হাত আলগা হয়ে গেলো।হাত থেকে ফোনটা বিছানা থেকে গড়িয়ে নিচে পড়ে গেলো।সেই শব্দেই সবাই দ্রুত ভেতরে চলে এলেন।আমার মা,বাবা,শ্বশুড়,শ্বাশুড়ি,অভ্র,দুলাভাই,
আরিশা আপু সবাই।আমি হঠাৎ কাঁদতে শুরু করে দিলাম।এতোটা কষ্ট হচ্ছিলো!কেনো আমি তখন নিচে নামতে গেলাম।উনি বারবার আমায় বারণ করেছিলেন।আজ আমার নিজের দোষের কারণে আমার বাচ্চাটা….!
আমার মা এসে হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে দিতে দিতে বললেন,
‘ছি!মা এভাবে কাঁদে না।’
আমি কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে বললাম,
‘আমার বাচ্চা মরে যাচ্ছে আর আমি কাঁদবো না!’
আমার কথা শুনে সবাই একটু অবাক হলেন যে আমি জানলাম কিভাবে।দুলাভাই নিচ থেকে অভ্র’র মায়ের ফোনটা তুলে দেখালেন।অভ্র নিজের হাতের ফোনের দিকে তাকিয়ে ও শিট! বলে উঠলো।
রাজিয়া অ্যান্টি বললেন,
‘হাতে সময় খুব অল্প।যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে।সবাই কি ভেবে দেখলেন?’
এবার অভ্র মুখ খুললো।পেছন থেকে সামনে এগিয়ে এলো।তাকে দেখতে পুরো বিধ্বস্ত লাগছে।তিনি বললেন,
‘এতে আবার ভাবাভাবির কি আছে।অ্যান্টি আপনি অরুকেই বাঁচাবেন।’
আমি চিৎকার দিয়ে বলে উঠলাম,
‘না।আমার বাবুকে বাঁচান।আমার জন্যই আমার বাবুর এই অবস্থা।আপনারা আমার বাবুকে বাঁচান।’
রাজিয়া অ্যান্টি বললেন,
‘অরু,আমার মনে হয় না এটা ঠিক হবে।তোমার লেবার পেইন উঠছে না।মেডিসিন দিয়ে লেবার পেইন আনতে হবে।খুব যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে।তোমার বয়স অল্প।এতোটা কষ্ট তোমার শরীর নিতে পারবে না।যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে তার উপর যার জন্য এতোকিছু করবে তার বাঁচার চান্সও খুব কম।’
‘অ্যান্টি এক পার্সেন্ট চান্স হলেও আপনি চেষ্টা করুন।অ্যান্টি আমার বাচ্চাটাকে বাঁচান।প্লিজ অ্যান্টি অামি আপনার পায়ে পড়ি।’
দেখা গেলো কেউ আমার কথায় রাজি না।তারা আমাকেই বাঁচাতে চান।আর আমাকে বাঁচাতে গেলে বাচ্চাকে মরতে হবে।
আমি রাজিয়া অ্যান্টির হাত ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললাম,
‘অ্যান্টি আপনারও তো বাচ্চা আছে।আপনি কখনো চাইবেন নিজের বেঁচে থাকার পরিবর্তে বাচ্চাকে মেরে ফেলতে।বলুন,কোনো মা কি কখনো চায়!মা তুমি কি কখনো চাইবে নিজের জন্য আমাকে মেরে ফেলতে?’
অভ্র’র মায়ের দিকে তাকিয়ে ঝরঝর করে কাঁদতে কাঁদতে বললাম,
‘মা,আপনি বলুন আপনি কখনো এটা করতে পারবেন?বলুন?তাহলে আপনারা আমাকে কেনো করতে বলছেন?শুধু মাত্র আমার বাচ্চাটা এখনো বাইরে আসে নি বলে তার কোনো কদর নেই?তার জন্য আপনাদের মায়া হচ্ছে না?সেও তো একটা প্রাণ।তাকে কেনো কোনো বাঁচানোর চেষ্টা করা হবে না।তাকে মেরে ফেলার কথা বলে আপনারা আমায় বাঁচাতে চাইছেন!এখন যদি আমার বাবু আমার হাতে থাকতো আর এমন একটা অপশন চুজ করতে হতো তাহলে আপনারা কখনো পারতেন এই কথা বলতে?’
সবাই তবুও এক কথাই বলতে লাগলো।আমি আর না পেরে রেগে চিৎকার করে বলে উঠলাম,
‘সবাই আমার থেকে দূরে সরুন।কেউ কাছে আসবেন না আমার।আপনারা সবাই স্বার্থপর।আমার বাচ্চার কথা কেউ ভাবছে না।’
কথাগুলো বলতে বলতে আমি চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে বলতে লাগলাম,
‘আমার বাচ্চা!আমার বাচ্চা!’
সেই ঝড়ের নিস্তব্ধ রাতে আমার বাচ্চা বলে চিৎকার করে কান্না সেখানে উপস্থিত সকলের চোখ ভিজিয়ে ছাড়লো।
রাজিয়া অ্যান্টি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
‘অরু,বোঝার চেষ্টা করো মা।আমার নিজেরই খুব ভয় লাগছে।তাছাড়াও তুমি তো আবারো কনসিভ করতে পারবে তাই না!’
‘হ্যাঁ জানি,আমি হয়তো আবারো কনসিভ করতে পারবো।আমি মা হবো,আমাকে অন্য কোনো বাচ্চা মা বলে ডাকবে।কিন্তু আমার এই বাচ্চাটা তো আমাকে মা বলে ডাকবে না।আমার এই বাচ্চাটা তো আর পৃথিবীর আলো দেখতে পারবে না।আমার এই বাচ্চাটার যেদিন হৃদস্পন্দন শুনতে পেয়েছিলাম আপনি দেখেছিলেন তো অ্যান্টি আমার কি আনন্দ হয়েছিলো।আজ সেই হৃদস্পন্দন শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না শুধু আমার কারণে।অভ্র,আপনিও একটা কথা জানেন না।মাঝে মাঝেই আমি সবার চোখের আড়াল হয়ে একা একা বসে জোরে জোরে কাঁদতাম।খুশির কান্না।আমি মা হবো,আমার কোলে একটি ফুটফুটে নিষ্পাপ বাচ্চা আসবে এই খুশিতে কান্না।মাঝে মাঝেই যখন মাঝরাত্রিতে আমার ঘুম ভেঙে যেতো আর উনিও ঘুমিয়ে থাকতেন তখন ক্লান্ত তাকে না জাগিয়ে আমি বসে বসে আমার বাচ্চার সাথে কথা বলতাম।আমার বাচ্চাটাকে আমি কতো কতো গল্প শুনিয়েছি!এই পৃথিবীর গল্প,সম্পর্কের বাঁধনের গল্প।আর আমার বাচ্চাটা আজ সেসব না দেখেই চলে যাবে।এতোটা পাষাণ আমাকে হতে বলবেন না।আমি এই পৃথিবীতে অনেক বেঁচেছি।অনেক কিছু দেখেছি,অনেক সুখ পেয়েছি,অনেক অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।আমার আর বাঁচার প্রয়োজন নেই।কিন্তু এই সুন্দর পৃথিবীটাকে আমার বাচ্চা এখনো দেখেনি।তার বাঁচার প্রয়োজন আছে।আমি আমার এই বাচ্চাটাকে বাঁচাতে চাই।আপনারা প্লিজ আমার বাচ্চাটাকে বাঁচান।’
নিজের বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য আমাকে আমার আপন মানুষদের কাছেই কেঁদে কেটে হাত জোর করে অনেক কাকুতি মিনুতি করতে হলো।একসময় অভ্র আমাকে থামিয়ে বলে উঠলেন,
‘ব্যস,এবার থামো।অনেক কথা বলে ফেলেছো।তুমি যা চাইছো সেটা কখনোই সম্ভব না।আমি তোমাকে নিয়ে একবিন্দুও রিস্ক নিতে পারবো না।’
আমি হঠাৎ কান্না থামিয়ে মুখ শক্ত করে বললাম,
‘আপনি যদি আমাকে তা না করতে দেন তবে আমি আজই এই হাসপাতালের ছাদ থেকে আমার বাচ্চা পেটে নিয়ে লাফ দিয়ে মরবো।’
যেই অভ্র আমার প্রেগন্যান্সির পর আমার গায়ে একটা ফুলের টোকাও লাগতে দেন নি সেই অভ্রই আমার এই কথায় সবার সামনে আমার গালে জোরে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিলেন।সবাই চমকে উঠে মুখে হাত দিলো। কিন্তু আমার মুখের কোনো ভাবান্তর হলো না।তিনি দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন আর যাবার সময় হাত দিয়ে দরজায় প্রচন্ড জোরে ঘুষি দিলেন।কারণ তিনি বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড়।
চলবে,
[আজকের পর্বটা লিখতে গিয়ে আমার চোখে পানি চলে এসেছে।]