সূর্যোদয় পর্ব ৩

0
140

#সূর্যোদয়
#পর্ব_০৩
#কারিমা_দিলশাদ

৪.
ঐশীর কথায় নিজের কথা বন্ধ করে অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালো জয়। ঐশী তার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলল-
“ছটফট করা বন্ধ করে দিন ডাক্তার সাহেব। আপনি জানেন না চোরাবালিতে পড়ে গেলে ছটফট করতে নেই? এতে মানুষ আরো তলিয়ে যায়। আপনিও সেই অবস্থাতেই আছেন। ছটফট না করে একটু শান্ত হোন।
আচ্ছা ডাক্তারসাহেব আপনি কি সত্যিই চান না আপনার পুতুলের কাছে যেতে? আপনি বলছেন আপনি ওকে ভুলতে পারছেন না কিন্তু আমার তো মনে হচ্ছে আপনি ওকে কখনো ভুলার চেষ্টাই করেন নি। আপনি একটা সুপিরিয়র কমপ্লেক্সে ভুগছেন ডাক্তার সাহেব, সমস্যা থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন। আপনি একটা পরিকল্পনা করেছিলেন যা সফল হবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। আপনার পুতুলকে পছন্দ ছিল, তাতে আদৌ ভালোবাসা ছিল কিনা আমি জানি না। কিন্তু তাকে নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা ছিল। আপনি পুতুলকে পছন্দ করতেন, তাকে নিয়ে ভাবতেন, তাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে আপনার একসময় মনে হলো আপনি তাকে ভালোবাসেন। হয়তো সেটা সত্যি ছিল, কিন্তু তাতে কি? সেও যে আপনাকে নিয়ে সেম ভাবনা ভাবে এমন তো নাও হতে পারে। এটা আপনি ভাবেনই নি। আপনাদের মাঝে দূরত্ব ছিল। কেবল জায়গার দূরত্ব না, সবকিছুর দূরত্ব ছিল। বয়সের দূরত্ব ছিল, অবস্থানের দূরত্ব ছিল, অবস্থার দূরত্ব ছিল। এবং এখনো আছে। আপনি যেই পুতুলকে রেখে গেছিলেন সে তখনো বাচ্চা, তার এসব প্রেম-ভালোবাসার জ্ঞান ছিল না। সে তো আপনাকে ভাই হিসেবেই ট্রিট করে এসেছে। একসময় তার জীবনে কেউ আসে এবং সে তাকে এক্সেপ্টও করে নেয়। এমনটা হওয়ারই ছিল। ও তো জানতোও না আপনার অনুভূতি সম্পর্কে। চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল হয় মি.জয়। আপনি কি চেয়েছেন কি চান নি সেটা কেন হয় নি এসব নিয়ে এখনও পড়ে থাকলে তো চলবে না।”_এই বলে কিছুক্ষন চুপ রইল ঐশী। জয়ও কোনো কথা বলছে না। একটু পর আবার বলল-

“আপনি খুব বেশি এক্সপেক্ট করে ফেলেছিলেন মি.জয়। আপনি ভেবেছিলেন পুতুলও হয়তো সেম অনুভূতি অনুভব করে আপনার জন্য, কিন্তু আপনি একবারও ভাবেননি ওপাশের মানুষটার এসব ভাবার বা বোঝার ক্ষমতা আছে কি না। তার প্রত্যাখান আপনি মেনে নিতে পারেন নি। হয়তো কোনো মানুষই তার কাঙ্খিত মানুষটার কাছ থেকে প্রত্যাখান মেনে নিতে পারে না। কিন্তু মানুষ এটা ভাবে না যে ওই মানুষটা তো বাধ্য নয়। তার তো আপনার উপর সেই অনুভুতি নাও থাকতে পারে। তাহলে শুধু শুধু কেন এক্সপেক্টেশন বাড়াবো। তিক্ত হলেও সত্যি দোষটা আপনার ডাক্তার সাহেব। আপনি সত্যিটা এক্সেপ্ট করছেন না। পালিয়ে পালিয়ে সমস্যাগুলোকে আরও বাড়াচ্ছেন। আপনার মা’কে বেশি কষ্ট আপনিই দিচ্ছেন এটা কি একবারও আপনি ভেবে দেখেছেন? মা’র সম্মানের জন্য হয়তো আপনি বলছেন আপনি পুতুলকে চান না, কিন্তু একবারও তাকে ভুলার চেষ্টা করেন নি। আপনি আন্টিকে কষ্ট দিতে চান না, কিন্তু সেই তো আন্টি কষ্টই পাচ্ছে। আপনার কাছে মনে হচ্ছে আপনি মুভ অন করেছেন কিন্তু আপনি তো সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন। কেবল আন্টি কেন প্রায় সব মা বাবাই তো চায় যেন তার ছেলে-মেয়ে সংসারী হয়। আপনার এই ছন্নছাড়া ভাবই তো ওনার কষ্টের কারণ। একা এক মানুষ হয়ে কতগুলো মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন ভেবে দেখুন তো একবার।”_ বলে চুপ হয়ে গেল ঐশী।

কিছুক্ষণ পর বলল-“ আর আমার মনে হয় আপনি চিন্তা করে ,নিজের বোধ বুদ্ধি দিয়ে কোনো কাজ করেননা । আপনার মা বলল তাই আপনি চলে এলেন আমার সাথে দেখা করতে। জানি না আমি এমন কি বলেছি যার জন্য আপনার মনে হল আমাকে আপনার জীবনের সব কথা অনায়াসে বলে দেওয়া যায়। আপনার হঠাৎ করে মনে হল আমি আপনার প্রবলেম সলভ করতে পারব। কিন্তু কিভাবে! আদৌও কি কেউ অন্যের লাইফের প্রবলেম সল্ভ করতে পারে? নিজের লাইফের প্রবলেমগুলো নিজেকেই সল্ভ করতে হয়। নিজের লাইফের সমস্যার কথা অন্যকে বলা মানে নিজের দুর্বলতাকে প্রকাশ করা। আপনার পরিস্থিতিতে আমি নেই, আমি আপনার এক্সাক্ট সিচ্যুয়েশন বুঝবো না। আমি কেবল আপনার কথার প্রেক্ষিতে আপনার ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারি, বোঝাতে পারি। আশা করি আমি তা আপনাকে বোঝাতে পেরেছি। এবার আপনিই ভাবুন আপনার কি করা উচিত আর কি না করা উচিত। আপনার সমস্যার সমাধান আপনাকেই করতে হবে। কেবল আবেগ দিয়ে না বিবেকবুদ্ধি, বাস্তবতা সবদিক বিচার বিবেচনা করে কাজ করতে হবে।”

কথাগুলো বলে চুপ করে রইলো সে। জয়ও চুপ করে গেছে। হয়তো সে ঐশীর কথাগুলো নিয়েই ভাবছে। একটু দম নিয়ে ঐশী বলল , “ এবার আমাকে উঠতে হবে মি.জয়। অনেক দেরি হয়ে গেছে আমার।”

_“ ওহহ হ্যা হ্যা… আই এম এক্সট্রিমলি সরি। আমার জন্য আপনার লেইট হয়ে গেল। আই এম সো সরি। চলুন আপনাকে পৌঁছে দেই। ”

_“ নো নো ইটস ওকে। কোনো ব্যাপার না। আমি যেতে পারব।”

_“ আমি জানি আপনি যেতে পারবেন। বাট আপনি এখন আমার সাথে আছেন আপনার খেয়াল রাখা আমার দায়িত্ব। প্লিজ লেট মি ডু দিস।”

৫.
বাসায় এসে একটা লম্বা সময় ধরে গোসল করে ঐশী। মারাত্মক শুচিবাইগ্রস্ত মানুষ সে। বাইরে থেকে এসে গোসল না করে একটা জিনিসও ধরে না। খুবই বাজে একটা বদঅভ্যাস তার। গোসল শেষ করে ক্লান্তি আর অবসাদে আচ্ছন্ন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে।

যখন ঘুম ভাঙল তখন সারা রুম জোরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। নিশ্চয়ই তার মা এসে দরজা জানালা সব লাগিয়ে দিয়ে গেছে। তার হাজারটা বদঅভ্যাসের মধ্যে এটা আরেকটা বদঅভ্যাস। অন্ধকার ছাড়া সে ঘুমাতে পারে না। দুপুরে এসেছিল, এখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। পেটের খিদে জানান দিচ্ছে আজ সারাদিন সে অভুক্ত। খেতেই হবে এখন।

কয়েকদিন ধরেই বাবা মা’র সাথে তার ঝামেলা বেধে আছে এই বিয়ে নিয়ে। সে এখনই বিয়ে করতে চায় না। আর তার বাবা মা জোর করেই ধরেছে যেন এই ডাক্তার পাত্র হাতছাড়া না হয়। তাদের এমন অকর্মা, বেগুন, অসুন্দর মেয়ের জন্য ডাক্তার পাত্র তারা কস্মিনকালেও আশা করে নি। মেয়েকে তো ডাক্তার বানাতে পারলো না। এখন মেয়ে ডাক্তার না হয়েও যদি ডাক্তার জামাই পাওয়ার আজন্ম শখ পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তা হাতছাড়া করবে কোন পাগলে!
এসব নিয়েই মনমালিন্য চলছিল। তবে আজকে ছেলের সাথে কথা বলে বোঝা গেল তা ভেস্তে গেছে সুন্দরভাবে। এখন শান্তিমতো খানাপিনা করা যেতেই পারে। আহ শান্তি!!!!!

৬.
বেশ কয়েকদিনের নানান ঝুটঝামেলার জন্য কলেজে আসা হয় নি ঐশীর। তাই আজকে চলে এসেছে।
ঐশী আসতে আসতেই দেখে ক্লাস ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। চুপচাপ ক্লাসরুমে ঢুকে একটা চেয়ারে বসে পড়ে।
কিন্তু তার বান্দর পার্টির কেউই ক্লাসে নেই। মেসেজ করে জানতে পারে কেউই আসে নি আজকে। তাই সবাইকে ক্যাম্পাসে চলে আসতে বলে ও।

ক্লাস শেষে সবাই যার যার মতো বের হয়ে যায়। ঐশীও বের হয়ে সোজা চলে যায় মুক্তমঞ্চে। অপেক্ষা করতে থাকে বাকিদের জন্য। সবার আগে আশা এসে পৌঁছায়। এই মেয়েটাকে ঐশী প্রায় সবসময় তার মন খারাপের দিনে কিংবা বিপদে সাথে পায়। বন্ধুত্ব সবার সাথে হয় না। সেম ম্যান্টালিটির বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। এদিক দিয়ে ঐশী ভাগ্যবতী। যে সে তার ম্যান্টালিটির এমন একজন ফ্রেন্ড পেয়েছে। এবং যে তাকে বুঝেও। তাদের সাতজনের গ্রুপে পাঁচজনের সাথে অনার্স লেভেলে এসে পরিচয় হলেও আশা আর ঐশী কলেজ লাইফের ফ্রেন্ড। এক্কেবারে বেস্টফ্রেন্ড। কলেজ লাইফের ফ্রেন্ডগুলো তো এখন দেশের নানান প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তবে আশা আর ঐশী একই জায়গা এবং একই ডিপার্টমেন্টে চান্স পাওয়ায় তাদের বন্ধুত্বটা এখনও টিকে আছে। কাছে থাকলেই বন্ধুত্বটা গাঢ় হয়, আর দূরে গেলে মনে পড়লেও আগের সেই বন্ধুত্বটা থাকে না৷ ফিকে হয়ে যায়। যদিও সব বন্ধুত্ব না, তবে বেশিরভাগ। তাদের দুজনের মাঝে কোনো কিছু লুকাছাপা নেই। দুজনেই দুজনের সবকিছু জানে এবং বুঝে। ঐশীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও জানা আছে আশার। তাই জিজ্ঞেস করলো,“ কি হইলো ওইদিকে?”
ঐশী সবটাই বলে তাকে। সবটা শুনে আশা বলে,

“যা হয় ভালোর জন্যই হয় দোস্ত। তবে এইটা কি ধরনের কথা। মানে এতবড় ছেলে তার উপর এস্টাবলিশ, সেই ছেলেরে জোর করে পাঠাইছে আর ছেলেও হ্যাবলার মতো আইসা পড়ছে?! লোকের কোনো বোধ-বুদ্ধি নাই? বিয়ের মতো এতো বড় একটা সিরিয়াস ইস্যু নিয়া ব্যাটা এমন ছেলেখেলা করলো আর হয়ে গেল? আজিব!!!”
“ আরে আমারও তো সেম কথা। মানে সে ফিটার খাওয়া বাবু, তারে জোর করছে তাই সে আইসা পড়ছে ফরমালিটি দেখাইতে। যেইনে তার সাথে আরেকটা মানুষের সারাটা জীবন, আরেকটা ফ্যামিলি জড়িত। সেইখানে এমন ঢিলা কাজ কারবার কাম্য? তাও যদি বিষয়টা কেবল আমাদের দেখা সাক্ষাতের উপর নির্ভর থাকতো। তার মা প্রায় সব ঠিকঠাক কইরা ফেলছে। আর আমার ফ্যামিলি তো ঠ্যাং ছাড়াই দাঁড়ায় আছে।”

“ কি রে ফকিন্নি’স কি নিয়া কথা কস তোরা?”— (সৌরভ)
আশা আর ঐশী’র কথার মাঝেই বাকিরা এসে পড়ে।
প্রীতি বলল,
_“ আরে বিয়ের কইন্যা দেহি। তা কি খবর আফনের? বাকি ছাব ঠিক?”
ওর বলার ভঙ্গি দেখেই হেসে ফেলে ঐশী। সেও হেসে বলল- “ বাস চাল রাহা হ্যা”।
ওদের কায়কারবার দেখে আশেপাশের সবাইও হেসে ফেলে। কবিতা বলল,
_“ তা কি নিয়ে কথা বলিস তোরা?”
আশা বলল,
_“ ব্যক্তি পাত্রের সাথে দেহা করতে গেছিল না, ওইটা নিয়াই।”
অনিক বলল,
_“আরে হ… ওই মহিলা তোর জামাই কি করে?”
একথা শুনে ঐশী আশার হাতে থাকা বোতলটা অনিকের দিকে ছুঁড়ে মেরে বলে,
_“ হারামি বিয়া হইছে আমার ওই লোকের লগে, যে জামাই জামাই করস।”
অনিক সরে যাওয়ায় তার গায়ে লাগে নি। সে হাসতে হাসতে বলল,
_“ হইতে কতক্ষণ। এক লাথি মাইরা তোরে ওই লোকের কাছে রাইখা আসমু শেষ। তোর মতো বেয়াদ্দপ মহিলা আর সহ্য করমু না আমরা। উই আর ফেড আপ।”
ঐশী বলল,
_“ এ্যাহ্। দূরে যাহ্।”
বাকিরা তাদের ঝগড়া দেখে মজা নিচ্ছে, আর যার যার মতো টিপ্পনী কাটছে।
এর মাঝখানে কবিতা বলল,
_“ গাইস চুপ চুপ। আসল কথা রেখে অন্যদিকে যাইতেছিস তোরা। কাহিনি শুনি আগে। ঐশী বল ছেলে কি করে, আর কি হলো কতদূর গড়ালো কথাবার্তা?”
ঐশী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এবার সবাইকে সংক্ষিপ্ত আকারে ঘটনাগুলো বলল। সবশুনে সৌরভ বলল,
_“ হালায় দেহা যায় ভ্যাবলা।”
বিজয় বলল,
_“ এরে আল্লাহ!! এইটাতো দেহা যায় পুরা বাংলা সিনেমার নায়ক আলমগীর জসিমের মতোন। দেহা গেলো বিয়ার পর বাসর রাইতে কইলো-“ আমি আপনাকে আমার স্ত্রী হিসেবে মানি না, কেবল আমার বাবা মা’র জন্য আপনাকে বিয়ে করতে আমি বাধ্য হয়েছি।”
বিজয়ের কথা বলার ঢং দেখেই বাকিদের মাঝে একচোট হাসাহাসি হয়ে গেল।
আশা বলল,
_“ আংকেল আন্টিরে কি কইলি?”
ঐশী বলল,
_ “ যা যা সত্যি তাই বলছি। তবে বিশ্বাস করে নাই মনে হয়।”
আশা বলল,
_“ তাইলে এখন?”
ঐশী বলল,
_“ ছেলেরাই তো না কইরা দিবো। আর তাও যদি নাহয়, তাইলে পরেরটা পরে। এহন আর এইসব নিয়া চিন্তা করতে মন চাইতাছে না। ”
অনিক বলল,
_“যাই কস ভাই… বিয়াটা হইলে কিন্তু জোশ হইতো। ফ্রীতে ডাক্তার দেহাইলাম নি। বিজয়ের পাছাত ফুঁড়া হইছে, যায়ে ফ্রীতে দেহাইয়া আইলাম নি। ট্যাকা লাগতো না। ”
অনিকের কথা শুনে বাকিরা আবারও একচোট হেসে নিল আর বিজয় রেগে কয়েকটা ঘুষি দিয়ে দিল।
প্রীতি এবার ঐশীকে বলল,
_“ দোস্ত পোলাটা দেখতে কেমন? ছবি দেখা।”
ঐশী বলল,
_“ ছবি টবি নাই আমার কাছে।”
প্রীতি আবার বলল,
_“ ফেসবুক থিকা দেহা।”
ঐশী বলল,
_“ আমি গরীবস… ডাটা নাই আমার ফোনে।”
প্রীতি মুখ মুচোড় দিয়ে এবার তার ফোনটা এগিয়ে দিল। ঐশী তা নিয়ে সার্চ দিল ‘আহসান কবির জয়’ লিখে। আইডি পেয়েই কাড়াকাড়ি লেগে গেল সবার মাঝে দেখার জন্য। প্রীতি তো দেখেই হা। বলেই ফেললো,
_“ দোস্ত এতো সুন্দর পোলা!! ক্রাশ……”
সৌরভ বলল,
_“ ব্যাটারে তো দেহা যায় লায়ক লায়ক।”
সবাই আরও কিছুক্ষণ এটা নিয়ে গবেষণা করল। এরপর অনিক আবার ঐশীকে পয়েন্ট করে বলল,
_“ রাখে আল্লাহ মারে কে। পোলাটারে আল্লাহয় বাঁচাইছে। নইলে এই পাগলারে বিয়া করলে পোলাটার জিন্দেগী পুরা কেরোসিন হয়ে যাইতো গা।”

একথা শুনে ঐশী তার পায়ের জুতা খুলে ছুড়ে
মারলো অনিকের দিকে। অনিক সরে যাওয়ায় তার গায়ে না লাগলেও, সেই জুতা নিয়ে সে আবার তা মাঠের দিকে জোরে ছুড়ে দিল। তা নিয়ে আবার শুরু হলো ঐশী আর অনিকের মাঝে চিল্লাচিল্লি। এভাবেই মজামাস্তি করার মাঝে ঠিক করলো পার্কে যাবে সবাই।
বন্ধু জিনিসটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। বন্ধুদের মাঝে থাকলে কোনদিক দিয়ে সময় চলে যায় তার খোঁজই পাওয়া যায় না।

ক্রমশ………………
(কার্টেসি ব্যতিত কপি করা নিষেধ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here