আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ পর্ব ৭

0
267

#আমার_শহরে_তোমার_আমন্ত্রণ
#পর্ব৭
#Raiha_Zubair_Ripti

বাহিরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে,ঠান্ডার প্রকোপ বেড়েছে। সোফায় গোল হয়ে বসে আছে বাড়ির সকল মেয়ে সদস্য। বৃষ্টি পড়ার দরুন তুষার কে আজ বাড়ি যেতে দেয় নি সকল সদস্য রা। তুষার ও মানা করে নি। চিত্রা শরীরের চাদর টা দিয়ে হাত পা সহ পুরো শরীর ঢেকে কোলে রিমি কে নিয়ে ঘাপটি মেরে বসে আছে। রিমি গুটিশুটি হয়ে চিত্রার বুকে শুয়ে আছে। চয়নিকা বেগম গরুর মাংস আর ভুনা খিচুড়ি রান্না করেছে সাথে রয়েছে আমের চাটনি। চাটনি টা অবশ্য আগের। এই সময়ে তো আম পাওয়া সম্ভব না। খিচুড়ির গন্ধে ড্রয়িং রুম মৌ মৌ করছে। চিত্রা ডাইনিং টেবিলের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ ঘ্রাণ তো অনেক সুন্দর হয়েছে মা। আমার তো এখনই জিহ্বা দিয়ে পানি বেড়িয়ে আসছে।

চয়নিকা বেগম মেয়ের কথা শুনে স্মিত হাসে। রিয়া চেয়ারে বসে ফোন স্ক্রোল করছে। রাতুল মেসেজ দিয়েছে চিত্রার নম্বর চাচ্ছে। রিয়া আড়চোখে চিত্রার দিকে তাকালো। চিত্রার অনুমতি ছাড়া কিভাবে তার নম্বর দিবে রিয়া। চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। চিত্রার পাশে গিয়ে বসে বলে-
-“ এই চিত্রা একটা কথা বলতে চাই।

চিত্রা নড়েচড়ে বসে।
-“ হু বল।
-“ তোর নম্বর টা আসলে রাতুল ভাইয়া চাচ্ছে, আমি কি দিবো?
-“ কেনো?
-“ জানি না,বললো তোকে কি একটা কথা নাকি বলবে।
-“ ওহ আচ্ছা।
-“ দিবো?
-“ দে।

রিয়া চিত্রার নম্বর টা সেন্ড করে রাতুল কে পাঠায়। রাতুল চিত্রার নম্বর টা পেয়ে বিশ্ব জয়ের একটা হাসি দেয়।

তুষার একের পর এক হাঁচি দিচ্ছে। ঝালের রেশ এখন বের হচ্ছে। রাফিকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে তার রুমে জ্বরের মেডিসিন আছে কি না? রাফি না করে দেয়। রিয়া বা মা চাচির কাছে চেয়ে দেখতে বললো। তুষার তপ্ত শ্বাস ফেলে বসার রুমে আসে। সোফায় বসে থাকা রিক্তা বেগমের দিকে তাকিয়ে বলে-

-“ মামি জ্বরের মেডিসিন হবে?
রিক্তা বেগম তুষারের কথা শুনে তুষারের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ জ্বরের মেডিসিন চাইছো কেনো তুষার, জ্বর এসেছে?
-“ এখনও আসে নি,বোধহয় আসবে। আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে তো। ঠান্ডা অলরেডি লেগে গেছে।
-“ চিত্রা আমার রুমে যা তো মা দেখ খাটের পাশে বক্সে মেডিসিন আছে তুষার কে এনে দে।

চিত্রা বাচ্চা টাকে কোলে নিয়ে রিক্তা বেগমের রুমে গিয়ে মেডিসিন টা নিয়ে আসে। তুষারের সামনে মেডিসিন টা রেখে বলে-
-“ ভাইয়া খালি পেটে খাবেন না। আম্মু রান্না করেছে। খাবার মুখে দিয়ে মেডিসিন টা খান।

তুষার মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানালো। সোফা ছেড়ে উঠে টেবিলের চেয়ার টেনে বসলো। চয়নিকা বেগম রুমে গিয়েছে সেজন্য খাবার টা রিয়া বেড়ে দিলো। তুষারের আনইজি লাগলো একা একা খেতে। চিত্রা রিমি কে রিক্তা বেগমের কাছে দিয়ে তুষারের ওপর পাশের চেয়ারে বসে বলে-
-“ রিয়া আমাকেও দে, আমি আর না খেয়ে থাকতে পারলাম না।

রিয়া স্মিত হেসে চিত্রা কে প্লেটে খিচুড়ি আর মাংস বেড়ে দিলো। এরমধ্যে রিমি কান্না কর উঠলো। রিক্তা বেগম রিয়া কে ডেকে বললেন রিমি হয়তো ঘুমাবে তাকে নিয়ে যেনো ঘুম পাড়ায়। রিয়া শ্বাশুড়ির ডাক শুনে মেয়ের কাছে গিয়ে দেখে সত্যি তার মেয়ে ঘুমাবে। মেয়েকে নিয়ে রুমে চলে গেলো। রিক্তা বেগম ও উঠে নিজের রুমে চলে গেলো। ড্রয়িং রুমে রইলো চিত্রা আর তুষার। তুষার খাওয়ার মাঝে বারবার আড়চোখে চিত্রার দিকে তাকালো। চিত্রা মনের সুখে খেয়ে চলছে। তুষার পানি টা খেয়ে প্লেটে হাত ধুয়ে মেডিসিন টা খেয়ে নেয়। এরমধ্যে চিত্রার ফোন বেজে উঠে। টেবিলের উপর ছিলো ফোন টা। চিত্রা তাকিয়ে দেখলো অচেনা নম্বর তাই আর রিসিভ করলো না। প্রথম বার বেজে কল কেটে গেলো। ফের আবার কল আসতেই তুষার বলে উঠে-

-” ফোন ধরছো না কেনো?
চিত্রা প্লেটে আচার নিতে নিতে বলে-
-“ চিনি না এই নম্বর,অচেনা।
-“ তাই বলে ধরবে না? মামু তো বাসায় নেই মামুও তো হতে পারে। রিসিভ করে দেখো।

চিত্রা বাম হাত দিয়ে ফোন টা রিসিভ করে লাউড স্পিকারে দেয়। ওপাশ থেকে এক পুরুষালি কন্ঠে ভেসে আসলো-“ হ্যালো।

চিত্রা আচার খেতে খেতে বলে-“ হ্যালো কে বলছেন?
-“ আমি রাতুল বলছি।

চিত্রার খাওয়া থেমে যায়। তুষার ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকিয়ে আছে। রাতুল তো রিয়ার ভাই। সে কেনো চিত্রা কে ফোন দিলো। চিত্রা ফোনটা হাতে নিয়ে স্পিকার কমিয়ে কানে নিয়ে বলে-
-“ হ্যাঁ রাতুল ভাইয়া বলুন।

রাতুল নিজের রুমের জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছে।
-“ তোমার সাথে কিছু কথা শেয়ার করতে চাই। তোমার আশেপাশে কি কেউ আছে?

চিত্রা একবার তুষারের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ হ্যাঁ আছে। আপনি কি বলবেন বলেন আমি শুনছি।
-“ না তাহলে আর বলা যাবে না। তুমি কি কাল আছো?
-“ হ্যাঁ।
-“ দেখা করতে পারবা?
-“ কেনো?
-“ একটা কথা বলবো।
-“ হ্যাঁ সেটা তো আমিও জানি। আপনি বলুন সেই কথাটা।
-“ সামনা সামনি বলতে চাই। তুমি বরং কাল তোমার বাসার পাশে যে ক্যাফে টা আছে ওখানে এসো আমি অপেক্ষা করবো ঠিক বিকেল তিনটে বাজে।
-“ আরে কাল বৃষ্টি থাকবে, আর আমি বৃষ্টির ভেতর কোথাও যাওয়া পছন্দ করি না।
-“ তাহলে আমি তোমার বাসার সামনে দাঁড়াবো তুমি এসো।
-“ আশ্চর্য বাসার সামনে আসতে পারলে তো বাসায়ই আসতে পারেন। আপনি বরং বাসাতেই আসেন। এখন রাখি আমি খেতে বসছি।

রাতুল কে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই চিত্রা ফোন কেটে দেয়। তুষার গম্ভীর কন্ঠে চিত্রার দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ রিয়ার ভাই রাতুল কেনো ফোন দিলো?
-“ কি যেনো বলবে বললো।
-“ কি বলবে?
-“ সেটা তো বলে নি।
-“ তা কোথায় যাওয়ার প্ল্যান করলে?

চিত্রা প্লেটে হাত ধুয়ে টিস্যু দিয়ে হাত মুছে বলে-
-“ কিসের কোথায় যাওয়ার প্ল্যান করলাম?
-“ একটু আগেই না বললে বৃষ্টির মধ্যে তোমার কোথাও যাওয়া পছন্দ না।
-“ ওহ্ রাতুল ভাইয়া কাল পাশের ক্যাফেতে দেখা করতে বললো। পরে না করলাম। দ্যান সে বললো বাসার সামনে আসবে তাই বললাম বাসার সামনে যখন আসবেন তাহলে বাসাতেই আসেন।
-“ ওহ রাতুল তো বিয়ে করে নি তাই না?
-“ হ্যাঁ মনে হয়। শিওর জানি না।
-“ তোমার নম্বর কোথায় পেলো?
-“ রিয়া দিয়েছিলো।
-“ সবাইকে কি নম্বর দিয়ে বেড়াও?
-“ আশ্চর্য সবাইকে নম্বর দিতে যাবো কেনো?
-“ না এমনি মনে হলো তাই। বৃষ্টি তো এখন ও থামলো না, আমি রুমে যাচ্ছি তুমি প্লিজ এক কাপ কফি দিয়ে যেয়ো। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে।
-“ আচ্ছা আপনি যান আমি প্লেট ধুয়ে নিয়ে আসছি।

তুষার হনহন করে রুমে চলে গেলো। চিত্রা প্লেট ধুয়ে রান্না ঘরে গেলো কফি বানাতে।

এদিকে রাফি আর রায়ান,রাসেল আহমেদ ফ্যাক্টরির ভেতর দাঁড়িয়ে আছে। রাফি তার বাবা সামনে বসে ফোন স্ক্রোল করতে করতে বলে-
-“ বাবা দশ শতাংশ জমির দাম শতাংশ প্রতি ৩০ লাখ মোট ১ কোটি টাকা।

রাসেল আহমেদ চা মুখে দিচ্ছিলেন।ছেলের কথা কানে আসতেই মুখ ফসকে চা পড়ে যায়। রায়ান বাবার দিকে চেয়ে বলে-
-“ আস্তে খাও চা।
রাসেল আহমেদ চায়ের কাপ টা টেবিলের উপর রেখে বলে-
-“ শতাংশ প্রতি ৩০ লাখ আর দশ শতাংশ ১ কোটি?
-“ হ্যাঁ।
-“ দাম টা কে ঠিক করেছে?
রাফি বিরক্তি নিয়ে বলে-
-“ কে আবার ঐ মেয়েই বলেছে।
-“ আমি রাজি ১ কোটি টাকায় জমি কিনতে। তুই এখনই কথা বল।

রাফি রায়ানের থেকে নম্বর টা নিয়ে ভদ্রলোকের ফোনে কল লাগায়। অধরা বেলকনিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছিল। আশরাফুল রহমান ফোন টা নিয়ে মেয়ের রুমে ঢুকে। বেলকনিতে গিয়েছিল বলে-
-“ অধরা ওরা আবার ফোন করেছে।
অধরার বৃষ্টি দেখায় ব্যাঘাত ঘটে। বিরক্তি নিয়ে ফোন রিসিভ করে ফোন কানে নিয়ে বলে-
-“ হ্যালো।

রাফি অধরার কন্ঠ শুনে বলে-
-“ আমি রাফি বলছিলাম।
-“ হ্যাঁ বলুন।
-“ আমরা আপনার শর্তে রাজি ১ কোটি টাকা দিয়ে জমিটা নিতে চাই।
-“ কিসের ১ কোটি?
-“ আপনিই না বললেন শতাংশ প্রতি ৩০ লাখ মোট ১ কোটি।
-“ ৩০ লাখে দশ শতাংশ ১ কোটি আসে?
-“ সেটা তো আপনিই জানেন ভালো।
-“ ৩ কোটি আসে। ৩ কোটির নিচে এক পয়সা ও কমে জমি বিক্রি করবো না।

মুহূর্তে রাফির মাথায় রাগ চেপে বসলো। সহসা চেয়ার ছেড়ে উঠে বসলো। কিছুটা রাগী কন্ঠে বলে উঠলো-
-“ এই আপনি আমাদের কি পাইছেন,এক এক সময় এক এক কথা বলেন। টাকা কি গাছে ফলে? দশ শতাংশের দাম ৩ কোটি কোন আক্কেলে চান। মেন ঢাকাতেও তো এতো দাম না জমির।

রাসেল আহমেদ ছেলের হাত চেপে ধরে। ইশারায় মাথা ঠান্ডা রাখতে বলে। তিনি ৩ কোটি টাকার বিনিময়ে হলেও জায়গা টা নিবে। রাফি তার বাবার ইশারা দেখে ফোন টা তার বাবার দিকে এগিয়ে দেয়।
-“ নাও তোমার জমি তুমি কথা বলো।

রাসেল আহমেদ ফোন টা নেয়।
-“ হ্যালো,আমরা আপনার শর্তে রাজি তিন কোটি টাকাই দিবো তবুও জায়গা টা চাই।
-“ ঠিক আছে কাগজপত্র সহ টাকা রেডি করুন। আর হ্যাঁ ছেলেকে ভদ্রতা শিখাবেন।

কথাটা বলে অধরা ফোন কেটে দেয়। সুযোগ একবার আসলে সেই সুযোগ কে কাজে লাগাতে এই অধরা ভালো করেই জানে। রাফি তার বাবার থেকে ফোন টা নিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই গাড়ি নিয়ে চলে যায়। রাগ মাথায় নিয়েই বাড়িতে প্রবেশ করে রাফি। চিত্রা কফি নিয়ে রান্না ঘর থেকে বের হতেই দেখে রাফি হন্তদন্ত হয়ে আসছে। চিত্রা রাফির সামনে দাঁড়িয়ে বলে-
-“ এই তোমার আসার সময়?
রাফি হাঁটা থামিয়ে দেয়। চিত্রার হাতে কফি দেখে কফি টা হাতে নিয়ে বলে-
-“ থ্যাংকস এটারই প্রয়োজন ছিলো।

চিত্রা কিছু বলতে নিবে তার আগেই রাফি কফি টায় চুমুক বসায়। চিত্রার রাগ হলো,এখন তাকে আবার কফি বানাতে হবে। ফের রান্না ঘরে ছুটলো কফি বানিয়ে তুষারের রুমের দিকে গেলো। তুষার বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। বৃষ্টির সাথে আসা মৃদু ঠান্ডা বাতাস তুষারের শরীর টা কাঁপিয়ে তুলছে তবুও ভালো লাগছে তুষারের। চিত্রা রুমে ঢুকে তুষারের পাশে দাড়িয়ে বলে-
-“ আপনার কফি।

তুষার চিত্রার পানে চেয়ে কফির মগ টা হাতে নিয়ে দৃষ্টি বৃষ্টির দিকে রেখে বলে-
-“ এতোক্ষণ লাগলে একটা কফি বানাতে?
-“ না এতো টাইম লাগতো না আসলে আপনার জন্য কফি নিয়ে আসছিলাম সেটা রাফি ভাইয়া খেয়ে ফেলছে।
-“ রাফি ফিরেছে?
-“ হ্যাঁ। আপনি শরীরে শীতের পোষাক পড়েন নি কেনো।দেখেন কত শীত।
-“ আমার শীত লাগছে না বরং ভালোই লাগছে।
-“ আমি শুনেছি যাদের শরীরে চর্বি বেশি তাদের শীত কম গরম লাগে বেশি।

তুষার কফিতে চুমুক বসিয়ে বলে-
-“ আমার শরীরে কি চর্বি বেশি নাকি?
-“ মনে হয় বেশি সেজন্যই তো আপনার শীত লাগছে না।

তুষার হেসে উঠলো।চিত্রা সেই হাসির দিকে চাইলো। লোকটার হাসি কি সুন্দর। মেয়েদের মতো গালে টোল পড়ে।
-“ তুষার ভাই আপনি কি জানেন আপনার হাসি কত সুন্দর?
-“ না আগে তো কেউ বলে নি। তবে তুমি বলায় আজ জানলাম।
-“ সত্যি আপনার হাসি সুন্দর। আমি হাসলে যেমন গালে টোল পড়ে তেমন আপনার হাসলে গালে মেয়েদের মতো টোল পড়ে।

তুষার ভ্রু কুঁচকে বলে-
-“ কেনো টোল কি শুধু মেয়েদের ই হয় নাকি। ছেলেদের হতে বারন নাকি?
-“ না তেমন না আসলে ছেলেদের তো তেমন টোল দেখা যায় না গালে। কিন্তু আপনার আছে।
-” কারন তুষার তো ওয়ান পিসই তাই।
-“ এহ আমি আপনাকে পাম দিছি ফুলে যাইয়েন না।
-“ আমি তো ফুলেই গেছি তোমার পাম দেওয়া দেখে।

চিত্রা কিছু বললো না। তুষার ভাই আজকাল ভালোই কথা বলছে। বিদেশ যাওয়ার আগে তো কথাই বলতো না। গুমরো মুখ করে থাকতো। এখন ভালোই হাসিখুশি কথা বলছে সবার সাথে। তপ্ত শ্বাস ফেললো চিত্রা মানুষের বদল ঘটতে সময় লাগে না।
-“ আচ্ছা তুষার ভাই একটা কথা বলি?
তুষার কফির মগ টা চিত্রার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে-
-” হু বলো।
-“ আপনার কি গার্লফ্রেন্ড আছে?
-“ কেনো বলতো?
-“ না এমনি কৌতূহল হলো জানার।
-“ যদি বলি আছে?
-“ কে সে?
-“ আছে আছে সে এক মায়াবতী।
-“ বলেন কে সে?
-“ এখনও সঠিক সময় হয় নি।
-“ সে অনেক সুন্দর বুঝি?
-“ হ্যাঁ আমার চোখে সে সবার চেয়ে সেরা সুন্দরী।
-“ ইশ মেয়েটার কি ভাগ্য।
-“ কেনে ভাগ্য কেনো?
-“ এই যে আপনাকে সে পাবে। মেয়েটার সাথে অনেক জায়গায় ঘুরতে যান নিশ্চয়ই তাই না?
-“ না মেয়েটা এখনও জানে না আমি তাকে পছন্দ করি।
-“ আল্লাহ কি বলেন,এখনও বলেন নাই মেয়েকে! মেয়ে যদি অন্য ছেলের সাথে ভেগে যায় তখন?
-“ না সেই সুযোগ তুষার আসতেই দিবে না। অন্য ছেলের সাথে ভেগে যাওয়া তো দূর কোনো ছেলের দৃষ্টি ও ওর দিকে পড়তে দিবো না।
-“ তে বলে দিলেই তো পারেন।
-“ না তাকে বলার সঠিক সময় এখন ও হয় নি। তবে খুব শীগ্রই বলবো।

-“ হ্যালো, কেমন আছেন?

রাফি ঘুমিয়েছিল হঠাৎ ফোনের রিংটোন বেজে উঠায় বিরক্তি নিয়ে ফোন টা রিসিভ করে কানে নেয়। ওপাশ থেকে চিরচেনা কন্ঠ শুনে ঘুম সব উবে যায়। শোয়া থেকে উঠে বসে। মুহূর্তে মুখে ফুটে উঠে হাসি। রাফি জানতো মেয়েটা তাকে ফোন দিবে। ফোন মুখের সামনে এনে দেখে রাত দেড় টা বাজে। সেই সাথে ফোনের স্কিনে জ্বল জ্বল করছে ❝চাতক পাখি❞ দিয়ে নাম সেভ করা। যা ফোন রিসিভ করার সময় ঘুমের কারনে খেয়াল করে নি।

#চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here